ময়মনসিংহ নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শহররক্ষা বাঁধ থেকে প্রায় এক দেড়শ গজ নদীর ভেতরে পাঁকা সড়ক নির্মাণ অনতিবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জনউদ্যোগ নামে ময়মনসিংহের একটি সংগঠন। রোববার (২২ মে) বিকেলে সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। অবিলম্বে নদীর ভিতরের পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে যেটুকু কাজ হয়েছে তাও অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রধান গেইটের বিপরীতে ও আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিছনে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর রক্ষা বাঁধ থেকে আনুমানিক এক দেড়শ গজ নদীর ভিতরে ১৬ ফিট প্রশস্ত ও ১০ ফিট গভীর করে সড়ক নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তরের কাজ চলছে। পরবর্তীতে এটি কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে স্থায়ীভাবে পাঁকা সড়ক নির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে এই কাজটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদেও দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের সুবিধার্থে এক কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যায়ে রাস্তা তৈরী জন্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রকল্প। এ ব্যাপাওে কথা বলতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে না পেয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্থার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপাওে তিনি কিছুই জানেন না। কারন তিনি গত তিন মাসে এখানে যোগদান করেছেন।
জনউদ্যোগ সংগঠনের আহ্বায়ক এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, যে কাজটি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারন বাংলাদেশ সৃপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রোয়ারী এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার তুরাগ নদীসহ দেশের সকল নদ-নদীকে ব্যাক্তি আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রায় প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমরা মনেকরি নদের জায়গায় কোন রকম স্থাপনা নির্মাণ করা মানেই নদ দখল এবং নদের জীবন্ত সত্তাকে হত্যা করা।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাকুজ জামিলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে নদীর ভিতরের জায়গায় এ ধরনের সড়ক নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার কোন মতামতও নেয়া হয়নি। কিভাবে এখানে সড়ক নির্মান হচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকবলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার দেয়ার জন্য সদরের ভূমি কর্মকর্তাকে (এসিল্যান্ড) কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
ময়মনসিংহ নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শহররক্ষা বাঁধ থেকে প্রায় এক দেড়শ গজ নদীর ভেতরে পাঁকা সড়ক নির্মাণ অনতিবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জনউদ্যোগ নামে ময়মনসিংহের একটি সংগঠন। রোববার (২২ মে) বিকেলে সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। অবিলম্বে নদীর ভিতরের পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে যেটুকু কাজ হয়েছে তাও অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রধান গেইটের বিপরীতে ও আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিছনে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর রক্ষা বাঁধ থেকে আনুমানিক এক দেড়শ গজ নদীর ভিতরে ১৬ ফিট প্রশস্ত ও ১০ ফিট গভীর করে সড়ক নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তরের কাজ চলছে। পরবর্তীতে এটি কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে স্থায়ীভাবে পাঁকা সড়ক নির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে এই কাজটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদেও দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের সুবিধার্থে এক কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যায়ে রাস্তা তৈরী জন্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের একটি প্রকল্প। এ ব্যাপাওে কথা বলতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীকে না পেয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্থার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপাওে তিনি কিছুই জানেন না। কারন তিনি গত তিন মাসে এখানে যোগদান করেছেন।
জনউদ্যোগ সংগঠনের আহ্বায়ক এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, যে কাজটি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারন বাংলাদেশ সৃপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রোয়ারী এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার তুরাগ নদীসহ দেশের সকল নদ-নদীকে ব্যাক্তি আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রায় প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমরা মনেকরি নদের জায়গায় কোন রকম স্থাপনা নির্মাণ করা মানেই নদ দখল এবং নদের জীবন্ত সত্তাকে হত্যা করা।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাকুজ জামিলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে নদীর ভিতরের জায়গায় এ ধরনের সড়ক নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার কোন মতামতও নেয়া হয়নি। কিভাবে এখানে সড়ক নির্মান হচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকবলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার দেয়ার জন্য সদরের ভূমি কর্মকর্তাকে (এসিল্যান্ড) কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।