করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই যেন উচ্চ ঝুঁকিতে পড়েছে বিভাগীয় শহর রাজশাহী। চলতি বছরের শুরু জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বিভাগটি এরমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত হলুদ থেকে লাল জোনে প্রবেশ করেছে। এরপরও বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বেড়ে চলেছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে সংক্রণের হার বাড়লেও আপাতত সেভাবে রোগটিতে মৃত্যু বাড়েনি। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য মতে, বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রাজশাহীতে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। সংক্রমণের হার এভাবে বাড়তে থাকলে যেকোন সময় ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০৪ শয্যার বিপরীতে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪২ জন। এরমধ্যে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ৩০ জন। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। আর করোনা ধরা পড়েনি এমন রোগী রয়েছেন দু’জন। মোট ৪২ রোগীর মধ্যে রাজশাহী জেলার ২৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ জন, নওগাঁর ৩ জন, নাটোরের ১ জন, পাবনার ৫ জন, জয়পুরহাটের ১ জন, কুষ্টিয়ার ৩ জন এবং চুয়াডাঙ্গার একজন রোগী রয়েছেন।
হাসপাতাল পরিচালক জানান, শনিবার (২২ জানুয়ারি) রামেক হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৩৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জনের। সর্বশেষ ফলাফলে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার এসেছে ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ওমিক্রন মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রায় ৭০০ সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন রয়েছে। হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা রয়েছে, অক্সিজেন কনসান্ট্রেটর রয়েছে ৩০০টি। এক হাজার ৪০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২৪টি বাইপেপ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে এক হাজার লিটারের একটি ভিআই ট্যাংক। সেই সঙ্গে ভিআই ট্যাংকটি ৩ হাজার লিটারে উন্নীত করার কাজ চলছে।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘আপাতত করোনা ওয়ার্ডে (২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড) প্রশিক্ষিত দুটি চিকিৎসক টিম (১৬ জন) কাজ করছে। এছাড়া করোনা ক্যাবিনে ১২ জন ডাক্তার চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া পর্যাপ্ত নার্সও সেখানে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে গেলে সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তার-নার্স নিয়োগ করা হবে।’
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই যেন উচ্চ ঝুঁকিতে পড়েছে বিভাগীয় শহর রাজশাহী। চলতি বছরের শুরু জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বিভাগটি এরমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত হলুদ থেকে লাল জোনে প্রবেশ করেছে। এরপরও বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বেড়ে চলেছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে সংক্রণের হার বাড়লেও আপাতত সেভাবে রোগটিতে মৃত্যু বাড়েনি। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য মতে, বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রাজশাহীতে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। সংক্রমণের হার এভাবে বাড়তে থাকলে যেকোন সময় ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০৪ শয্যার বিপরীতে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪২ জন। এরমধ্যে আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ৩০ জন। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। আর করোনা ধরা পড়েনি এমন রোগী রয়েছেন দু’জন। মোট ৪২ রোগীর মধ্যে রাজশাহী জেলার ২৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ জন, নওগাঁর ৩ জন, নাটোরের ১ জন, পাবনার ৫ জন, জয়পুরহাটের ১ জন, কুষ্টিয়ার ৩ জন এবং চুয়াডাঙ্গার একজন রোগী রয়েছেন।
হাসপাতাল পরিচালক জানান, শনিবার (২২ জানুয়ারি) রামেক হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৩৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ২৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জনের। সর্বশেষ ফলাফলে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার এসেছে ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ওমিক্রন মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রায় ৭০০ সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন রয়েছে। হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা রয়েছে, অক্সিজেন কনসান্ট্রেটর রয়েছে ৩০০টি। এক হাজার ৪০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২৪টি বাইপেপ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে এক হাজার লিটারের একটি ভিআই ট্যাংক। সেই সঙ্গে ভিআই ট্যাংকটি ৩ হাজার লিটারে উন্নীত করার কাজ চলছে।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘আপাতত করোনা ওয়ার্ডে (২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড) প্রশিক্ষিত দুটি চিকিৎসক টিম (১৬ জন) কাজ করছে। এছাড়া করোনা ক্যাবিনে ১২ জন ডাক্তার চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া পর্যাপ্ত নার্সও সেখানে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে গেলে সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তার-নার্স নিয়োগ করা হবে।’