alt

সারাদেশ

আদালত ভবনে ধর্ষণ মামলার আসামির ধৃষ্টতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাদীর পেটে লাথি, মামলা তুলে নিতে হুমকি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর : বুধবার, ২৫ মে ২০২২

মাদারীপুরে আদালতের এজলাসের বাইরে হাতে হাতকড়া নিয়েই বাদীকে পেটে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে মেরেছেন ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সেই দাঁতের ডাক্তারের বন্ধু ও মামলার ২নং আসামি। এতে বাদী ও তার স্বামী আহত হন। বুধবার (২৫ মে) দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

কালকিনি থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মাদারীপুরের কালকিনিতে দাঁতের ডাক্তার সাইদুর রহমান কিরণের কাছে চিকিৎসা নিতে যান এক গৃহবধূ। তাকে চিকিৎসার নামে অচেতন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন ডাক্তার। সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ডা. কিরণ ও তার দুই বন্ধু লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাধ্য হয়ে তার স্বামীকে বিষয়টি জানান। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় ডা. সাইদুর রহমান কিরণ ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান শিকদার, সোহাগ মোল্লাকে আসামি করা হয়। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদী জানান, ধর্ষণ মামলার ২নং আসামি মেহেদী হাসান শিকদার বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। পরবর্তীতে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় অন্য হাত দিয়ে, দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মামলার বাদীর হাত টেনে নিচে ফেলে পেটে লাথি মারেন। পরবর্তীতে বাদীর স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন আসামির স্বজন মামুন প্যাদা ও সোহাগ শিকদার। পরে বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান তারা।

এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার মামলার বাদী বলেন, আসামি মেহেদী হাসান হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের সামনেই আমার ওপর হামলা চালায় ও পেটে লাথি মারে। আমার স্বামীকে আসামির ভাইয়েরা মারধর করে। আসামির ভাই মামুন প্যাদা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘যদি আমার ভাই জামিন না পায়, তোদের দেখে নেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার এক আসামি বাদীকে লাথি মারার চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক আসামিকে টেনে সরিয়ে নিয়ে গেছে।’

ছবি

অপহ্নত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

ছবি

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় পিতাকে কুপিয়ে জখম, মা আহত

ছবি

জামালপুরে সরকারী খাস জমিতে পুকুর খনন করে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি

নারায়ণগঞ্জে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে তরুণ আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’

ছবি

কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে আরও ৩ নারী গ্রেপ্তার

ছবি

নাফনদীতে ২ বাংলাদেশি জেলেকে গুলি : মায়ানমারের বিজিপির কাছে প্রতিবাদ জানালো বিজিবি

রামুর গর্জনিয়ায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি ও দায়ের কোপে পিতা-পুত্র নিহত

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে এসির আগুনে পুড়ল ২৫ দোকান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

তীব্র দাবদাহে বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়

ছবি

মনোহরদীতে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

ছবি

‘ডাকাতদলের’ আক্রমণে পিতা-পুত্র নিহত

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

টেকনাফে সিএনজি থামিয়ে চিকিৎসকসহ দুই যাত্রীকে অপহরণ

ছবি

গাছে ধাক্কা লেগে উড়ে গেলো বাসের ছাদ, যাত্রী নিহত

তীব্র তাপপ্রবাহে চুনারুঘাটে দিশেহারা মানুষ, হাসপাতালে রোগীর চাপ

ছবি

পদ্মায় গোসলে নেমে স্কুল শিক্ষার্থীসহ ২ জনের মৃত্যু

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ত্রিপুরা সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার

ছবি

নারায়ণগঞ্জে বকেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ, শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ

হিট স্ট্রোকে হবিগঞ্জের রিকশা চালকের মৃত্যু

ছবি

শ্রীপুরে তালাবদ্ধ ঘরে নারীর গলাকাটা লাশ

বগুড়ায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, জনজীবন দুর্বিষহ

ছবি

সীমান্তে আর কোন অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না

ছবি

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ, তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ

ছবি

বৃষ্টির খানিক সম্ভাবনা, তবে ‘পাওয়া যাবে না’ স্বস্তি

ছবি

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে রেকর্ড পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার

ছবি

মায়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে ২ বাংলাদেশি জেলে গুলিবিদ্ধ

ছবি

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন পলকের শ্যালক

ছবি

রংপুরে সাবেক বিএনপি নেতার গণসংযোগে আ.লীগ এমপি, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

ছবি

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে কয়েদির মৃত্যু

ছবি

আজ সন্ধ্যায় দুবাই পৌঁছাবে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ

অনলাইন ক্যাসিনোর ‘হোতা’ সেলিমের অভিযোগ সাবেক সেনা প্রধানের ভাইদের বিরুদ্ধে

ছবি

তীব্র গরমে চু্য়াডাঙ্গা ও পাবনায় ২ জনের মৃত্যু

ছবি

স্বামীর পুরুষ অঙ্গ কেটে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী

tab

সারাদেশ

আদালত ভবনে ধর্ষণ মামলার আসামির ধৃষ্টতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাদীর পেটে লাথি, মামলা তুলে নিতে হুমকি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

বুধবার, ২৫ মে ২০২২

মাদারীপুরে আদালতের এজলাসের বাইরে হাতে হাতকড়া নিয়েই বাদীকে পেটে লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে মেরেছেন ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সেই দাঁতের ডাক্তারের বন্ধু ও মামলার ২নং আসামি। এতে বাদী ও তার স্বামী আহত হন। বুধবার (২৫ মে) দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

কালকিনি থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মাদারীপুরের কালকিনিতে দাঁতের ডাক্তার সাইদুর রহমান কিরণের কাছে চিকিৎসা নিতে যান এক গৃহবধূ। তাকে চিকিৎসার নামে অচেতন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন ডাক্তার। সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ডা. কিরণ ও তার দুই বন্ধু লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাধ্য হয়ে তার স্বামীকে বিষয়টি জানান। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় ডা. সাইদুর রহমান কিরণ ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান শিকদার, সোহাগ মোল্লাকে আসামি করা হয়। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদী জানান, ধর্ষণ মামলার ২নং আসামি মেহেদী হাসান শিকদার বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। পরবর্তীতে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় অন্য হাত দিয়ে, দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মামলার বাদীর হাত টেনে নিচে ফেলে পেটে লাথি মারেন। পরবর্তীতে বাদীর স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন আসামির স্বজন মামুন প্যাদা ও সোহাগ শিকদার। পরে বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান তারা।

এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার মামলার বাদী বলেন, আসামি মেহেদী হাসান হাতে হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের সামনেই আমার ওপর হামলা চালায় ও পেটে লাথি মারে। আমার স্বামীকে আসামির ভাইয়েরা মারধর করে। আসামির ভাই মামুন প্যাদা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, ‘যদি আমার ভাই জামিন না পায়, তোদের দেখে নেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘ধর্ষণ মামলার এক আসামি বাদীকে লাথি মারার চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক আসামিকে টেনে সরিয়ে নিয়ে গেছে।’

back to top