পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠে হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ভরে গেছে। সরিষা ফুলের সমারোহ ফসলের মাঠে ছড়াচ্ছে নান্দনিক সৌন্দর্য আর সরিষা ফুলকে ঘিরে মৌমাছি ও প্রজাপতিরা উড়ছে। আর মৌমাছি মধু আহরণে ব্যস্ত।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনীয় বাস্তবায়ন ও রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সরিষা বারি-১৪ ও বিনা-৯ বীজসহ সার বিতরণ করা হয়। সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহী হয়েছেন সরিষা চাষে। উপজেলার বেতাগি সানকিপুর, বহরমপুর, বাঁশবাড়ীয়, আলীপুর, দশমিনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠে দু’চোখ যতদূর যায় হলুদ আর হলুদের সমারোহ।
উপজেলার দশমিনা সদরের প্রান্তস মন্ডল বলেন, গত বছর আমি ১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করেছি। এই বছর আমি প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষা গাছ ও ফুল ভালো হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা করলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে এবং লাভের মুখ দেখতে পাব। কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে এসে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যান।
কাটাখালীর কামাল আকন বলেন, আমি গতবছর সরিষা চাষ করে ভালো লাভ করেছি এতে সময় কম লাগে বারি-১৪ সরিষার বীজ রোপণের ৭০-৮০ দিন লাগে আর সরিষার দানা হয় চারটি তাই ফলনও বেশি পাওয়া যায় । এ বছর আগের চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বীজ ও সার ও পরামর্শ অফিস থেকে লোাক এসে দিছে। গাছ ও ফুল ভালো ফলন ভালো হবে আশা করছি।
পশ্চিম লক্ষীপুর গ্রামের চাষি, তপন সিকদার বলেন, আমি এ বছর নতুন সরিষা চাষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরিষা বারি ১৪ বীজ এনে ১ হেক্টর জমিতে রোপণ করেছি। সার অফিস থেকে দিয়েছে। গাছ ও ফুল ভালো দেখা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
বেতাগী ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের চাষি রফিক হাওলাদার বলেন, আমি কৃষি অফিস থেকে বিনা-১৪ সরিষা বীজ এনেছি প্রায় ১ হেক্টোর জমিতে চাষ করেছি। তারা সারও দিয়েছে। আমি কীটনাশক দিয়েছি। তারা এসে খোঁজখবর নেয়। আমার জমির সরিষার গাছ ও ফুল ভালো দেখাচ্ছে। ভালো ফলন আশা করি। রণগোপালদীর কৃষক আ. রাজ্জাক বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছর সরিষার গাছ ও ফুল দেখে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। বাজারে দামও বেশি পাওয়ার আশা করছি।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর আহমেদ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধিকে বলেন, তৈল জাতীয় ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭টি ইউনিয়নে রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বারি-১৪ ও বারি-৯ সরিষা বীজ দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছেন। দশমিনা উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের চাহিদা দেয়া হয়েছে কিন্তু এ বছর ৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা আগের তুলনায় অধিক আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সরিষা বারি-১৪ জীবনকাল ৭৫-৮০ দিন এবং সরিষা বারি-৯ জীবন কাল ৮০-৯০ দিন । সরিষা বারি-১৪ ফরনে চারটি প্রোকোস্ট থাকে এতে ফলন ভাল হয়। দশমিনায় এই বছর সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ ব্যাপক গতবছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা গাছ ও ফুল ভাল দেখা যায়। এই বছর কৃষকরা ভাল ফলন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠে হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ভরে গেছে। সরিষা ফুলের সমারোহ ফসলের মাঠে ছড়াচ্ছে নান্দনিক সৌন্দর্য আর সরিষা ফুলকে ঘিরে মৌমাছি ও প্রজাপতিরা উড়ছে। আর মৌমাছি মধু আহরণে ব্যস্ত।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনীয় বাস্তবায়ন ও রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সরিষা বারি-১৪ ও বিনা-৯ বীজসহ সার বিতরণ করা হয়। সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহী হয়েছেন সরিষা চাষে। উপজেলার বেতাগি সানকিপুর, বহরমপুর, বাঁশবাড়ীয়, আলীপুর, দশমিনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠে দু’চোখ যতদূর যায় হলুদ আর হলুদের সমারোহ।
উপজেলার দশমিনা সদরের প্রান্তস মন্ডল বলেন, গত বছর আমি ১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করেছি। এই বছর আমি প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষা গাছ ও ফুল ভালো হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা করলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে এবং লাভের মুখ দেখতে পাব। কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে এসে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যান।
কাটাখালীর কামাল আকন বলেন, আমি গতবছর সরিষা চাষ করে ভালো লাভ করেছি এতে সময় কম লাগে বারি-১৪ সরিষার বীজ রোপণের ৭০-৮০ দিন লাগে আর সরিষার দানা হয় চারটি তাই ফলনও বেশি পাওয়া যায় । এ বছর আগের চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বীজ ও সার ও পরামর্শ অফিস থেকে লোাক এসে দিছে। গাছ ও ফুল ভালো ফলন ভালো হবে আশা করছি।
পশ্চিম লক্ষীপুর গ্রামের চাষি, তপন সিকদার বলেন, আমি এ বছর নতুন সরিষা চাষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরিষা বারি ১৪ বীজ এনে ১ হেক্টর জমিতে রোপণ করেছি। সার অফিস থেকে দিয়েছে। গাছ ও ফুল ভালো দেখা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
বেতাগী ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের চাষি রফিক হাওলাদার বলেন, আমি কৃষি অফিস থেকে বিনা-১৪ সরিষা বীজ এনেছি প্রায় ১ হেক্টোর জমিতে চাষ করেছি। তারা সারও দিয়েছে। আমি কীটনাশক দিয়েছি। তারা এসে খোঁজখবর নেয়। আমার জমির সরিষার গাছ ও ফুল ভালো দেখাচ্ছে। ভালো ফলন আশা করি। রণগোপালদীর কৃষক আ. রাজ্জাক বলেন, গতবছরের তুলনায় এ বছর সরিষার গাছ ও ফুল দেখে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। বাজারে দামও বেশি পাওয়ার আশা করছি।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর আহমেদ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধিকে বলেন, তৈল জাতীয় ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭টি ইউনিয়নে রবি মৌসুমে প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বারি-১৪ ও বারি-৯ সরিষা বীজ দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছেন। দশমিনা উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের চাহিদা দেয়া হয়েছে কিন্তু এ বছর ৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা আগের তুলনায় অধিক আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সরিষা বারি-১৪ জীবনকাল ৭৫-৮০ দিন এবং সরিষা বারি-৯ জীবন কাল ৮০-৯০ দিন । সরিষা বারি-১৪ ফরনে চারটি প্রোকোস্ট থাকে এতে ফলন ভাল হয়। দশমিনায় এই বছর সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ ব্যাপক গতবছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা গাছ ও ফুল ভাল দেখা যায়। এই বছর কৃষকরা ভাল ফলন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।