জমি সংক্রান্ত বিরোধে মৃত্যুর নাটক সাজাতে পালিয়েছিলেন অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। এরপর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা করেছিল তার স্ত্রী। তবে তিনবছর পর সেই মৃত অটোচালক শাহাজাহান আলী নাহিদকে (৪০) ৩ বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে শাহজাহান আলীকে আটক করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক’ সাজিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল গ্রামের অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। তিনি সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা মাজার এলাকায় স্ত্রী মতিয়া বেগমকে (৩৫) নিয়ে থাকেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান আলী বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসেননি বলে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম ওই বছরের ৮ এপ্রিল লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এর কয়েক দিন পর গ্রামের বাড়ির পাশে শাজাহানের রক্তমাখা লুঙ্গী ও জামা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া কাপড় স্বামী শাজাহানের ব্যবহৃত বলে স্ত্রী শনাক্ত করে। এরপর শাজাহানকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে দাবি করে দায়ের হয় হত্যা মামলা। দীর্ঘ তিন বছর পর জেলা শহরের মিশনমোড় থেকে নিখোঁজ হওয়া সেই শাজাহানকে জীবিত উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাহান আলীর সঙ্গে তাঁর শ্যালক ও সম্বন্ধীদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম স্বামী শাহজাহান আলী নিখোঁজ মর্মে একটি জিডি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শাহজাহান আলী আত্মগোপনে থাকার সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালাতেন এবং ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। এমন অবস্থায় পুলিশ কৌশলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে লালমনিরহাটে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।
এদিকে শাহজাহান আলীকে আটকের পর লালমনিরহাট সদর থানায় গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শাহজাহান আত্নগোপনে ছিলেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানী করার দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
জমি সংক্রান্ত বিরোধে মৃত্যুর নাটক সাজাতে পালিয়েছিলেন অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। এরপর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা করেছিল তার স্ত্রী। তবে তিনবছর পর সেই মৃত অটোচালক শাহাজাহান আলী নাহিদকে (৪০) ৩ বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে শাহজাহান আলীকে আটক করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক’ সাজিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল গ্রামের অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। তিনি সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা মাজার এলাকায় স্ত্রী মতিয়া বেগমকে (৩৫) নিয়ে থাকেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান আলী বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসেননি বলে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম ওই বছরের ৮ এপ্রিল লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এর কয়েক দিন পর গ্রামের বাড়ির পাশে শাজাহানের রক্তমাখা লুঙ্গী ও জামা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া কাপড় স্বামী শাজাহানের ব্যবহৃত বলে স্ত্রী শনাক্ত করে। এরপর শাজাহানকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে দাবি করে দায়ের হয় হত্যা মামলা। দীর্ঘ তিন বছর পর জেলা শহরের মিশনমোড় থেকে নিখোঁজ হওয়া সেই শাজাহানকে জীবিত উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাহান আলীর সঙ্গে তাঁর শ্যালক ও সম্বন্ধীদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম স্বামী শাহজাহান আলী নিখোঁজ মর্মে একটি জিডি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শাহজাহান আলী আত্মগোপনে থাকার সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালাতেন এবং ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। এমন অবস্থায় পুলিশ কৌশলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে লালমনিরহাটে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।
এদিকে শাহজাহান আলীকে আটকের পর লালমনিরহাট সদর থানায় গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শাহজাহান আত্নগোপনে ছিলেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানী করার দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।