সরকারের উপরমহলের অনুরোধে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তার আশা, এখানে আসার আগে তার সঙ্গে যে কথা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল আজ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের অনেক উচ্চমহল থেকে কথা বলেছে, তারপর আমি এখানে এসেছি। আশা করি তারা কথা রাখবেন।’
‘আপনারা (সরকারের উপরমহলের প্রতিনিধি) আমার কাছে এসেছেন, আমি আপনাদের কাছে যাই নাই। যেহেতু আপনারা অনুরোধ করেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেব, আপনি গিয়ে এই ছেলেমেয়েদের অনশনের হাত থেকে রক্ষা করেন। আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি।’
এ সময় তার স্ত্রী ও এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বলেন, ‘তারা (সরকারের প্রতিনিধি) আমাদের বাসায় এসেছেন।’
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশ অনশন করছিলেন। ভোর ৪টার দিকে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এরপর অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার কিছু পরে তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান জাফর ইকবাল। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের উঁচু পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গি কী এই প্রশ্নে জাফর ইকবালক বলেন, ‘তারা (সরকারেরপ্রতিনিধি) যখন বলেছেন, দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন, এর মধ্যে কিন্তু এই দাবিটাও পড়েছে। সরকারের হয়তো টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য হয়তো তাদের একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, আমি শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে ফেরাব।’
এ সময় ইয়াসমিন হক বলেন, ‘আমরা আসার আগে ওদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমরা কি আসব? তোমরা কি আমাদের সঙ্গে কথা বলবে? ওরা বলে, “অবশ্যই কথা বলব, ম্যাডাম-স্যার আপনারা আসেন।” তারপর তারা বলে, কাল সকালবেলা নয়, আপনারা রাতেই আসেন।” তাই আমরা রাতেই চলে এসেছি। অনশনে একেক ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমাদের খুবই ভালো লেগেছে, ওরা আমাদের কথাটা শুনেছে, ওরা কথা রেখেছে। ওরা অনশন ভেঙেছে। আমাদের জন্য এটা বড় পাওনা।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।
১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে আসামি করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনার পরই উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয় আন্দোলন।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
সরকারের উপরমহলের অনুরোধে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তার আশা, এখানে আসার আগে তার সঙ্গে যে কথা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল আজ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের অনেক উচ্চমহল থেকে কথা বলেছে, তারপর আমি এখানে এসেছি। আশা করি তারা কথা রাখবেন।’
‘আপনারা (সরকারের উপরমহলের প্রতিনিধি) আমার কাছে এসেছেন, আমি আপনাদের কাছে যাই নাই। যেহেতু আপনারা অনুরোধ করেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেব, আপনি গিয়ে এই ছেলেমেয়েদের অনশনের হাত থেকে রক্ষা করেন। আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি।’
এ সময় তার স্ত্রী ও এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বলেন, ‘তারা (সরকারের প্রতিনিধি) আমাদের বাসায় এসেছেন।’
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশ অনশন করছিলেন। ভোর ৪টার দিকে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এরপর অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার কিছু পরে তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান জাফর ইকবাল। এরপর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের উঁচু পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গি কী এই প্রশ্নে জাফর ইকবালক বলেন, ‘তারা (সরকারেরপ্রতিনিধি) যখন বলেছেন, দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন, এর মধ্যে কিন্তু এই দাবিটাও পড়েছে। সরকারের হয়তো টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য হয়তো তাদের একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, আমি শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে ফেরাব।’
এ সময় ইয়াসমিন হক বলেন, ‘আমরা আসার আগে ওদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমরা কি আসব? তোমরা কি আমাদের সঙ্গে কথা বলবে? ওরা বলে, “অবশ্যই কথা বলব, ম্যাডাম-স্যার আপনারা আসেন।” তারপর তারা বলে, কাল সকালবেলা নয়, আপনারা রাতেই আসেন।” তাই আমরা রাতেই চলে এসেছি। অনশনে একেক ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমাদের খুবই ভালো লেগেছে, ওরা আমাদের কথাটা শুনেছে, ওরা কথা রেখেছে। ওরা অনশন ভেঙেছে। আমাদের জন্য এটা বড় পাওনা।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।
১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে আসামি করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনার পরই উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয় আন্দোলন।