alt

সারাদেশ

টাঙ্গাইলে বৃষ্টির পানিতে ভাসছে পাকা ধান : বিপাকে কৃষকরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল : শনিবার, ১৪ মে ২০২২

ঘূণিঝড় ‘আসানি’র প্রভাবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের পাকা-আধাপাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিমাত্রায় ভারী বৃষ্টির কারণে জমিতেই ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি পাকা ধান। আবার এই বৃষ্টির পানিতে শতশত হেক্টর জমির পাকা ধান তলিয়ে পচে তা নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে ৯০০ টাকা দিন মজুরিতেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। ফলে চোখে-মুুখে হতাশা আর চরম দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া ধোপা চড়া বিল, বিল চাপড়া বিল, চর নিকলা বিল, খড়ক বিলে দেখা যায়, হাঁটু পানিতে নেমে ধান কাটছে কৃষকরা। আবার কেউ কাটা ধান নৌকাযোগে উঁচু স্থানে তুলছে। আবার কেউ পানিতে ভাসমান অবস্থায় ছড়িয়ে থাকা কাটা ধানগুলো একত্র করছে। কেউ কেউ ধান মাড়াই করছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধান পানিতে ডুবে পড়ায় চারাও গজিয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১২টি উপজেলায় মোট ১ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ হাজার ৫০০ হেক্টর। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ভূঞাপুর, নাগরপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার ও বাসাইলের আংশিক কিছু নিচু এলাকাসহ প্রায় ৫০ ভাগ নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে এবং বাতাসের কারণে শুয়ে পড়েছে।

এদিকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া মাঠের ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। প্রতিনিয়ত ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসে খেতের ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। তার মধ্যে আবার আসানি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণ হওয়ায় খেতগুলোতে দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে কাটা ধানগুলো মাড়াইয়ের পর ভেজা ধান শুকানো নিয়েও রয়েছে বেশ দুর্ভোগ। বৃষ্টির কারণে বাড়ির উঠানেও কাদা হয়। সড়কেও ধান শুকাতে পারছেন না তারা।

কৃষকরা জানায়, এ বছর ১ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। তার মধ্যে ধানের চারা রোপন খরচ, ট্রাক্টর হাল চাষ খরচ, সার-কীটনাশক খরচ। এখন ধান কাটার মৌসুম। এই সময়ে প্রতিটি শ্রমিকের মজুরি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। স্বাভাবিক ছয়জন শ্রমিকে ১ বিঘার জমির ধান কাটতে পারলে পানি থাকায় ডাবল শ্রমিক লাগছে। এতে করে বর্তমান সময়ে ১ বিঘার জন্য শুধু কাটতেই খরচ হচ্ছে ৯ থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, পাকা ধান পানির নিচে হাবুডুবু

খাচ্ছে। ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২ দিনের বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে গেছে। শ্রমিক না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া একজন শ্রমিক দিনে ১ মণ ধান কাটতেও পারে না পানির কারণে। এমন অবস্থায় ১ মণ ধানে ১ জন শ্রমিক নিয়েও বিপাকে। কিন্তু অনেকটা বাধ্য হয়ে দ্রুত ধান কাটার জন্য সিরিয়াল দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে। কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের ধানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। ঈদের আগে শুকনো ছিল জমি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে পাকা ধান শুয়ে পড়েছে। এতে করে ধান কাটতে কষ্ট হচ্ছে। আবার পানি থাকায় কেউ কামলাও দিতে চাচ্ছে না। তাই নিজেই কাটতেছি দুই দিন ধরে। তবে ধান কাটতে যত না কষ্ট, তার চেয়ে বেশি কষ্ট উঁচু স্থানে তুলতে। সরকার যদি আমাদের কৃষকদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিত তাহলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যেত।

ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, উপজেলায় ইতোমধ্যে ৪৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ধান কাটার অপেক্ষায় ছিল। তবে ২ দিনের বৃষ্টি আর আসানির প্রভাবে কিছু ধান শুয়ে পড়েছে। কিন্তু ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। তারপরও ধান কাটা অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে যদি ধান কাটতে পারে, তাহলে আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার জানান, গত দুই দিনে ঘূর্ণিঝড় আসানিতে কিছু কিছু উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের বোরো ধানের জমিতে পানি প্রবেশ ও পানিতে তলিয়ে গেলেও পাকা ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটা হয়েছে। ১২টি উপজেলায় ৫০% ভর্তুকিতে ১৫০টি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। আগামী দেড় থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে আশা করছি।

বিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, ১ ভুয়া নার্স আটক

ছবি

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জনগণকে ‘রুখে দাঁড়াতে’ বললেন আইন উপদেষ্টা

নন্দীগ্রামে বাসের চাপায় মটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই নিহত

সিলেটে গর্ভবতী স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, মৃত সন্তান প্রসব

বগুড়ায় ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

লালপুরে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে গুলি বর্ষণের ঘটনায় আটক ২

টঙ্গীতে মাহফুজ হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

ঝিকরগাছায় ভিজিডির চালে ওজনে কম, বিতরণ বন্ধ

শ্রীমঙ্গলে টি টেস্টিং ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষণ

ছবি

ধনবাড়ীতে বাড়িঘর ভাঙচুর স্বর্ণালংকার ও শুঁটকি লুট

পদ্মায় বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ছবি

দশমিনায় মাচায় ধুন্দল চাষে খরচ কম, লাভ দ্বিগুণ

বগুড়ায় অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় দুর্ভোগ

সুন্দরগঞ্জে ডিলার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ভালুকায় দুই শিশু সন্তান ও মাকে জবাই করে হত্যা

সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন নয় নাহিদ ইসলাম

ছবি

অবৈধভাবে ট্রলার বোঝাই ১৮ বস্তা চিংড়ি শুঁটকি জব্দ

কসবায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৬

চাটখিলে মুক্তিযোদ্ধার ঘর জবরদখল, প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

ছবি

সাতক্ষীরার শিক্ষাঙ্গনে কোমর পানি, পাঠদান-পরীক্ষা ব্যাহত

ট্রলারসহ ভারতীয় জেলে আটক

হবিগঞ্জে-ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২

ছবি

সিরাজগঞ্জে এবার পাট চাষে বাম্পার ফলনের আশা

শহরকে যানজটমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে : ডিসি

মাদারগঞ্জে কলেজছাত্রকে গলা কেটে হত্যা, গুরুতর আহত ১

ছবি

জিনারদীতে নরসিংদী কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন

কাঁঠালিয়ায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ভোলাহাটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

ছবি

একটি সেতুতে পাল্টে গেল ১৫ গ্রামের মানুষের জীবন

ময়মনসিংহে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পলাশে ইয়াবা টেবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ভারপ্রাপ্তের কারণে আটকে আছে শূন্যপদে নিয়োগ, দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা

ছবি

দশমিনায় জেলে পল্লীতে নীরবতা ও হতাশা, নদীতে ইলিশ মাছের আকাল

খাগড়াছড়ির শান্তি পরিবহন ও মোটর সংঘর্ষে নিহত ২

tab

সারাদেশ

টাঙ্গাইলে বৃষ্টির পানিতে ভাসছে পাকা ধান : বিপাকে কৃষকরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

শনিবার, ১৪ মে ২০২২

ঘূণিঝড় ‘আসানি’র প্রভাবে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের পাকা-আধাপাকা বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিমাত্রায় ভারী বৃষ্টির কারণে জমিতেই ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি পাকা ধান। আবার এই বৃষ্টির পানিতে শতশত হেক্টর জমির পাকা ধান তলিয়ে পচে তা নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে ৯০০ টাকা দিন মজুরিতেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। ফলে চোখে-মুুখে হতাশা আর চরম দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া ধোপা চড়া বিল, বিল চাপড়া বিল, চর নিকলা বিল, খড়ক বিলে দেখা যায়, হাঁটু পানিতে নেমে ধান কাটছে কৃষকরা। আবার কেউ কাটা ধান নৌকাযোগে উঁচু স্থানে তুলছে। আবার কেউ পানিতে ভাসমান অবস্থায় ছড়িয়ে থাকা কাটা ধানগুলো একত্র করছে। কেউ কেউ ধান মাড়াই করছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধান পানিতে ডুবে পড়ায় চারাও গজিয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১২টি উপজেলায় মোট ১ লাখ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ হাজার ৫০০ হেক্টর। জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ভূঞাপুর, নাগরপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার ও বাসাইলের আংশিক কিছু নিচু এলাকাসহ প্রায় ৫০ ভাগ নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে এবং বাতাসের কারণে শুয়ে পড়েছে।

এদিকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া মাঠের ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। প্রতিনিয়ত ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসে খেতের ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। তার মধ্যে আবার আসানি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণ হওয়ায় খেতগুলোতে দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে কাটা ধানগুলো মাড়াইয়ের পর ভেজা ধান শুকানো নিয়েও রয়েছে বেশ দুর্ভোগ। বৃষ্টির কারণে বাড়ির উঠানেও কাদা হয়। সড়কেও ধান শুকাতে পারছেন না তারা।

কৃষকরা জানায়, এ বছর ১ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। তার মধ্যে ধানের চারা রোপন খরচ, ট্রাক্টর হাল চাষ খরচ, সার-কীটনাশক খরচ। এখন ধান কাটার মৌসুম। এই সময়ে প্রতিটি শ্রমিকের মজুরি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। স্বাভাবিক ছয়জন শ্রমিকে ১ বিঘার জমির ধান কাটতে পারলে পানি থাকায় ডাবল শ্রমিক লাগছে। এতে করে বর্তমান সময়ে ১ বিঘার জন্য শুধু কাটতেই খরচ হচ্ছে ৯ থেকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, পাকা ধান পানির নিচে হাবুডুবু

খাচ্ছে। ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২ দিনের বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে গেছে। শ্রমিক না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া একজন শ্রমিক দিনে ১ মণ ধান কাটতেও পারে না পানির কারণে। এমন অবস্থায় ১ মণ ধানে ১ জন শ্রমিক নিয়েও বিপাকে। কিন্তু অনেকটা বাধ্য হয়ে দ্রুত ধান কাটার জন্য সিরিয়াল দিয়ে শ্রমিক নিতে হচ্ছে। কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের ধানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। ঈদের আগে শুকনো ছিল জমি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে পাকা ধান শুয়ে পড়েছে। এতে করে ধান কাটতে কষ্ট হচ্ছে। আবার পানি থাকায় কেউ কামলাও দিতে চাচ্ছে না। তাই নিজেই কাটতেছি দুই দিন ধরে। তবে ধান কাটতে যত না কষ্ট, তার চেয়ে বেশি কষ্ট উঁচু স্থানে তুলতে। সরকার যদি আমাদের কৃষকদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিত তাহলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যেত।

ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, উপজেলায় ইতোমধ্যে ৪৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ধান কাটার অপেক্ষায় ছিল। তবে ২ দিনের বৃষ্টি আর আসানির প্রভাবে কিছু ধান শুয়ে পড়েছে। কিন্তু ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। তারপরও ধান কাটা অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে যদি ধান কাটতে পারে, তাহলে আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার জানান, গত দুই দিনে ঘূর্ণিঝড় আসানিতে কিছু কিছু উপজেলায় নিম্নাঞ্চলের বোরো ধানের জমিতে পানি প্রবেশ ও পানিতে তলিয়ে গেলেও পাকা ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটা হয়েছে। ১২টি উপজেলায় ৫০% ভর্তুকিতে ১৫০টি হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। আগামী দেড় থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে ৯০ ভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে আশা করছি।

back to top