আক্রান্ত সারাদেশে প্রায় দেড় লাখ
প্রচন্ড ঠান্ডায় নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের কষ্ট বাড়ছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক তথ্যে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত কারণে সারাদেশে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত শিশুসহ নানা বয়সের প্রায় দেড় লাখের মতো আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৩ জন। তবে হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ও চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের হিসাব স্বাস্ব্য অধিদপ্তরে নেই। ওই সংখ্যা জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোজাম্মেল সংবাদকে জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে প্রতিদিন অনেক শিশু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃবিভাগে যান। অনেক শিশু ফুসফুসের প্রদাহ, ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্কুলের শিশু ছাত্র/ছাত্রীরা অনেকেই এখন ভাইরাসে আক্রান্ত। ৩ থেকে ৪ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে ১২ বছর বয়সের শিশুরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ সংবাদকে জানান, এখন প্রায় বাসায় বাসায় জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশির শিশুরোগী রয়েছে। তিন মাস বয়স থেকে শুরু করে বহু শিশু এখন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। টেস্টে অনেক শিশুর ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৫ হাজার ৫৩০ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৩ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫৩ হাজার ৭১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর শীতজনিত অন্য রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪৮৩ জন।
আমাদের তেঁতুলিয়া প্রতিনিধি জানান, তেঁতুলিয়া এলাকায় প্রচন্ড শীত। তবে দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত বেশি শীত পড়ে। কনকনে শীতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তেঁতুলিয়া ছাড়াও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় শীতে কাঁপছে মানুষ। দরিদ্র জনগণ শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তেঁতুলিয়ায় শিশু ডায়রিয়া রোগী সোমবার ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও পুরো পঞ্চগড়জুড়ে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ অনেক জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে এখন শীত ও সর্দিতে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান জ্বর, সর্দি ও কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে আগে করোনা টেস্ট করা দরকার। করোনা নেগেটিভ হলে অন্য রোগের চিকিৎসা করা। এখন অনেকেই আক্রান্ত হতে পারে। শিশু ও বাদ যাবে না।
আক্রান্ত সারাদেশে প্রায় দেড় লাখ
সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রচন্ড ঠান্ডায় নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের কষ্ট বাড়ছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক তথ্যে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত কারণে সারাদেশে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত শিশুসহ নানা বয়সের প্রায় দেড় লাখের মতো আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৩ জন। তবে হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ও চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের হিসাব স্বাস্ব্য অধিদপ্তরে নেই। ওই সংখ্যা জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোজাম্মেল সংবাদকে জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে প্রতিদিন অনেক শিশু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃবিভাগে যান। অনেক শিশু ফুসফুসের প্রদাহ, ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্কুলের শিশু ছাত্র/ছাত্রীরা অনেকেই এখন ভাইরাসে আক্রান্ত। ৩ থেকে ৪ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে ১২ বছর বয়সের শিশুরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ সংবাদকে জানান, এখন প্রায় বাসায় বাসায় জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি, কাশির শিশুরোগী রয়েছে। তিন মাস বয়স থেকে শুরু করে বহু শিশু এখন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। টেস্টে অনেক শিশুর ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৫ হাজার ৫৩০ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৩ জন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫৩ হাজার ৭১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর শীতজনিত অন্য রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪৮৩ জন।
আমাদের তেঁতুলিয়া প্রতিনিধি জানান, তেঁতুলিয়া এলাকায় প্রচন্ড শীত। তবে দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত বেশি শীত পড়ে। কনকনে শীতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তেঁতুলিয়া ছাড়াও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় শীতে কাঁপছে মানুষ। দরিদ্র জনগণ শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তেঁতুলিয়ায় শিশু ডায়রিয়া রোগী সোমবার ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও পুরো পঞ্চগড়জুড়ে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ অনেক জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে এখন শীত ও সর্দিতে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান জ্বর, সর্দি ও কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হলে আগে করোনা টেস্ট করা দরকার। করোনা নেগেটিভ হলে অন্য রোগের চিকিৎসা করা। এখন অনেকেই আক্রান্ত হতে পারে। শিশু ও বাদ যাবে না।