নাব্যতা সংকটে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র
গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটে নৌরুট বন্ধের পথে -সংবাদ
চরম নাব্য সংকটে পড়েছে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র নদের নৌপথগুলো। চলতি মৌসুমের নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে নদীগুলো হারিয়ে ফেলেছে স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি।
জেলার অভ্যন্তরীণ নাব্য সংকটে ৮০ টি নৌপথই মৃতপ্রায়। তবে, বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং করে দু থেকে তিনটি চালু রাখার চেষ্টা করেও কোন কাজ হচ্ছে না।
নৌপথগুলো বন্ধ হওয়ায় পণ্য পরিবহনে সীমাহীন দুর্ভোগের সাথে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চরাঞ্চল ও দুপাড়ের মানুষজন। বালাসী, ফুলছড়ি, সাঘাটা, কামারজানি, হরিপুর ঘাটে চালু থাকলেও গন্তব্যে পৌছেতে সময় লাগছে ৪ গুণেরও বেশি সময়।
গাইবান্ধা জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তার নদীর দু’পাড়ে ছোট-বড় ৯০টি নৌঘাট থাকলেও বর্তমানে সচল আছে মাত্র ১২টি। ্এতে করে, গাইবান্ধার জেলার সাথে পুর্বপাড়ের জামালুপরের বাহাদুরাবাদ,ঘুঠাইল, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী, চিলমারী আর জেলার অভ্যন্তরনী এরেন্ডাবাড়ি, মোল্লারচর, ফজলুুপুর, কুন্দেরপাড়া, কাপাসিয়া, দিঘলকান্দিসহ বেশ কয়েকটি নৌঘাটের মানুষজনের সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে।
এদিকে,চলতি মৌসুমে নভেম্বর মাসের শেষের দিকেই নৌঘাটগুলো মেইনল্যান্ড থেকে কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার দুরে সরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পড়েছে জেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষজন বিকল্প হিসাবে পায়ে হেটে, ঘোড়ার গাড়ি আবার কখনও অটো বাইকে, কাকড়া (ট্রাক্টর) চরে ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে প্রয়োজনের তাগিদে নৌঘাটে পৌঁছাঁতে হচ্ছে। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।
পরিবর্তনজনিত জলবায়ুর প্রভাবে এমন অবস্থা বলে দাবী সচেতন মহলের। এজন্য চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে নদীগুলো খনন করা প্রয়োজন বলে জানান তারা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। মোল্লারচর ইউনয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হামিদা বেগম জানান, চরাঞ্চলের অন্যতম সমস্যা সুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকা। এজন্য তিনি জনগণকেই দায়ী করে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে আজ এই অবস্থা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ও নদী গবেষক এম. আবদুস সালাম জানান, নদী রক্ষায় জনগণের সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা পরিকল্পিতভাবে নদী ড্রেজিং না করা হলে নদীগুলো ক্রমেই অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদেকুর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের মানুষের সাথে জামালপুর, ময়মিনসিংহ সহ ঢাকার সাথে নৌ যোগাযোগ সবসময় সচল রাখতে নদী খনন করে নাব্য সংকট দুর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
গত দু’বছরে পরিকল্পনা ছাড়াই বিআইডব্লিউটিএ প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা খরচ করে নদী খনন করলেও কোন দুশ্যত কোন কাজ হয়নি। এজন্য গবেষনার মাধ্যমে নদী খনন করে নাব্য সংকট দূরীকরণে সরকার পদক্ষেপ নিবে এমনটাই দাবী করেন এলাকার মানুষজন।
নাব্যতা সংকটে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র
গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটে নৌরুট বন্ধের পথে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
চরম নাব্য সংকটে পড়েছে গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র নদের নৌপথগুলো। চলতি মৌসুমের নভেম্বর মাসের প্রথম থেকে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে নদীগুলো হারিয়ে ফেলেছে স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি।
জেলার অভ্যন্তরীণ নাব্য সংকটে ৮০ টি নৌপথই মৃতপ্রায়। তবে, বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং করে দু থেকে তিনটি চালু রাখার চেষ্টা করেও কোন কাজ হচ্ছে না।
নৌপথগুলো বন্ধ হওয়ায় পণ্য পরিবহনে সীমাহীন দুর্ভোগের সাথে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চরাঞ্চল ও দুপাড়ের মানুষজন। বালাসী, ফুলছড়ি, সাঘাটা, কামারজানি, হরিপুর ঘাটে চালু থাকলেও গন্তব্যে পৌছেতে সময় লাগছে ৪ গুণেরও বেশি সময়।
গাইবান্ধা জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তার নদীর দু’পাড়ে ছোট-বড় ৯০টি নৌঘাট থাকলেও বর্তমানে সচল আছে মাত্র ১২টি। ্এতে করে, গাইবান্ধার জেলার সাথে পুর্বপাড়ের জামালুপরের বাহাদুরাবাদ,ঘুঠাইল, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, রৌমারী, চিলমারী আর জেলার অভ্যন্তরনী এরেন্ডাবাড়ি, মোল্লারচর, ফজলুুপুর, কুন্দেরপাড়া, কাপাসিয়া, দিঘলকান্দিসহ বেশ কয়েকটি নৌঘাটের মানুষজনের সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে।
এদিকে,চলতি মৌসুমে নভেম্বর মাসের শেষের দিকেই নৌঘাটগুলো মেইনল্যান্ড থেকে কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার দুরে সরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পড়েছে জেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষজন বিকল্প হিসাবে পায়ে হেটে, ঘোড়ার গাড়ি আবার কখনও অটো বাইকে, কাকড়া (ট্রাক্টর) চরে ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার অতিক্রম করে প্রয়োজনের তাগিদে নৌঘাটে পৌঁছাঁতে হচ্ছে। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।
পরিবর্তনজনিত জলবায়ুর প্রভাবে এমন অবস্থা বলে দাবী সচেতন মহলের। এজন্য চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে নদীগুলো খনন করা প্রয়োজন বলে জানান তারা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। মোল্লারচর ইউনয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হামিদা বেগম জানান, চরাঞ্চলের অন্যতম সমস্যা সুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকা। এজন্য তিনি জনগণকেই দায়ী করে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে আজ এই অবস্থা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ও নদী গবেষক এম. আবদুস সালাম জানান, নদী রক্ষায় জনগণের সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা পরিকল্পিতভাবে নদী ড্রেজিং না করা হলে নদীগুলো ক্রমেই অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদেকুর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের মানুষের সাথে জামালপুর, ময়মিনসিংহ সহ ঢাকার সাথে নৌ যোগাযোগ সবসময় সচল রাখতে নদী খনন করে নাব্য সংকট দুর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
গত দু’বছরে পরিকল্পনা ছাড়াই বিআইডব্লিউটিএ প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা খরচ করে নদী খনন করলেও কোন দুশ্যত কোন কাজ হয়নি। এজন্য গবেষনার মাধ্যমে নদী খনন করে নাব্য সংকট দূরীকরণে সরকার পদক্ষেপ নিবে এমনটাই দাবী করেন এলাকার মানুষজন।