alt

সারাদেশ

সজিনা ফুলে ফুলে সেজেছে প্রকৃতি

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ : শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে সাদা ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সজিনা গাছগুলো। প্রকৃতি সেজেছে যেন তার আপন মহিমায়।

ষড় ঋতুর দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। সুজলা সুফলা, শস্য শ্যামল ভরা আমাদের এ বাংলাদেশের একেকটি ঋতুর একেক রুপে ও রঙ নিয়ে হাজির হয়। ঠিক তেমনি আত্রাই উপজেলার বাড়ির আনাচে-কানাচে ও রাস্তার পাশে থাকা সজিনার গাছগুলো থোকায় থোকায় সাদা সাদা ফুলে ভরে উঠেছে। মৌ মৌ করছে চারিপাশ। সজিনা গাছের ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে। তাই পাতা শূন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলেই মহিত হয়।

সজিনা বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। অলৌকিক গাছ হিসেবে সজিনা পরিচিত। ইংরেজিতে সজিনার নাম ‘ড্রামস্ট্রিক’ যার অর্থ ঢোলের লাঠি। নামটি অদ্ভুত হলেও এটি অতিপ্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী সবজি জাতীয় একটি উদ্ভিদ। এই সজিনা গাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হন বাড়ির গৃহিনীরা। তারা সজিনা মৌসুমে সজিনা বিক্রি করে হাতের খরচ হিসেবে অর্থ সঞ্চয় করেন।

এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, বাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টিগুন অনেক বেশি। এ গাছের অনেকগুণ থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভর্তা করে ও বড়া ভেজে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। ফল সবজির মতো রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সেসব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক সজিনা গাছ আছে। প্রতি বাড়িতে কমপক্ষে ৩-৪টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ির পাশে ও খেতের আইলে লাগানো হয়। গাছে ফলনও বেশি হয়। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে ২টি জাত আছে সজিনা ও নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারিতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মতো ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেমি. থেকে ৮০ সেমি. পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপণ করলে সজিনা গাছ তৈরি হয়। সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজনের ডাল রোপণ করতে উৎসাহিত হয়। বসতবাড়ির আশে পাশে রাস্তার ধারে খেতের আইলে লাগানো সজিনা গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুণ সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। সজিনার ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই সবজিটি বাজারে মৌসুমের শুরুর দিকে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন জানান, অলৌকিক গাছ সজিনা। ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু পরিবেশে এই গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ উপজেলার মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে। উপজেলার প্রতি বাড়িতে কমবেশি ৫-৬টি করে সজিনা গাছ আছে। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত সজিনা ঢাকাসহ পুরো দেশে চালান হয়।

দিন দিন পরিত্যক্ত জায়গায় সজিনা গাছ তৈরির আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উপজেলায় সজিনা গাছের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজনের উচ্চ মূল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।

ছবি

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারী ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

ছবি

আবু সাইদ হত্যা মামলা, গনশুনানী না করে চার্জসীট দাখিল করার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ

ছবি

“বিদেশি ইজারার বিরুদ্ধে রোড মার্চ শেষ, বাম জোটের হুঁশিয়ারি আগামী কর্মসূচির”

ছবি

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ স্থলবন্দর অচল, ক্ষতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প

ছবি

‘বিদেশিদের দেব না’ স্লোগানে চট্টগ্রাম বন্দর ঘেরাও কর্মসূচি সম্পন্ন

ছবি

ছাত্র-জনতার সমাবেশে হামলার মামলায় থানায় নেওয়া হয় দীপঙ্করকে

ছবি

সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের ৫ নেতাকর্মীর মৃত্যু

ছবি

রথযাত্রায় লাখো সনাতনীদের ঢল

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই এমন প্রশিক্ষণ আইসিটি ডিভিশন দেবে না : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

বিপিও সামিটে কর্মক্ষেত্রে নারীর সাফল্য বিষয়ক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত

ছবি

বর্ষায় প্রকৃতির শোভা : সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটন্ত কদম ফুল

মোহনগঞ্জের হাওরে বিলুপ্তির পথে দেশি মাছ

নবাবগঞ্জে করোনা উপসর্গে একজনের মৃত্যু

রাজবাড়ীতে ট্রাক-ইজিবাইক সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

ছবি

বাড়ছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব

ছবি

স্থলপথে ৯ পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসায়ীরা হতাশ

নবাবগঞ্জে ডোবা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

চাটখিলে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, মাদ্রাসা পরিচালককে গণধোলাই

ছবি

চট্টগ্রামে হচ্ছে বিএসটিআইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি : শিল্প উপদেষ্টা

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় মৃত ৪

বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ

আবু সাঈদের ছবি বিকৃতির অভিযোগে আটক ১

ছবি

দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীসহ এলাকাবাসী

ছবি

কালীগঞ্জে ঐতিহ্যের কোন্দার শেষ চিহ্ন ধরে রেখেছেন কয়েকজন কারিগর

শ্রীপুরে পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু ২

আবু সাউদ মাসুদ-আফজাল হোসেন পন্টি প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

পবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে মাদকসহ আটক ১

নান্দাইলে সাবেক মন্ত্রীকন্যা ও এমপিসহ ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের প্রবেশমুখে ময়লার ভাগাড়, জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

নবাবগঞ্জে বাইক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

চাটখিলে বসতঘরে ভাঙচুর, আহত দুই

কিস্তির টাকা না পেয়ে বৃদ্ধার ঘরে তালা

ছবি

চকরিয়ার মগবাজার-মাছঘাট সড়কে শতাধিক খানাখন্দ, জনদুর্ভোগ

ছবি

যানজটে নাকাল দশমিনার মানুষ

ছবি

চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্রেনের ৪টি ওয়াগন লাইনচ্যুত

চট্টগ্রামে আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত

tab

সারাদেশ

সজিনা ফুলে ফুলে সেজেছে প্রকৃতি

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ

শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে সাদা ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সজিনা গাছগুলো। প্রকৃতি সেজেছে যেন তার আপন মহিমায়।

ষড় ঋতুর দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। সুজলা সুফলা, শস্য শ্যামল ভরা আমাদের এ বাংলাদেশের একেকটি ঋতুর একেক রুপে ও রঙ নিয়ে হাজির হয়। ঠিক তেমনি আত্রাই উপজেলার বাড়ির আনাচে-কানাচে ও রাস্তার পাশে থাকা সজিনার গাছগুলো থোকায় থোকায় সাদা সাদা ফুলে ভরে উঠেছে। মৌ মৌ করছে চারিপাশ। সজিনা গাছের ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে। তাই পাতা শূন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলেই মহিত হয়।

সজিনা বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। অলৌকিক গাছ হিসেবে সজিনা পরিচিত। ইংরেজিতে সজিনার নাম ‘ড্রামস্ট্রিক’ যার অর্থ ঢোলের লাঠি। নামটি অদ্ভুত হলেও এটি অতিপ্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী সবজি জাতীয় একটি উদ্ভিদ। এই সজিনা গাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হন বাড়ির গৃহিনীরা। তারা সজিনা মৌসুমে সজিনা বিক্রি করে হাতের খরচ হিসেবে অর্থ সঞ্চয় করেন।

এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, বাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টিগুন অনেক বেশি। এ গাছের অনেকগুণ থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভর্তা করে ও বড়া ভেজে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। ফল সবজির মতো রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সেসব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক সজিনা গাছ আছে। প্রতি বাড়িতে কমপক্ষে ৩-৪টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ির পাশে ও খেতের আইলে লাগানো হয়। গাছে ফলনও বেশি হয়। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে ২টি জাত আছে সজিনা ও নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারিতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মতো ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেমি. থেকে ৮০ সেমি. পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপণ করলে সজিনা গাছ তৈরি হয়। সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজনের ডাল রোপণ করতে উৎসাহিত হয়। বসতবাড়ির আশে পাশে রাস্তার ধারে খেতের আইলে লাগানো সজিনা গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুণ সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। সজিনার ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই সবজিটি বাজারে মৌসুমের শুরুর দিকে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন জানান, অলৌকিক গাছ সজিনা। ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু পরিবেশে এই গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ উপজেলার মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে। উপজেলার প্রতি বাড়িতে কমবেশি ৫-৬টি করে সজিনা গাছ আছে। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরনের দুর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত সজিনা ঢাকাসহ পুরো দেশে চালান হয়।

দিন দিন পরিত্যক্ত জায়গায় সজিনা গাছ তৈরির আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উপজেলায় সজিনা গাছের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজনের উচ্চ মূল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।

back to top