একদিনে ৫ হাজার পার
একদিনে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় কোভিড শনাক্তের হারও ১৮ শতাংশের কাছাকাছি। দেশে অব্যাহতভাবে করোনা সংক্রমিত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্ত ২২২ শতাংশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচ হাজার ২২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকায় চার হাজার তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই একদিনে মাত্র ১০ জেলায় কারও কোভিড শনাক্ত হয়নি। বাকি ৫৪ জেলায় কম-বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। অথচ আগের দিন অন্তত ২৮ জেলায় কারও দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম রোববার ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলেন, সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে এক লাখ ৮২ হাজার ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ হাজার ২৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। আগের সপ্তাহের তুলনায় সর্বশেষ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হিসেবে নতুন রোগী শনাক্তের হার ২২২ শতাংশ বেড়েছে।
এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ছিল ২০ জন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত রোগী ৬১ শতাংশ বেড়েছে। দেশে গত বছরের নভেম্বরের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল ছিল জানিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে। জানুয়ারিতে এসে আগের বছরের চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে
‘স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই’ মন্তব্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, অনেকেই ধারণা করছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু এটি বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ দিয়ে নিশ্চিত তথ্য নয়। ধরে নিতে হবে দেশে এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। নতুন করে ঘটছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। সারা বিশ্বে যেমন ডেল্টাকে সরিয়ে ওমিক্রন জায়গা দখল করেছে, ধীরে ধীরে হয়তো বাংলাদেশেও এমনটি হবে। তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়, ফুসফুস কম আক্রান্ত হয়-এসব ভেবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। ডেল্টা সংক্রমণের সময় আমরা যতটা সচেতন ছিলাম, যতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি, এখনও সেভাবেই চলতে হবে।’
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন গত ১২ জানুয়ারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে বলেছিলেন, দেশে ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেলটা ভাইরাস-দুটোই কিন্তু অবস্থান করছে। সংক্রমণ হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট তারই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।
ওইদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রাজধানীর মহাখালীর ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন’ (বিসিপিএস) ভবনে এক অনুষ্ঠানে জানান, দেশে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিক সংক্রমণ) শুরু হয়েছে। দেশে যে হারে রোগী বাড়ছে, তাতে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ‘কিছুটা হয়েছে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করোনা রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত। কাজেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা গ্রহণের হার বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম রোববার আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশে যত সংখ্যক মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তত সংখ্যক টিকা নিচ্ছেন না। আগ্রহের জায়গা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করতে হবে।’
একদিনে শনাক্ত পাঁচ হাজার ছাড়ালো
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট ২৮ হাজার ১৪৪ জন মারা গেছেন।
এই একদিনে পাঁচ হাজার ২২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১১ জনে।
একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৪ অগাস্ট; ওইদিন পাঁচ হাজার ২৪৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক দিনে দেশে মোট ২৯ হাজার ৩০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিন পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্ত ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের দিন এই হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল। তবে দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার হলো ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত কোভিড রোগীর মধ্যে একদিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৩৫১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত অনুপাতে মোট সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যু হওয়া এবং সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বাদ দিলে দেশে এখন ‘অ্যাক্টিভ কেস’ বা সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৬৭৪ জন। আগের দিন সক্রিয় অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৫৮৬ জন।
একদিনে যে আটজন মারা গেছেন, তাদের পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এর মধ্যে চারজন ঢাকার, তিনজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, দুইজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং এক জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
একদিনে শনাক্তের ৭৬.৬৫ শতাংশই ঢাকায়
একদিনে মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে চার হাজার তিনজনই মহানগরীসহ ঢাকার জেলার বাসিন্দা। এটি মোট শনাক্ত রোগীর ৭৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তবে বিভাগভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন চার হাজার ১৪১ জন। এই সময়ে দেশের ৯ জেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি; আরেক জেলায় কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
অন্যান্য বিভাগের মধ্যে একদিনে ময়মনসিংহে ৪৪ জন, চট্টগ্রামে ৬৭৬ জন, রাজশাহীতে ৭৯ জন, রংপুরে ২৫ জন, খুলনায় ৮৯ জন, বরিশালে ২০ জন এবং সিলেটে ১৪৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
একদিনে ৫ হাজার পার
রোববার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
একদিনে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় কোভিড শনাক্তের হারও ১৮ শতাংশের কাছাকাছি। দেশে অব্যাহতভাবে করোনা সংক্রমিত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে রোগী শনাক্ত ২২২ শতাংশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচ হাজার ২২২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকায় চার হাজার তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই একদিনে মাত্র ১০ জেলায় কারও কোভিড শনাক্ত হয়নি। বাকি ৫৪ জেলায় কম-বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। অথচ আগের দিন অন্তত ২৮ জেলায় কারও দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম রোববার ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলেন, সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে এক লাখ ৮২ হাজার ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ হাজার ২৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। আগের সপ্তাহের তুলনায় সর্বশেষ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হিসেবে নতুন রোগী শনাক্তের হার ২২২ শতাংশ বেড়েছে।
এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ছিল ২০ জন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত রোগী ৬১ শতাংশ বেড়েছে। দেশে গত বছরের নভেম্বরের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল ছিল জানিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে। জানুয়ারিতে এসে আগের বছরের চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে
‘স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই’ মন্তব্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, অনেকেই ধারণা করছেন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু এটি বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ দিয়ে নিশ্চিত তথ্য নয়। ধরে নিতে হবে দেশে এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। নতুন করে ঘটছে ওমিক্রনের সংক্রমণ। সারা বিশ্বে যেমন ডেল্টাকে সরিয়ে ওমিক্রন জায়গা দখল করেছে, ধীরে ধীরে হয়তো বাংলাদেশেও এমনটি হবে। তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়, ফুসফুস কম আক্রান্ত হয়-এসব ভেবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। ডেল্টা সংক্রমণের সময় আমরা যতটা সচেতন ছিলাম, যতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি, এখনও সেভাবেই চলতে হবে।’
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন গত ১২ জানুয়ারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল বুলেটিনে বলেছিলেন, দেশে ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেলটা ভাইরাস-দুটোই কিন্তু অবস্থান করছে। সংক্রমণ হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট তারই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।
ওইদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রাজধানীর মহাখালীর ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন’ (বিসিপিএস) ভবনে এক অনুষ্ঠানে জানান, দেশে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিক সংক্রমণ) শুরু হয়েছে। দেশে যে হারে রোগী বাড়ছে, তাতে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ‘কিছুটা হয়েছে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করোনা রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত। কাজেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা গ্রহণের হার বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম রোববার আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশে যত সংখ্যক মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তত সংখ্যক টিকা নিচ্ছেন না। আগ্রহের জায়গা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করতে হবে।’
একদিনে শনাক্ত পাঁচ হাজার ছাড়ালো
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে আটজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট ২৮ হাজার ১৪৪ জন মারা গেছেন।
এই একদিনে পাঁচ হাজার ২২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১১ জনে।
একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৪ অগাস্ট; ওইদিন পাঁচ হাজার ২৪৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এক দিনে দেশে মোট ২৯ হাজার ৩০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিন পরীক্ষা অনুপাতে রোগী শনাক্ত ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের দিন এই হার ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল। তবে দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার হলো ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত কোভিড রোগীর মধ্যে একদিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৩৫১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত অনুপাতে মোট সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যু হওয়া এবং সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বাদ দিলে দেশে এখন ‘অ্যাক্টিভ কেস’ বা সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ হাজার ৬৭৪ জন। আগের দিন সক্রিয় অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৫৮৬ জন।
একদিনে যে আটজন মারা গেছেন, তাদের পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এর মধ্যে চারজন ঢাকার, তিনজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, দুইজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং এক জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
একদিনে শনাক্তের ৭৬.৬৫ শতাংশই ঢাকায়
একদিনে মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে চার হাজার তিনজনই মহানগরীসহ ঢাকার জেলার বাসিন্দা। এটি মোট শনাক্ত রোগীর ৭৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। তবে বিভাগভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন চার হাজার ১৪১ জন। এই সময়ে দেশের ৯ জেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি; আরেক জেলায় কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
অন্যান্য বিভাগের মধ্যে একদিনে ময়মনসিংহে ৪৪ জন, চট্টগ্রামে ৬৭৬ জন, রাজশাহীতে ৭৯ জন, রংপুরে ২৫ জন, খুলনায় ৮৯ জন, বরিশালে ২০ জন এবং সিলেটে ১৪৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।