পরিবারের দাবি, সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : খালের পাড় থেকে উদ্ধার করা হয় দুই মামলার প্রধান সাক্ষী পীর আলীর মরদেহ। স্বজনের কান্নায় গোটা গ্রাম শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে -সংবাদ
প্রতিদিনের মতো পীর আলী (৩৫) রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাতে পেয়ারা বাগান পাহারা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্ত আর বাড়িতে ফিরে আসেননি তিনি। সকালে গ্রামের খালের পাড় থেকে তার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজনের দাবি, ওই এলাকার দুটি আলোচিত মামলার সাক্ষী ছিলেন পীর আলী। একটি মামলার আসামিরা তাদের পক্ষে সাক্ষীর দেয়ার জন্য হুমকি দিতো। এজন্য তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডিও করেছিলেন। এছাড়াও গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এমন অবস্থায় এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনি সঠিকভাবে বলতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা ও নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে সর্বশেষ তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিদিনই সে রাতে পেয়ারা বাগান পাহারা দিতে যায়। গত রাতেও গিয়েছিল। কিন্ত আর ফিরে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুজি করা হয়েছে। এলাকাবাসী সকালে খালের পাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
শাহিনুর রহমান নামে এক মামলার বাদী জানান, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে গ্রামের কয়েকজন তাকে মারধর করে। সেই মামলায় পীর আলী প্রধান সাক্ষী ছিল। এছাড়াও মেয়েদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শাহানুর নামে আরেক জনের দুই পা কাটা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল পীর আলী। মামলার সাক্ষী দেয়ায় আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিত। এজন্য ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে কালীগঞ্জ থানায় পীর আলী একটি জিডিও করেছিল। খাল পাড়ে পাওয়া তার গলায় ফাঁস দেয়া মৃতদেহ বিষয়টি রহস্যজনক।
পীর আলীর স্ত্রী জোসনা খাতুন জানান, সাংসারে কোন গোলযোগ ছিল না। সে কারও ক্ষতিও করেনি। প্রতিদিন সে রাতে পেয়ারা বাগান পাহারা দিতে যায় আবার রাতেই ফিরে আসে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সকালে খালের পাড়ে তার লাশ পাওয়া গেছে। এখন ২ শিশুকে নিয়ে কোথায় যাবো বলতে বলতে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
নিহত পীর আলীর বাবা সামছুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে কারও ক্ষতি করিনি। কারা এমন ক্ষতি করল আমার ছেলে। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। সাংসারিক তেমন কোন বিষয় নেই যে সে আত্মহত্যা করবে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, খালের পাড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় পীর আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে গাছের ডালে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করলে হয়তো ডালটি ভেঙে পড়তে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব না। পুলিশ আসল রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে।
পরিবারের দাবি, সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : খালের পাড় থেকে উদ্ধার করা হয় দুই মামলার প্রধান সাক্ষী পীর আলীর মরদেহ। স্বজনের কান্নায় গোটা গ্রাম শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে -সংবাদ
প্রতিদিনের মতো পীর আলী (৩৫) রোববার (২৩ জানুয়ারি) রাতে পেয়ারা বাগান পাহারা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্ত আর বাড়িতে ফিরে আসেননি তিনি। সকালে গ্রামের খালের পাড় থেকে তার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবারের লোকজনের দাবি, ওই এলাকার দুটি আলোচিত মামলার সাক্ষী ছিলেন পীর আলী। একটি মামলার আসামিরা তাদের পক্ষে সাক্ষীর দেয়ার জন্য হুমকি দিতো। এজন্য তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডিও করেছিলেন। এছাড়াও গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এমন অবস্থায় এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা এখনি সঠিকভাবে বলতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা ও নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে সর্বশেষ তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রতিদিনই সে রাতে পেয়ারা বাগান পাহারা দিতে যায়। গত রাতেও গিয়েছিল। কিন্ত আর ফিরে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুজি করা হয়েছে। এলাকাবাসী সকালে খালের পাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
শাহিনুর রহমান নামে এক মামলার বাদী জানান, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে গ্রামের কয়েকজন তাকে মারধর করে। সেই মামলায় পীর আলী প্রধান সাক্ষী ছিল। এছাড়াও মেয়েদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শাহানুর নামে আরেক জনের দুই পা কাটা মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল পীর আলী। মামলার সাক্ষী দেয়ায় আসামিরা তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিত। এজন্য ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে কালীগঞ্জ থানায় পীর আলী একটি জিডিও করেছিল। খাল পাড়ে পাওয়া তার গলায় ফাঁস দেয়া মৃতদেহ বিষয়টি রহস্যজনক।
পীর আলীর স্ত্রী জোসনা খাতুন জানান, সাংসারে কোন গোলযোগ ছিল না। সে কারও ক্ষতিও করেনি। প্রতিদিন সে রাতে পেয়ারা বাগান পাহারা দিতে যায় আবার রাতেই ফিরে আসে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সকালে খালের পাড়ে তার লাশ পাওয়া গেছে। এখন ২ শিশুকে নিয়ে কোথায় যাবো বলতে বলতে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
নিহত পীর আলীর বাবা সামছুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে কারও ক্ষতি করিনি। কারা এমন ক্ষতি করল আমার ছেলে। আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। সাংসারিক তেমন কোন বিষয় নেই যে সে আত্মহত্যা করবে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মতলেবুর রহমান জানান, খালের পাড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় পীর আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে গাছের ডালে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করলে হয়তো ডালটি ভেঙে পড়তে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব না। পুলিশ আসল রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে।