তদারকিও নেই
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না গণপরিবহনে। বাস ও লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। তবে আন্তঃনগর ট্রেনে এক সিট ফাঁকা যাত্রী পরিবহন করা হলেও কমিউটার, মেইল ও লোকাল ট্রেনের অবস্থা খুবই খারাপ। এক সিটে তিন জন করে গাদাগাদি ও দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা বিভিন্ন ট্রেন। নির্দেশনা দিয়েই শেষ, কিন্তু তদারকির কোন লক্ষণ নেই।
রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস ও মিনিবাসে একই অবস্থা। সিট অনুযায়ী যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও তা মানছে না পরিবহন চালকরা। এছাড়া যাত্রী, চালক ও হেলপারের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেককেই তা মানতে দেখা যায়নি।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র বিধিনিষেধের ৫ দফা নির্দেশনার কোনটাই মানছে না পরিবহন চালকরা। প্রতিটি বাসের চালক ও সহকারীর টিকা সনদ থাকতে হবে। বাসের যাত্রী, চালক, সহকারী ও টিকেট বিক্রয়কারীর অবশ্যই মাস্ক থাকতে হবে। প্রতিটি বাসে হ্যান্ড সেনিটাইজার ও জীবানুণাশক দিয়ে যাত্রীদের ব্যাগ ও জিনিসপত্র জীবানুমুক্ত করতে হবে। পরিবহন ছাড়ার আগে ও পরে জীবানুমুক্ত করা এই ৫ দফা নির্দেশনা ছিল বিআরটিএ’র।
এ বিষয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় সুরুজ মিয়া নামের নামের এক সিএনজি চালক বলেন, ‘দেশে এখন আর করোনা নাই। এটা বড় লোকের রোগ। আমাদের মতো গরিব মানুষের কিচ্ছু হবে না।’
মতিঝিল এলাকায় আজিজ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিলে আসলাম ৮ নম্বার নামে একটি বাসে। এই বাসের নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। চালক ও হেলপার কারও মুখেই মাস্ক ছিল না। মাস্ক ছাড়া যাত্রীদেরও কোন তদারকি করা হয়নি। এছাড়া বাসের সিটগুলো ছিল নোংরা ও ময়লাযুক্ত।’
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা বলে দিয়েছি, আগে ২/১ দিন অবজার্ভ করব, তার পরে আমরা একটু অ্যাকশনে যাব। কারণ প্রথম থেকেই অ্যাকশনে যেতে চাই না। আমরা দেখতে চাচ্ছি, উনারা (জনগণ) মানেন কি না (স্বাস্থ্যবিধি)। অলরেডি আমরা প্রশাসনকে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ওয়াচ করতে বলেছি, তারপরে ইনশাল্লাহ আমরা কাল-পরশুর মধ্যে কিছু একটা চেষ্টা করব।’
তদারকিও নেই
সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না গণপরিবহনে। বাস ও লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। তবে আন্তঃনগর ট্রেনে এক সিট ফাঁকা যাত্রী পরিবহন করা হলেও কমিউটার, মেইল ও লোকাল ট্রেনের অবস্থা খুবই খারাপ। এক সিটে তিন জন করে গাদাগাদি ও দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা বিভিন্ন ট্রেন। নির্দেশনা দিয়েই শেষ, কিন্তু তদারকির কোন লক্ষণ নেই।
রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস ও মিনিবাসে একই অবস্থা। সিট অনুযায়ী যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও তা মানছে না পরিবহন চালকরা। এছাড়া যাত্রী, চালক ও হেলপারের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেককেই তা মানতে দেখা যায়নি।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র বিধিনিষেধের ৫ দফা নির্দেশনার কোনটাই মানছে না পরিবহন চালকরা। প্রতিটি বাসের চালক ও সহকারীর টিকা সনদ থাকতে হবে। বাসের যাত্রী, চালক, সহকারী ও টিকেট বিক্রয়কারীর অবশ্যই মাস্ক থাকতে হবে। প্রতিটি বাসে হ্যান্ড সেনিটাইজার ও জীবানুণাশক দিয়ে যাত্রীদের ব্যাগ ও জিনিসপত্র জীবানুমুক্ত করতে হবে। পরিবহন ছাড়ার আগে ও পরে জীবানুমুক্ত করা এই ৫ দফা নির্দেশনা ছিল বিআরটিএ’র।
এ বিষয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় সুরুজ মিয়া নামের নামের এক সিএনজি চালক বলেন, ‘দেশে এখন আর করোনা নাই। এটা বড় লোকের রোগ। আমাদের মতো গরিব মানুষের কিচ্ছু হবে না।’
মতিঝিল এলাকায় আজিজ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিলে আসলাম ৮ নম্বার নামে একটি বাসে। এই বাসের নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। চালক ও হেলপার কারও মুখেই মাস্ক ছিল না। মাস্ক ছাড়া যাত্রীদেরও কোন তদারকি করা হয়নি। এছাড়া বাসের সিটগুলো ছিল নোংরা ও ময়লাযুক্ত।’
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা বলে দিয়েছি, আগে ২/১ দিন অবজার্ভ করব, তার পরে আমরা একটু অ্যাকশনে যাব। কারণ প্রথম থেকেই অ্যাকশনে যেতে চাই না। আমরা দেখতে চাচ্ছি, উনারা (জনগণ) মানেন কি না (স্বাস্থ্যবিধি)। অলরেডি আমরা প্রশাসনকে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ওয়াচ করতে বলেছি, তারপরে ইনশাল্লাহ আমরা কাল-পরশুর মধ্যে কিছু একটা চেষ্টা করব।’