শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান উপাচার্যের পদত্যাগ আন্দোলনে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে গ্রেফতার সাবেক পাঁচ শাবি শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে বিচারকের খাস কামরায় তাদের জামিন শুনানি হয়। শুনানির পর বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া পাঁচজন সাবেক শিক্ষার্থী হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার লক্ষীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা ১২৫/১১ ছাত্তার বিশ্বাস রোডের মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুর মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার একেএম মোশাররফের ছেলে একেএম মারুফ হোসেন (২৭) এবং কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
আর জানা যায়, ওই পাঁচজন শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে বিকেলে আদালতে তুলে জামিনের আবেদন করা হয়। করোনা শনাক্ত হওয়ায় আরেক আসামি নাজমুস সাকিব দ্বীপকে নেয়া হয় হাসপাতালে। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের আটক করে। পরে তাদের এসএমপি সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা (নং-১১(০১)’২২) দায়ের করা হয়।
এর আগে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হবে বলে তারা আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে জানান, আন্দোলনে অনুদান দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক শাবি শিক্ষার্থীদের জামিনও হয়ে যাবে।
ওই মামলায় অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
এসব আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাত দিন ধরে চলা অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান উপাচার্যের পদত্যাগ আন্দোলনে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে গ্রেফতার সাবেক পাঁচ শাবি শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে বিচারকের খাস কামরায় তাদের জামিন শুনানি হয়। শুনানির পর বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া পাঁচজন সাবেক শিক্ষার্থী হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার লক্ষীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা ১২৫/১১ ছাত্তার বিশ্বাস রোডের মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুর মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার একেএম মোশাররফের ছেলে একেএম মারুফ হোসেন (২৭) এবং কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
আর জানা যায়, ওই পাঁচজন শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে বিকেলে আদালতে তুলে জামিনের আবেদন করা হয়। করোনা শনাক্ত হওয়ায় আরেক আসামি নাজমুস সাকিব দ্বীপকে নেয়া হয় হাসপাতালে। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের আটক করে। পরে তাদের এসএমপি সিলেট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা (নং-১১(০১)’২২) দায়ের করা হয়।
এর আগে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হবে বলে তারা আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে জানান, আন্দোলনে অনুদান দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক শাবি শিক্ষার্থীদের জামিনও হয়ে যাবে।
ওই মামলায় অন্য কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
এসব আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাত দিন ধরে চলা অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।