বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ‘আহ্বায়ক’ দাবি করা ওসমান গণি নামে এক কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের লস্কর পদে কর্মরত ওসমান গনিকে এর আগে একবার বদলি ও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনীয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার ১২ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরের এই দন্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অফিস আদেশ অমান্য করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও আনা হয়েছে।
ফ্লোটিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটি এখনও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সে ক্ষেত্রে শ্রম অধিদপ্তরকে না জানিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করারও কোন সুযোগ নেই। এরপরও ওসমান গণি গোপনে নিজেকে ওই সংগঠনের আহ্বায়ক প্রচার করে আসছিলেন। কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সরকার ও সরকারদলীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে সমালোচিতও হন তিনি।
এক পর্যায়ে সংস্থার কাজের স্বার্থে নারায়ণগঞ্জের ইছামতী জাহাজে কর্মরত ওসমান গণিকে গত বছরের ১৫ জুলাই খুলনার আড়িয়াল খাঁ-০৫ জাহাজে বদলি করা হয়। কিন্তু সেখানে যোগ না দিয়ে তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ একই বছরের ১৮ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এরপরও ওসমান গণি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার বদলে ‘জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হয়’ জানিয়ে বদলির আদেশ স্থগিতের জন্য বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন, যা বিআইডব্রিউটিএর চাকরি প্রবিধানমালার পরিপন্থি।
এসব কারণে গত বুধবার চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে বিআইডব্লিউটিএর কর্মচারী (অবসর ভাতা ও অবসরজনিত সুবিধাদি) বিধিমালা-২০১৪ মোতাবেক ওসমান গণিকে বাধ্যতামূলক অবসরের দন্ড আরোপ করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সব কার্যক্রম শেষ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মুহাম্মদ আবু জাফর হাওলাদার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওসমান গণির বিরুদ্ধে আনীত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বারবার চেষ্টা করা হলেও ওসমান গণির বক্তব্য জানা যায়নি। তার ব্যবহূত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
বিআইডব্লিউটিএ ফ্লোটিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ‘আহ্বায়ক’ দাবি করা ওসমান গণি নামে এক কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের লস্কর পদে কর্মরত ওসমান গনিকে এর আগে একবার বদলি ও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনীয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবার ১২ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরের এই দন্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অফিস আদেশ অমান্য করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও আনা হয়েছে।
ফ্লোটিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটি এখনও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সে ক্ষেত্রে শ্রম অধিদপ্তরকে না জানিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করারও কোন সুযোগ নেই। এরপরও ওসমান গণি গোপনে নিজেকে ওই সংগঠনের আহ্বায়ক প্রচার করে আসছিলেন। কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সরকার ও সরকারদলীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে সমালোচিতও হন তিনি।
এক পর্যায়ে সংস্থার কাজের স্বার্থে নারায়ণগঞ্জের ইছামতী জাহাজে কর্মরত ওসমান গণিকে গত বছরের ১৫ জুলাই খুলনার আড়িয়াল খাঁ-০৫ জাহাজে বদলি করা হয়। কিন্তু সেখানে যোগ না দিয়ে তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ একই বছরের ১৮ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এরপরও ওসমান গণি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার বদলে ‘জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হয়’ জানিয়ে বদলির আদেশ স্থগিতের জন্য বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন, যা বিআইডব্রিউটিএর চাকরি প্রবিধানমালার পরিপন্থি।
এসব কারণে গত বুধবার চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে বিআইডব্লিউটিএর কর্মচারী (অবসর ভাতা ও অবসরজনিত সুবিধাদি) বিধিমালা-২০১৪ মোতাবেক ওসমান গণিকে বাধ্যতামূলক অবসরের দন্ড আরোপ করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সব কার্যক্রম শেষ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মুহাম্মদ আবু জাফর হাওলাদার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওসমান গণির বিরুদ্ধে আনীত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বারবার চেষ্টা করা হলেও ওসমান গণির বক্তব্য জানা যায়নি। তার ব্যবহূত দুটি মোবাইল ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে।