ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আঁধারে পৌরসভা ভবনের সামনের একটি সরকারি পুকুরের জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে নেয়া হয়েছে। গত ঈদের সময় থেকে এই পুকুরের জমি দখলের জোর চেষ্টা চলছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে ভূমিদস্যুরা সেটি ঘিরে নেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে গেছে, ইতোমধ্যে পুকুরের দক্ষিণ পাশে প্রায় এক চতুর্থাংশ জায়গা বাঁশ গেড়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে পুকুর ভরাট করে দোকান ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় নগরকান্দা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দখলকারীদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন ছাগলদি গ্রামের আবুল হোসেন ফকির, রাজিব হোসেন, সাইফুল আলম শরিফ, চৌমুখার জিল্লুর রহমান, শশার বদিউজ্জামান শরিফ ও নগরকান্দা সদরের মোশাররফ হোসেন মিয়াকে শুক্রবার এসব নোটিশ দেয়া হয়। অননুমোদিতভাবে তাদের সেখানে কোন স্থাপনা নির্মাণ বা ভরাট না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নগরকান্দা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির মাহমুদ বলেন, নগরকান্দা পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশেই প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা জুড়ে পুকুরটি অবস্থিত। পুকুরের দক্ষিণে রাস্তা সংলগ্ন কিছু ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে। কিছু রয়েছে লীজ নেয়া। ওইসব জমিতে দোকান ঘর তোলা। ওই দোকান মালিকেরা এখন রাতারাতি পুকুরের প্রায় এক চতুর্থাংশ জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পুকুরটি রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
নগরকান্দা পৌ্রসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, প্রায় ৩০ শতাংশ জমি জুড়ে পুকুরটি বিস্তৃত। রাতের আঁধারে ওই পুকুরের বিরাট অংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করা হয়েছে। ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, অনুমোদন না নিয়ে ওই পুকুরের জায়গা ভরাট করে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং স্ব শরীরে হাজির হয়ে এব্যাপারে জানানোর জন্য জবর দখলদারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এব্যাপারে ওই পুকুরের জমি দখলকারীদের পক্ষে জিল্লুর রহমান নামে একজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই পুকুরের লাগোয়া তিন শতাংশ জমি রয়েছে তাদের তিন ভাইয়ের নামে। আমাদের দখলের ওই জমির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে তাই আমরা পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে বেড়া দিয়েছি।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুরের জমি দখলের জন্য অনেক আগে থেকেই চেষ্টা চলছে। ঈদের আগে এজন্য রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। তিনি বলেন, রাতের আধারে ওই পুকুরের জমি বাঁশ গেড়ে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য নগরকান্দার অনেক জায়গায় অনুমোদন না নিয়ে প্রভাবশালীরা জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে বারবার তারপরও প্রশাসনের এ বিষয়ে নজরদারির অভাব এর কথাই বলেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আঁধারে পৌরসভা ভবনের সামনের একটি সরকারি পুকুরের জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে নেয়া হয়েছে। গত ঈদের সময় থেকে এই পুকুরের জমি দখলের জোর চেষ্টা চলছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে ভূমিদস্যুরা সেটি ঘিরে নেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে গেছে, ইতোমধ্যে পুকুরের দক্ষিণ পাশে প্রায় এক চতুর্থাংশ জায়গা বাঁশ গেড়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে পুকুর ভরাট করে দোকান ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় নগরকান্দা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দখলকারীদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন ছাগলদি গ্রামের আবুল হোসেন ফকির, রাজিব হোসেন, সাইফুল আলম শরিফ, চৌমুখার জিল্লুর রহমান, শশার বদিউজ্জামান শরিফ ও নগরকান্দা সদরের মোশাররফ হোসেন মিয়াকে শুক্রবার এসব নোটিশ দেয়া হয়। অননুমোদিতভাবে তাদের সেখানে কোন স্থাপনা নির্মাণ বা ভরাট না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নগরকান্দা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির মাহমুদ বলেন, নগরকান্দা পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশেই প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গা জুড়ে পুকুরটি অবস্থিত। পুকুরের দক্ষিণে রাস্তা সংলগ্ন কিছু ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে। কিছু রয়েছে লীজ নেয়া। ওইসব জমিতে দোকান ঘর তোলা। ওই দোকান মালিকেরা এখন রাতারাতি পুকুরের প্রায় এক চতুর্থাংশ জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পুকুরটি রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
নগরকান্দা পৌ্রসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, প্রায় ৩০ শতাংশ জমি জুড়ে পুকুরটি বিস্তৃত। রাতের আঁধারে ওই পুকুরের বিরাট অংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করা হয়েছে। ওই জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, অনুমোদন না নিয়ে ওই পুকুরের জায়গা ভরাট করে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং স্ব শরীরে হাজির হয়ে এব্যাপারে জানানোর জন্য জবর দখলদারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এব্যাপারে ওই পুকুরের জমি দখলকারীদের পক্ষে জিল্লুর রহমান নামে একজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই পুকুরের লাগোয়া তিন শতাংশ জমি রয়েছে তাদের তিন ভাইয়ের নামে। আমাদের দখলের ওই জমির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে তাই আমরা পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে বেড়া দিয়েছি।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুরের জমি দখলের জন্য অনেক আগে থেকেই চেষ্টা চলছে। ঈদের আগে এজন্য রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। তিনি বলেন, রাতের আধারে ওই পুকুরের জমি বাঁশ গেড়ে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য নগরকান্দার অনেক জায়গায় অনুমোদন না নিয়ে প্রভাবশালীরা জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে বারবার তারপরও প্রশাসনের এ বিষয়ে নজরদারির অভাব এর কথাই বলেছেন স্থানীয়রা।