পদ্মার ভাঙনে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকার কয়েক’শ একর ফসলি জমি, ঘরসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঝিটকা-গোপীনাথপুর-বাল্লা-পাটুরিয়াসড়ক এবং হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১৩ টি মৌজার ১২ টি মৌজা বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাসস্থান হারা। অনেকে তিন চার ভাঙা শেষে কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর এলাকায় বাড়ি করেছেন সে বাড়িও ভাঙন আতঙ্কে।
উপজেলার কের্টকান্দি গ্রামের বৃদ্ধ হাশেম মল্লিক (৭০) বলেন, এর আগে আরও চারবার গাঙ্গের ভাঙনে ঘরবাড়ি হারায়ে এই গ্রামে আইসি। আর কয়দিনিই বাঁচপো? মরার আগে এই বাড়িডাও মনে হচ্ছে আর থাকবার পারুমনা।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কাঞ্চন মেম্বার বলেন, আমার বর্ষার শুরুতে যদি দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে অনেকের বাপ-দাদার বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যাবে। তাহলে ওই লোকগুলো কোথায় যাবে!
কোর্টকান্দি গ্রামের জবেদা বেগম (৫০) বলেন,আমরা গরীব মানুষ। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিনপার করি। ছেলে রিকশা চালায়। এর আগে বাড়ি ভাঙছে এবার ভাঙলে যামু কই। সরকার যেন ভাঙা ফিরাইতে ব্যবস্থা নেয়।
ওমর ফকির স্ত্রী (৪৭) জানান, সরকার ভাঙা ফিরাইতে স্থায়ী বাঁধ না দিলে সব শ্যাষ হইয়া যাইবো। আমগো মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু থাকপোনা।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজি বনি ইসলাম রুপক বলেন, আমার ইউনিয়নে কয়েক বছরে অব্যাহত ভাঙনে ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট রয়েছে। গত দুই বছরে পদ্মার ভাঙনে শত শত বিঘা জমি ও কয়েকশ বাড়ি পদ্নায় বিলীন হয়ে গেছে। গতবছর কুশিয়ারচর ও মালুচি এলাকায় শতাধিক বাড়ি ভেঙে গেছে। এবার কোর্টকান্দি সবচেয়ে বেশি ভাঙছে, এছাড়া মুহম্মদপুর বৌদ্ধকানিও পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে কয়েকটি বাড়ি ও বিঘা বিঘা জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। দুটি কলাবাগানের আংশিক পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুদ্দিন বলেন, হরিরামপুরেরর কাঞ্চনপুর ও গোপীনাথপুরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করতে পারবো।
শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
পদ্মার ভাঙনে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকার কয়েক’শ একর ফসলি জমি, ঘরসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঝিটকা-গোপীনাথপুর-বাল্লা-পাটুরিয়াসড়ক এবং হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১৩ টি মৌজার ১২ টি মৌজা বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাসস্থান হারা। অনেকে তিন চার ভাঙা শেষে কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর এলাকায় বাড়ি করেছেন সে বাড়িও ভাঙন আতঙ্কে।
উপজেলার কের্টকান্দি গ্রামের বৃদ্ধ হাশেম মল্লিক (৭০) বলেন, এর আগে আরও চারবার গাঙ্গের ভাঙনে ঘরবাড়ি হারায়ে এই গ্রামে আইসি। আর কয়দিনিই বাঁচপো? মরার আগে এই বাড়িডাও মনে হচ্ছে আর থাকবার পারুমনা।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কাঞ্চন মেম্বার বলেন, আমার বর্ষার শুরুতে যদি দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে অনেকের বাপ-দাদার বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যাবে। তাহলে ওই লোকগুলো কোথায় যাবে!
কোর্টকান্দি গ্রামের জবেদা বেগম (৫০) বলেন,আমরা গরীব মানুষ। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিনপার করি। ছেলে রিকশা চালায়। এর আগে বাড়ি ভাঙছে এবার ভাঙলে যামু কই। সরকার যেন ভাঙা ফিরাইতে ব্যবস্থা নেয়।
ওমর ফকির স্ত্রী (৪৭) জানান, সরকার ভাঙা ফিরাইতে স্থায়ী বাঁধ না দিলে সব শ্যাষ হইয়া যাইবো। আমগো মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু থাকপোনা।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজি বনি ইসলাম রুপক বলেন, আমার ইউনিয়নে কয়েক বছরে অব্যাহত ভাঙনে ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট রয়েছে। গত দুই বছরে পদ্মার ভাঙনে শত শত বিঘা জমি ও কয়েকশ বাড়ি পদ্নায় বিলীন হয়ে গেছে। গতবছর কুশিয়ারচর ও মালুচি এলাকায় শতাধিক বাড়ি ভেঙে গেছে। এবার কোর্টকান্দি সবচেয়ে বেশি ভাঙছে, এছাড়া মুহম্মদপুর বৌদ্ধকানিও পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে কয়েকটি বাড়ি ও বিঘা বিঘা জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। দুটি কলাবাগানের আংশিক পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুদ্দিন বলেন, হরিরামপুরেরর কাঞ্চনপুর ও গোপীনাথপুরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করতে পারবো।