গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালে প্রতিদিন গোপালগঞ্জ, নড়াইল. বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। হাসপাতালে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে রোগীরা কষ্ট পেতেন। প্রসূতি মায়েদের এখানের ঝাঁকুনিতে প্রাণ ওঁষ্ঠাগত ছিল। এছাড়া এখানে প্রতিদিনই ঘটতো ছোটখাট দুর্ঘটনা। হাসপাতালে প্রবেশের ২শ’ মিটার সড়কে ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বছরের পর বছর। তাই হাসপাতালে প্রবেশকারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রোগী, চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। বিষয়টি গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর চোখে আসে। তিনি সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় হাসপাতালে প্রবেশের ২শ’ মিটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেন। জেলা প্রশাসক সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডিকে অনুরোধ করেন।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালে প্রবেশের ২শ’ মিটার সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করেছে এলজিইডি। এর মধ্য দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশের ৫০ মিটার সড়কের বিড়ম্বনার অবসান ঘটেছে। গত ১২ জানুয়ারি রাত ৮টা থেকে এলজিইডি সড়কটি সংস্কার শুরু করে। বুধবার রাতেই জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান, এলজিইডির প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা এ কাজ করার জন্য এলজিইডিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কাজটি ছোট। কিন্তু এ থেকে রোগীসহ হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। তিনি সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় এ ধরনের কাজ করে এলজিইডিকে সড়ক চলাচলের উপযোগী করে রাখার আহ্বান জানান।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আমরা হাসপাতালে প্রবেশের সড়কে এ কাজ করেছি। এছাড়া এ কর্মসূচীর আওতায় ইতোমধ্যে আমরা মুকুসুদপুর, কাশিয়ানীসহ ৫ উপজেলার ৩০ কিঃ মিঃ সড়ক সংস্কার করেছি। পাশাপাশি ব্রিজ, কালভার্টের ছোটখাট ত্রুটি ঠিক করে দিয়েছে।
এ থেকে জেলার লাখ লাখ মানুষ সুফল পাচ্ছেন। জনস্বার্থে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
রোগীর স্বজন রোজিনা ইসলাম বলেন, হাসপাতালে প্রবেশের বাস্তায় ছোট-বড় অনেক গর্ত ছিল। উচুনিচু এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ঝাঁকিতে জীবন বের হয়ে যেত। এছাড়া ছোট খাট দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। প্রসূতি ও মারাত্মক আহত রোগীদের জন্য ২শ’ মিটার সড়ক ছিল যন্ত্রণাদায়ক। সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। এতে আমরা চলাচলের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেয়েছি।
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালে প্রতিদিন গোপালগঞ্জ, নড়াইল. বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। হাসপাতালে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে রোগীরা কষ্ট পেতেন। প্রসূতি মায়েদের এখানের ঝাঁকুনিতে প্রাণ ওঁষ্ঠাগত ছিল। এছাড়া এখানে প্রতিদিনই ঘটতো ছোটখাট দুর্ঘটনা। হাসপাতালে প্রবেশের ২শ’ মিটার সড়কে ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বছরের পর বছর। তাই হাসপাতালে প্রবেশকারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রোগী, চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। বিষয়টি গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর চোখে আসে। তিনি সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় হাসপাতালে প্রবেশের ২শ’ মিটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেন। জেলা প্রশাসক সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডিকে অনুরোধ করেন।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে হাসপাতালে প্রবেশের ২শ’ মিটার সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করেছে এলজিইডি। এর মধ্য দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশের ৫০ মিটার সড়কের বিড়ম্বনার অবসান ঘটেছে। গত ১২ জানুয়ারি রাত ৮টা থেকে এলজিইডি সড়কটি সংস্কার শুরু করে। বুধবার রাতেই জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান, এলজিইডির প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা এ কাজ করার জন্য এলজিইডিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কাজটি ছোট। কিন্তু এ থেকে রোগীসহ হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। তিনি সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় এ ধরনের কাজ করে এলজিইডিকে সড়ক চলাচলের উপযোগী করে রাখার আহ্বান জানান।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আমরা হাসপাতালে প্রবেশের সড়কে এ কাজ করেছি। এছাড়া এ কর্মসূচীর আওতায় ইতোমধ্যে আমরা মুকুসুদপুর, কাশিয়ানীসহ ৫ উপজেলার ৩০ কিঃ মিঃ সড়ক সংস্কার করেছি। পাশাপাশি ব্রিজ, কালভার্টের ছোটখাট ত্রুটি ঠিক করে দিয়েছে।
এ থেকে জেলার লাখ লাখ মানুষ সুফল পাচ্ছেন। জনস্বার্থে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
রোগীর স্বজন রোজিনা ইসলাম বলেন, হাসপাতালে প্রবেশের বাস্তায় ছোট-বড় অনেক গর্ত ছিল। উচুনিচু এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ঝাঁকিতে জীবন বের হয়ে যেত। এছাড়া ছোট খাট দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। প্রসূতি ও মারাত্মক আহত রোগীদের জন্য ২শ’ মিটার সড়ক ছিল যন্ত্রণাদায়ক। সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। এতে আমরা চলাচলের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেয়েছি।