ভৈরব থানা কমপ্লেক্সের ভিতরে পুলিশের জব্দ করা বিভিন্ন গাড়ি গোপনে বিক্রি করার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভৈরব থানার (মালখানা অফিসার) উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে জব্দকৃত গাড়ি গোপনে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠে। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ (বিপিএম) বার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকারকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৭ ও ২৮ মার্চ এবং ১৫ এপ্রিল তিন তরফে ভৈরব থানা কমপ্লেক্সের ভিতরে রাখা জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মধ্যে মালিক বিহীন অন্তত ১৪টি যানবাহন অন্যত্র বিক্রি করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠে। ওই যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ৬টি প্রাইভেটকার, ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ৩টি মোটরসাইকেল। জব্দকৃত ওই গাড়িগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠলেও, অভিযুক্ত পুলিশ বলছে, আদালতের অনুমতি নিয়ে আইন অনুযায়ী গাড়ির প্রকৃত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার একাধিক পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম সফরের সময় ভৈরব থানার অধিকাংশ অফিসার ও স্টাফ দায়িত্ব পালনের জন্য ইটনা, মিঠামইনে ও অষ্টগ্রামে ডিউটিতে চলে যায়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালখানার অফিসার এসআই আবু সাঈদ গত ২৭ ও ২৮ মার্চ দুপুরে ৬টি প্রাইভেটকার ও ৩টি মোটরসাইকেল আদালতের অনুমতির অজুহাতে থানা কমপ্লেক্সের ভিতরে থাকা ডাম্পিং থেকে পরিত্যক্ত গাড়ি গুলো অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন।
এছাড়াও তৃতীয় ধাপে সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল একই কায়দায় ওইদিন সন্ধ্যায় ডাম্পিং থেকে পরিত্যক্ত ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে ঢাকার চোরাই ও পুরাতন গাড়ি ক্রয়ের সিন্ডিকেটের কাছে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে থানার স্টাফসহ বিভিন্ন মহলে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত এসআই আবু সাঈদ বিভিন্নভাবে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি সূত্র জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই আবু সাঈদ বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে গাড়ির প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কতগুলো গাড়ির মালিককে আদালতের অনুমতি নিয়ে গাড়ি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তার সংখ্যা দেননি তিনি।
ভৈরব থানার ওসি বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় গাড়ির মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। গাড়ি বিক্রি করার বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মীর মাশরুকুর রহমান খালেদ (বিপিএম) বার মুঠোফোনে বলেন, তদন্ত রিপোর্টে যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
ভৈরব থানা কমপ্লেক্সের ভিতরে পুলিশের জব্দ করা বিভিন্ন গাড়ি গোপনে বিক্রি করার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভৈরব থানার (মালখানা অফিসার) উপ-পরিদর্শক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে জব্দকৃত গাড়ি গোপনে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠে। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ (বিপিএম) বার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকারকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৭ ও ২৮ মার্চ এবং ১৫ এপ্রিল তিন তরফে ভৈরব থানা কমপ্লেক্সের ভিতরে রাখা জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের মধ্যে মালিক বিহীন অন্তত ১৪টি যানবাহন অন্যত্র বিক্রি করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠে। ওই যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ৬টি প্রাইভেটকার, ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ৩টি মোটরসাইকেল। জব্দকৃত ওই গাড়িগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠলেও, অভিযুক্ত পুলিশ বলছে, আদালতের অনুমতি নিয়ে আইন অনুযায়ী গাড়ির প্রকৃত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার একাধিক পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম সফরের সময় ভৈরব থানার অধিকাংশ অফিসার ও স্টাফ দায়িত্ব পালনের জন্য ইটনা, মিঠামইনে ও অষ্টগ্রামে ডিউটিতে চলে যায়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালখানার অফিসার এসআই আবু সাঈদ গত ২৭ ও ২৮ মার্চ দুপুরে ৬টি প্রাইভেটকার ও ৩টি মোটরসাইকেল আদালতের অনুমতির অজুহাতে থানা কমপ্লেক্সের ভিতরে থাকা ডাম্পিং থেকে পরিত্যক্ত গাড়ি গুলো অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন।
এছাড়াও তৃতীয় ধাপে সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল একই কায়দায় ওইদিন সন্ধ্যায় ডাম্পিং থেকে পরিত্যক্ত ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে ঢাকার চোরাই ও পুরাতন গাড়ি ক্রয়ের সিন্ডিকেটের কাছে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে থানার স্টাফসহ বিভিন্ন মহলে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত এসআই আবু সাঈদ বিভিন্নভাবে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলে একটি সূত্র জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই আবু সাঈদ বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে গাড়ির প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কতগুলো গাড়ির মালিককে আদালতের অনুমতি নিয়ে গাড়ি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তার সংখ্যা দেননি তিনি।
ভৈরব থানার ওসি বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় গাড়ির মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। গাড়ি বিক্রি করার বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মীর মাশরুকুর রহমান খালেদ (বিপিএম) বার মুঠোফোনে বলেন, তদন্ত রিপোর্টে যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।