কাটেনি ভোজ্যতেল নিয়ে সংকট
একের পর এক অভিযান চলছে সারাদেশেই, গুনতে হচ্ছে জরিমানা, তারপরও চলছে ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি। অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা গোপনে মজুদ তেল দোকানে সরবরাহ করছে না। শনিবারও (১৪ মে) দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ তেল উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে কোখাও কোথাও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবরে দোকানে তেল বিক্রিই বন্ধ করে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, জেলা বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিদিদের পাঠানো খবর-
জেলা বার্তা পরিবেশক, মৌলভীবাজার : দুই দিনে জেলার বড়লেখার হাজীপুর ও কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারের ব্যবসায়ীদের গুদাম থেকে অন্তত ১২ হাজার ৬৬৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোক্তা অধিকার মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজারে মেসার্স সালাউদ্দিন স্টোরের তিনটি গুদামে র্যাব-৯ এর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ঈদের আগে আগের দামে ক্রয়কৃত ৯ হাজার ১৬৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার (১২ মে) জেলার বড়লেখা উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারের মেসার্স সামছু ভ্যারাইটিজ স্টোরের গুদাম থেকে আগের দামে ক্রয় করে মজুদকৃত ৩ হাজার ৫০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। এ সময় মেসার্স সামছু ভ্যারাইটিজ স্টোর সাময়িকভাবে বন্ধ ও সিলগালা করা হয়।
মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন জানান, উদ্ধারকৃত তেল জব্দ করে খুচরা দোকানদারদের নিকট আগের দামে বিক্রয় করে।
সিলেটে সাড়ে ৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ : এদিকে সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়ার একটি গুদাম থেকে সাড়ে ৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার দুপুরে দাড়িয়াপাড়া এলাকার রসময় স্কুলের পাশে জনপ্রিয় স্টোর নামের একটি দোকানের গুদাম থেকে এই তেল জব্দ করা হয়। জনপ্রিয় স্টোরের স্বত্বাধিকারী সুজন রায় রূপচাদা সয়াবিন তেলের ডিলার।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, জব্দকৃত তেল আগের দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযান চলাকালে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সুজন রায়।
সয়াবিন তেল মজুদ ও অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগে গত ৮ মে থেকে সিলেটে অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত পাঁচ দিনের অভিযানে সিলেট বিভিাগের চার জেলা থেকে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার লিটার তেল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত তেল ক্রেতাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয় এবং মজুদকারীদের জরিমানা করে ভেক্তা অধিদপ্তর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোজ্যতেলের দোকান এবং গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২শ’ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার দুপুরে শহরের আনন্দবাজারের নিয়ামত স্টোরে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ রাখার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিয়ামত উল্লাহকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষে জব্দ করা প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৭৬০ টাকা করে বোতলের গায়ের দামে উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের আনন্দবাজারের নিয়ামত স্টোরে এবং তার গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সয়াবিন তেল মজুদ রাখার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিয়ামত উল্লাহকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দকরা সয়াবিন তেল বোতলেরর গায়ের দামে বিক্রি করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রংপুর : প্রশাসনের কঠোর নজরদারি আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভোজ্যতেল বেশি দামে বিক্রি ও অবৈধভাবে গুদামজাত করার বিরুদ্ধে অব্যাহত অভিযানের মুখে রংপুর নগরীর প্রধান কাঁচাবাজার সিটি বাজারসহ সব মার্কেটে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ গ্রাহক ভোজ্যতেল কিনতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছে।
তারা এ ঘটনার জন্য ব্যবসায়ীদের দায়ী করে বলেছে, ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। সরেজমিন বিভাগীয় নগরীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার সিটি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে কোন দোকানেই ভোজ্যতেল নেই। প্রায় আড়াই শতাধিক দোকানের কোন দোকানেই সয়াবিন ও পাম তেল নেই। দোকানিরা বলছেন, আগে লিটারপ্রতি ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমিশন পেতেন, দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের কমিশন দেয়া হচ্ছে না। তার ওপর প্রশাসনের হয়রানি আর অভিযানের কারণে তারা ভোজ্যতেল শনিবার সকাল থেকে বিক্রি করছেন না।
এ ব্যাপারে সিটি বাজারের দোকানদার সাইফুল ইসলাম জানালেন, আমরা ঝামেলায় পড়তে চাই না। অহেতুক আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফলে আমরা ভোজ্যতেল বিক্রি করছি না। একই কথা বললেন আর এক ব্যবসায়ী মমতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, এখন পর্যপ্ত সাপ্লাই নেই। আমাদের বিভিন্ন কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করতে পারছে না। অন্যদিকে সরকার প্রতি লিটার তেলের দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা করেছে আর বিক্রিও কমে গেছে। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকারের অভিযান কারণ ছাড়াই জরিমানা আদায়সহ হয়রানির কারণে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমিতি বা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতি কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি-না সে ব্যাপারে কোন ব্যবসায়ী কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে সাধারণ ক্রেতারা অঘোষিত ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করে বলেছে অল্প দামে কিনে গুদামজাত করে রেখে গ্রাহকদের জিম্মি করে লিটারপ্রতি ২৫-৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে তারা। ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা কি জিম্মি থাকবো?
নগরীর মুলাটোলা এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মচারী সালাম অভিযোগ করেন, সিটি বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরেও তিনি এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারেননি। দোকানিরা বলছেন, তেল মিলছে না। একই অভিযোগ করলেন নার্গিস পারভীন নামে এক গৃহবধূসহ অনেকে।
বদরগঞ্জ (রংপুর) : রংপুরের বদরগঞ্জে নির্ধারিত দামের চেয়ে পণ্যের দাম বেশি নেয়ায় দুই ব্যবসায়ীর অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পৌরশহরের কথাকলি রোডের ব্যবসায়ী সুনীল চন্দ্র রায় এবং থানা রোডের গবাদিপশুর ওষুধ ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান মন্ডল।
শনিবার দুপুরে পৌরশহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যবসায়ীর অর্থদন্ড করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ বলেন, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কাটেনি ভোজ্যতেল নিয়ে সংকট
শনিবার, ১৪ মে ২০২২
একের পর এক অভিযান চলছে সারাদেশেই, গুনতে হচ্ছে জরিমানা, তারপরও চলছে ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি। অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা গোপনে মজুদ তেল দোকানে সরবরাহ করছে না। শনিবারও (১৪ মে) দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ তেল উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে কোখাও কোথাও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবরে দোকানে তেল বিক্রিই বন্ধ করে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, জেলা বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিদিদের পাঠানো খবর-
জেলা বার্তা পরিবেশক, মৌলভীবাজার : দুই দিনে জেলার বড়লেখার হাজীপুর ও কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারের ব্যবসায়ীদের গুদাম থেকে অন্তত ১২ হাজার ৬৬৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর।
মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোক্তা অধিকার মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজারে মেসার্স সালাউদ্দিন স্টোরের তিনটি গুদামে র্যাব-৯ এর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ঈদের আগে আগের দামে ক্রয়কৃত ৯ হাজার ১৬৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার (১২ মে) জেলার বড়লেখা উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারের মেসার্স সামছু ভ্যারাইটিজ স্টোরের গুদাম থেকে আগের দামে ক্রয় করে মজুদকৃত ৩ হাজার ৫০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। এ সময় মেসার্স সামছু ভ্যারাইটিজ স্টোর সাময়িকভাবে বন্ধ ও সিলগালা করা হয়।
মৌলভীবাজার ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন জানান, উদ্ধারকৃত তেল জব্দ করে খুচরা দোকানদারদের নিকট আগের দামে বিক্রয় করে।
সিলেটে সাড়ে ৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ : এদিকে সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়ার একটি গুদাম থেকে সাড়ে ৩ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার দুপুরে দাড়িয়াপাড়া এলাকার রসময় স্কুলের পাশে জনপ্রিয় স্টোর নামের একটি দোকানের গুদাম থেকে এই তেল জব্দ করা হয়। জনপ্রিয় স্টোরের স্বত্বাধিকারী সুজন রায় রূপচাদা সয়াবিন তেলের ডিলার।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, জব্দকৃত তেল আগের দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযান চলাকালে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সুজন রায়।
সয়াবিন তেল মজুদ ও অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগে গত ৮ মে থেকে সিলেটে অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত পাঁচ দিনের অভিযানে সিলেট বিভিাগের চার জেলা থেকে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার লিটার তেল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত তেল ক্রেতাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয় এবং মজুদকারীদের জরিমানা করে ভেক্তা অধিদপ্তর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোজ্যতেলের দোকান এবং গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২শ’ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার দুপুরে শহরের আনন্দবাজারের নিয়ামত স্টোরে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ রাখার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিয়ামত উল্লাহকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা শেষে জব্দ করা প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৭৬০ টাকা করে বোতলের গায়ের দামে উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের আনন্দবাজারের নিয়ামত স্টোরে এবং তার গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সয়াবিন তেল মজুদ রাখার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিয়ামত উল্লাহকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দকরা সয়াবিন তেল বোতলেরর গায়ের দামে বিক্রি করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রংপুর : প্রশাসনের কঠোর নজরদারি আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভোজ্যতেল বেশি দামে বিক্রি ও অবৈধভাবে গুদামজাত করার বিরুদ্ধে অব্যাহত অভিযানের মুখে রংপুর নগরীর প্রধান কাঁচাবাজার সিটি বাজারসহ সব মার্কেটে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ গ্রাহক ভোজ্যতেল কিনতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছে।
তারা এ ঘটনার জন্য ব্যবসায়ীদের দায়ী করে বলেছে, ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। সরেজমিন বিভাগীয় নগরীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার সিটি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে কোন দোকানেই ভোজ্যতেল নেই। প্রায় আড়াই শতাধিক দোকানের কোন দোকানেই সয়াবিন ও পাম তেল নেই। দোকানিরা বলছেন, আগে লিটারপ্রতি ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমিশন পেতেন, দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের কমিশন দেয়া হচ্ছে না। তার ওপর প্রশাসনের হয়রানি আর অভিযানের কারণে তারা ভোজ্যতেল শনিবার সকাল থেকে বিক্রি করছেন না।
এ ব্যাপারে সিটি বাজারের দোকানদার সাইফুল ইসলাম জানালেন, আমরা ঝামেলায় পড়তে চাই না। অহেতুক আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ফলে আমরা ভোজ্যতেল বিক্রি করছি না। একই কথা বললেন আর এক ব্যবসায়ী মমতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, এখন পর্যপ্ত সাপ্লাই নেই। আমাদের বিভিন্ন কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করতে পারছে না। অন্যদিকে সরকার প্রতি লিটার তেলের দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা করেছে আর বিক্রিও কমে গেছে। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকারের অভিযান কারণ ছাড়াই জরিমানা আদায়সহ হয়রানির কারণে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমিতি বা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতি কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি-না সে ব্যাপারে কোন ব্যবসায়ী কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে সাধারণ ক্রেতারা অঘোষিত ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করে বলেছে অল্প দামে কিনে গুদামজাত করে রেখে গ্রাহকদের জিম্মি করে লিটারপ্রতি ২৫-৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে তারা। ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা কি জিম্মি থাকবো?
নগরীর মুলাটোলা এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মচারী সালাম অভিযোগ করেন, সিটি বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরেও তিনি এক লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারেননি। দোকানিরা বলছেন, তেল মিলছে না। একই অভিযোগ করলেন নার্গিস পারভীন নামে এক গৃহবধূসহ অনেকে।
বদরগঞ্জ (রংপুর) : রংপুরের বদরগঞ্জে নির্ধারিত দামের চেয়ে পণ্যের দাম বেশি নেয়ায় দুই ব্যবসায়ীর অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অর্থদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পৌরশহরের কথাকলি রোডের ব্যবসায়ী সুনীল চন্দ্র রায় এবং থানা রোডের গবাদিপশুর ওষুধ ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান মন্ডল।
শনিবার দুপুরে পৌরশহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যবসায়ীর অর্থদন্ড করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ বলেন, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।