নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়িতে ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন থেকে ৪৪টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষক পদে ১৩০ জনসহ ১৭৪টি পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য থাকায় শিক্ষক সঙ্কটে পাঠদানে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারসহ শিক্ষা অফিসের লোকবল সঙ্কট থাকায় অফিসের কার্যক্রমও পরিচালনা ধীরগতিতে চলছে। ফলে প্রশাসনিক ও শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজকর্ম যথা সময়ে করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চাটখিলে ১১৭টি স্কুলের মধ্যে ২০টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ ও ৭৪জন সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া ৬ জন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২জন। ফলে ২ জনের পক্ষে এতগুলো বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি করা সম্ভব হয় না। এদিকে অফিসে ৫ জন কর্মচারীর মধ্যে ২টি পদ শূন্য রয়েছে।
এতে করে প্রশাসনিক কার্যক্রম যথাসময়ে করা সম্ভব হয় না। অন্যদিকে সোনাইমুড়িতে ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদসহ ৫৬ জন সহকারী শিক্ষক পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সোনাইমুড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসে হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কসহ ৪টি পদের ৩টি খালি রয়েছে। এতে করে প্রশাসনিক কার্য পরিচালন মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি বিদ্যালয় সরেজমিনে গিয়ে একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা জানান, শিক্ষক সঙ্কট থাকায় পাঠদানসহ বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধনে অভিভাবকেরা শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ কামনা করেন।
এই ব্যাপারে চাটখিল উপজেলা শিক্ষা অফিসার এহছানুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার-বার জানানো হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। অন্যদিকে সোনাইমুড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এমরান হোসেন জানান, তার কার্যালয়ের নিয়মিত কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে লোকবল সঙ্কটে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সঙ্কট থাকায় পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ কিন্তু শিক্ষকরা অবসরে যাচ্ছেন। ফলে এখনই বিকল্প কোন ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করতে পারে।
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়িতে ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন থেকে ৪৪টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষক পদে ১৩০ জনসহ ১৭৪টি পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য থাকায় শিক্ষক সঙ্কটে পাঠদানে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারসহ শিক্ষা অফিসের লোকবল সঙ্কট থাকায় অফিসের কার্যক্রমও পরিচালনা ধীরগতিতে চলছে। ফলে প্রশাসনিক ও শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজকর্ম যথা সময়ে করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চাটখিলে ১১৭টি স্কুলের মধ্যে ২০টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ ও ৭৪জন সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া ৬ জন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২জন। ফলে ২ জনের পক্ষে এতগুলো বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি করা সম্ভব হয় না। এদিকে অফিসে ৫ জন কর্মচারীর মধ্যে ২টি পদ শূন্য রয়েছে।
এতে করে প্রশাসনিক কার্যক্রম যথাসময়ে করা সম্ভব হয় না। অন্যদিকে সোনাইমুড়িতে ১২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদসহ ৫৬ জন সহকারী শিক্ষক পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সোনাইমুড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসে হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কসহ ৪টি পদের ৩টি খালি রয়েছে। এতে করে প্রশাসনিক কার্য পরিচালন মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি বিদ্যালয় সরেজমিনে গিয়ে একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা জানান, শিক্ষক সঙ্কট থাকায় পাঠদানসহ বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধনে অভিভাবকেরা শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ কামনা করেন।
এই ব্যাপারে চাটখিল উপজেলা শিক্ষা অফিসার এহছানুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার-বার জানানো হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। অন্যদিকে সোনাইমুড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এমরান হোসেন জানান, তার কার্যালয়ের নিয়মিত কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে লোকবল সঙ্কটে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সঙ্কট থাকায় পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ কিন্তু শিক্ষকরা অবসরে যাচ্ছেন। ফলে এখনই বিকল্প কোন ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করতে পারে।