কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, রাখাল চন্দ্র নাহা নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা একটি ‘মিথ্যা হত্যা’ মামলায় ফাঁসির দন্ড পেয়েছিল, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের সময় চেষ্টা-তদবীর করে তাঁকে ফাঁসি থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। পরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। সে এখন কুমিল্লা কারা পুলিশের প্রহরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি বলেন, দেশ আইনের শাসনে চলা উচিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেনো কারাগারে না হয়। আইন অনুসারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যে কোন একটি অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারেন। কিন্তু ওই মুক্তিযোদ্ধা তদবীরের অভাবে আইনের অধিকার ঠিকঠাক পাননি। এ হাসপাতাল থেকে নাহাকে যেনো বাড়ি পাঠানো হয়। তার মৃত্যু স্ত্রী-সন্তানদের সামনে হয় এ আশা করছি। মঙ্গলবার (২৪) দুপুরে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত রাখাল চন্দ্র নাহাকে হাসপাতালে দেখতে এসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাখাল চন্দ্র নাহা একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত হয়েছিল। যা ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলা, ঘটনার দিন সে বাড়ি ছিলেন না। অথচ ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার পর তার সাজা মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সাজা মওকুফসহ মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সুপারিশ এখনও কার্যকর হয়নি। সে মুক্তিও পায়নি। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। সব জেনে বুঝে বলছি নাহার কোন অপরাধ নেই। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।’ কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি রাখাল চন্দ্র নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি হয়তো বাঁচবেন না। শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেন আমাদের সামনে হয়, আর কোন চাওয়া নাই।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বলেন, কারা বিধি ও দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক যাবজ্জীবন দন্ড পাওয়া রাখাল চন্দ্র নাহা মুক্তি পেতে আরও প্রায় দেড় বছর লাগবে। এর আগে তার মুক্তি পাওয়া কিংবা সাজা মওকুফ করা এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়, এখানে কারা কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই। তবে তার সুচিকিৎসার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবিদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্ত নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহত ধীনেশ চন্দ্র দত্তের পরিবার। নেপাল চন্দ্র নাহা পালাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই বছরই গ্রেপ্তার হন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা।
বুধবার, ২৫ মে ২০২২
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, রাখাল চন্দ্র নাহা নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা একটি ‘মিথ্যা হত্যা’ মামলায় ফাঁসির দন্ড পেয়েছিল, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের সময় চেষ্টা-তদবীর করে তাঁকে ফাঁসি থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। পরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। সে এখন কুমিল্লা কারা পুলিশের প্রহরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি বলেন, দেশ আইনের শাসনে চলা উচিত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেনো কারাগারে না হয়। আইন অনুসারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যে কোন একটি অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারেন। কিন্তু ওই মুক্তিযোদ্ধা তদবীরের অভাবে আইনের অধিকার ঠিকঠাক পাননি। এ হাসপাতাল থেকে নাহাকে যেনো বাড়ি পাঠানো হয়। তার মৃত্যু স্ত্রী-সন্তানদের সামনে হয় এ আশা করছি। মঙ্গলবার (২৪) দুপুরে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত রাখাল চন্দ্র নাহাকে হাসপাতালে দেখতে এসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাখাল চন্দ্র নাহা একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত হয়েছিল। যা ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলা, ঘটনার দিন সে বাড়ি ছিলেন না। অথচ ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার পর তার সাজা মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সাজা মওকুফসহ মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সুপারিশ এখনও কার্যকর হয়নি। সে মুক্তিও পায়নি। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। সব জেনে বুঝে বলছি নাহার কোন অপরাধ নেই। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।’ কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি রাখাল চন্দ্র নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি হয়তো বাঁচবেন না। শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেন আমাদের সামনে হয়, আর কোন চাওয়া নাই।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বলেন, কারা বিধি ও দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক যাবজ্জীবন দন্ড পাওয়া রাখাল চন্দ্র নাহা মুক্তি পেতে আরও প্রায় দেড় বছর লাগবে। এর আগে তার মুক্তি পাওয়া কিংবা সাজা মওকুফ করা এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়, এখানে কারা কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই। তবে তার সুচিকিৎসার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবিদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্ত নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহত ধীনেশ চন্দ্র দত্তের পরিবার। নেপাল চন্দ্র নাহা পালাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই বছরই গ্রেপ্তার হন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা।