alt

সারাদেশ

লালমনিরহাটে ‘মৃত’ ব্যক্তিকে ৩ বছর পর জীবিত উদ্ধার

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট: : বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

জমি সংক্রান্ত বিরোধে মৃত্যুর নাটক সাজাতে পালিয়েছিলেন অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। এরপর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা করেছিল তার স্ত্রী। তবে তিনবছর পর সেই মৃত অটোচালক শাহাজাহান আলী নাহিদকে (৪০) ৩ বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে শাহজাহান আলীকে আটক করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক’ সাজিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল গ্রামের অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। তিনি সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা মাজার এলাকায় স্ত্রী মতিয়া বেগমকে (৩৫) নিয়ে থাকেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান আলী বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসেননি বলে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম ওই বছরের ৮ এপ্রিল লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এর কয়েক দিন পর গ্রামের বাড়ির পাশে শাজাহানের রক্তমাখা লুঙ্গী ও জামা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া কাপড় স্বামী শাজাহানের ব্যবহৃত বলে স্ত্রী শনাক্ত করে। এরপর শাজাহানকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে দাবি করে দায়ের হয় হত্যা মামলা। দীর্ঘ তিন বছর পর জেলা শহরের মিশনমোড় থেকে নিখোঁজ হওয়া সেই শাজাহানকে জীবিত উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাহান আলীর সঙ্গে তাঁর শ্যালক ও সম্বন্ধীদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম স্বামী শাহজাহান আলী নিখোঁজ মর্মে একটি জিডি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শাহজাহান আলী আত্মগোপনে থাকার সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালাতেন এবং ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। এমন অবস্থায় পুলিশ কৌশলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে লালমনিরহাটে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।

এদিকে শাহজাহান আলীকে আটকের পর লালমনিরহাট সদর থানায় গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শাহজাহান আত্নগোপনে ছিলেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানী করার দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি

মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১ দিন পর নদী থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ছবি

যশোরে শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা, অভিযোগ স্ত্রীর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে

বিএনপিকে দলীয় চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম

সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ চার সংগঠনের

ছবি

স্ত্রীকে কুপিয়ে ১১ টুকরো হত্যা, পালিয়ে গিয়ে ধরা খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে তরুণীকে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ইজিবাইক চালকের

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত ভোলার তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

নৌকাডুবির ঘটনায় দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা নিয়ে বিপাকে নার্সারি ব্যবসায়ীরা

স্মৃতিস্তম্ভ না হওয়ায় মানববন্ধন

কালীগঞ্জে জাতীয় পার্টির গোলটেবিল বৈঠক

মাদারগঞ্জে মিষ্টির দোকানে ভিড়

ছবি

লক্ষ্মীপুরে ১ বছরে পানিতে ডুবে ১২৫ শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মাদারগঞ্জ হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে ময়লার স্তূপ

নবাবগঞ্জে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বোরহানউদ্দিনে রাস্তায় ধান রোপণ করে প্রতিবাদ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

শেরপুরে নাশকতার মামলায় মাদ্রাসা সুপার গ্রেপ্তার

ছবি

খাগড়াছড়ির শহরের বাইরের স্কুলেই বাজিমাত, পাসের হার ৬০.৪৯%

বামনায় নৌবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

মাদ্রাসার মসজিদ থেকে শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

বৃষ্টিতে উপকৃত পাট চাষিরা সবজিতে বিপর্যয়

হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকসহ আসামি ১৩৫

চাঁদপুরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেরোবিতে বিক্ষোভ

ছবি

শেরপুর পৌর শহরে সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ

ছবি

দশমিনায় ১টি স্কুলে কেউ পাস করেনি

ছবি

নির্বিচারে নিধন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ

ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহিতাকে অন্ধকারে তালাবদ্ধ করে রাখলেন বিআরডিবির মাঠকর্মী

রাউজানে ডায়াবেটিস সচেতনতায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান কারাগারে

ঝিকরগাছায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিতকরণে সচেতনতামূলক সভা

tab

সারাদেশ

লালমনিরহাটে ‘মৃত’ ব্যক্তিকে ৩ বছর পর জীবিত উদ্ধার

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট:

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

জমি সংক্রান্ত বিরোধে মৃত্যুর নাটক সাজাতে পালিয়েছিলেন অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। এরপর প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যা মামলা করেছিল তার স্ত্রী। তবে তিনবছর পর সেই মৃত অটোচালক শাহাজাহান আলী নাহিদকে (৪০) ৩ বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে শাহজাহান আলীকে আটক করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক’ সাজিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল গ্রামের অটোরিকশাচালক শাহজাহান আলী। তিনি সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা মাজার এলাকায় স্ত্রী মতিয়া বেগমকে (৩৫) নিয়ে থাকেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান আলী বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে বাইরে গিয়ে আর ফিরে আসেননি বলে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম ওই বছরের ৮ এপ্রিল লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এর কয়েক দিন পর গ্রামের বাড়ির পাশে শাজাহানের রক্তমাখা লুঙ্গী ও জামা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া কাপড় স্বামী শাজাহানের ব্যবহৃত বলে স্ত্রী শনাক্ত করে। এরপর শাজাহানকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে দাবি করে দায়ের হয় হত্যা মামলা। দীর্ঘ তিন বছর পর জেলা শহরের মিশনমোড় থেকে নিখোঁজ হওয়া সেই শাজাহানকে জীবিত উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহজাহান আলীর সঙ্গে তাঁর শ্যালক ও সম্বন্ধীদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা আছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর স্ত্রী মতিয়া বেগম স্বামী শাহজাহান আলী নিখোঁজ মর্মে একটি জিডি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শাহজাহান আলী আত্মগোপনে থাকার সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালাতেন এবং ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। এমন অবস্থায় পুলিশ কৌশলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে লালমনিরহাটে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।

এদিকে শাহজাহান আলীকে আটকের পর লালমনিরহাট সদর থানায় গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাকে শনাক্ত করেন।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শাহজাহান আত্নগোপনে ছিলেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানী করার দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

back to top