কক্সবাজার । ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। খালি রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকতে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু আজকের চিত্র পুরো উল্টো। অধিকাংশ হোটেল পর্যটক শূন্য। ফলে এখানকার পর্যটন ব্যবসায় ফের চলছে মন্দাভাব।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে। এই অবস্থা বিরাজ করলে ফের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু পর্যটকের আগমন ঘটলেও তারা মানেননি স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই ব্যবহার করেনি মাস্ক। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকত এলাকায় মাইকিং করতে দেখা গেছে।
পর্যটক শূন্য কক্সবাজার । ছবি: সংবাদ
পুরান ঢাকা থেকে আসা হাসান জামাল বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজারে গতকাল সন্ধ্যায় বেড়াতে এসেছি। আজ এবং কাল থাকবো। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানোর মজাই আলাদা। মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব কেনো মানছেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আর মাস্ক পরি না। অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে আসে।
সিলেট হবিগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রাজিব আহমেদ বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশটা বেশ ভালোই লেগেছে। তবে খাবারের দাম বেশি মনে হচ্ছে। কেন মাস্ক পরেনি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, করোনার ৩টি ডোজ নিয়েছি। এখন মাস্ক না পরলেও সমস্যা নেই বলে মনে করি।
পর্যটক শূন্য কক্সবাজার । ছবি: সংবাদ
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিশেনের (টোয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, আজ পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা কম। দিনে দিনে এভাবে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেলে ফের বড় লোকসানের মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নবাগত সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকতে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু আজ চিত্র পুরো উল্টো। অধিকাংশ হোটেল পর্যটক শূন্য। এতে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।
পর্যটক শূন্য কক্সবাজার । ছবি: সংবাদ
কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ মুকুল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। পর্যটকের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সৈকত এলাকায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে করোনা সচেতনতার লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকসহ সাধারণ জনগণের মাঝে মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
কক্সবাজার । ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। খালি রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকতে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু আজকের চিত্র পুরো উল্টো। অধিকাংশ হোটেল পর্যটক শূন্য। ফলে এখানকার পর্যটন ব্যবসায় ফের চলছে মন্দাভাব।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে। এই অবস্থা বিরাজ করলে ফের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিছু পর্যটকের আগমন ঘটলেও তারা মানেননি স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই ব্যবহার করেনি মাস্ক। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সৈকত এলাকায় মাইকিং করতে দেখা গেছে।
পর্যটক শূন্য কক্সবাজার । ছবি: সংবাদ
পুরান ঢাকা থেকে আসা হাসান জামাল বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজারে গতকাল সন্ধ্যায় বেড়াতে এসেছি। আজ এবং কাল থাকবো। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানোর মজাই আলাদা। মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব কেনো মানছেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আর মাস্ক পরি না। অ্যাজমা সমস্যা রয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করলে দম বন্ধ হয়ে আসে।
সিলেট হবিগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রাজিব আহমেদ বলেন, কক্সবাজারের পরিবেশটা বেশ ভালোই লেগেছে। তবে খাবারের দাম বেশি মনে হচ্ছে। কেন মাস্ক পরেনি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, করোনার ৩টি ডোজ নিয়েছি। এখন মাস্ক না পরলেও সমস্যা নেই বলে মনে করি।
পর্যটক শূন্য কক্সবাজার । ছবি: সংবাদ
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিশেনের (টোয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, আজ পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা কম। দিনে দিনে এভাবে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেলে ফের বড় লোকসানের মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নবাগত সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকতে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু আজ চিত্র পুরো উল্টো। অধিকাংশ হোটেল পর্যটক শূন্য। এতে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।
পর্যটক শূন্য কক্সবাজার । ছবি: সংবাদ
কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ মুকুল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। পর্যটকের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সৈকত এলাকায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে করোনা সচেতনতার লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকসহ সাধারণ জনগণের মাঝে মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।