পীরগাছায় ব্যবসায়ী ও বদরগঞ্জে গৃহবধূ খুন
রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় এক ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে পীরগাছায় দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ রেললাইনের ধারে ফেলে গেছে দুবৃত্তরা। অন্য ঘটনা ঘটেছে বদরগঞ্জে। সেখানে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দ্র ও বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবর রহমান দুটি হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যবসায়ী দেলোয়ারের বাড়ি পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কসাইটারী গ্রামে, তার বাবার নাম ছফুর উদ্দিন। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময় স্টক ব্যবসা করতেন। শুক্রবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। সে বাসা থেকে বের হয়ে বাসার অদূরে কুড়ারপার ব্রিজের কাছে রেললাইনের কাছে আসলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা খুনিরা দেলোয়ারকে কুড়াল ও রাম দা দিয়ে মাথা মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, নিহত দেলোয়ার হোসেনের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার (২৮ মে) ভোরে ঘটনাস্থলে এসে নিহত দেলোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত দেলোয়ার হোসেনকে বাসা থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি তবে মামলায় আটককৃতদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
অন্যদিকে রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী বিষ্ণু চন্দ্র অধিকারীকে আটক করেছে পুলিশ। স্বজন এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘরে ছেলের স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তার শ্বশুর। শ্বশুর ও দেবর মিলে তাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নেয়ার পথে বিষ্ণু চন্দ্র ঘটনাটি জানতে পারেন। তিনজনে মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই চঞ্চলা রানীর মৃত্যু হয়। চঞ্চলা রানী দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তার স্বামী বিষ্ণু চন্দ্র অধিকারী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিষ্ণু চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আইএফএম সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, মৃত অবস্থায় চঞ্চলা রানীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী ও অন্যরা। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অন্যদিকে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর জানান, গৃহবধূর স্বামী বিষ্ণু চন্দ্রের দাবি চনচলা রানী নিজেই গলা কেটেছেন। আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিষ্ণু চন্দ্রকে আটক করেছি। সিআইডি পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
পীরগাছায় ব্যবসায়ী ও বদরগঞ্জে গৃহবধূ খুন
শনিবার, ২৮ মে ২০২২
রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় এক ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে পীরগাছায় দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ রেললাইনের ধারে ফেলে গেছে দুবৃত্তরা। অন্য ঘটনা ঘটেছে বদরগঞ্জে। সেখানে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দ্র ও বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবর রহমান দুটি হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যবসায়ী দেলোয়ারের বাড়ি পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কসাইটারী গ্রামে, তার বাবার নাম ছফুর উদ্দিন। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময় স্টক ব্যবসা করতেন। শুক্রবার (২৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মোবাইল ফোনে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায়। সে বাসা থেকে বের হয়ে বাসার অদূরে কুড়ারপার ব্রিজের কাছে রেললাইনের কাছে আসলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা খুনিরা দেলোয়ারকে কুড়াল ও রাম দা দিয়ে মাথা মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, নিহত দেলোয়ার হোসেনের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার (২৮ মে) ভোরে ঘটনাস্থলে এসে নিহত দেলোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিহত দেলোয়ার হোসেনকে বাসা থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি তবে মামলায় আটককৃতদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
অন্যদিকে রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী বিষ্ণু চন্দ্র অধিকারীকে আটক করেছে পুলিশ। স্বজন এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘরে ছেলের স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তার শ্বশুর। শ্বশুর ও দেবর মিলে তাকে ভ্যানে করে হাসপাতালে নেয়ার পথে বিষ্ণু চন্দ্র ঘটনাটি জানতে পারেন। তিনজনে মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই চঞ্চলা রানীর মৃত্যু হয়। চঞ্চলা রানী দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তার স্বামী বিষ্ণু চন্দ্র অধিকারী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিষ্ণু চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আইএফএম সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, মৃত অবস্থায় চঞ্চলা রানীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বামী ও অন্যরা। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অন্যদিকে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর জানান, গৃহবধূর স্বামী বিষ্ণু চন্দ্রের দাবি চনচলা রানী নিজেই গলা কেটেছেন। আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিষ্ণু চন্দ্রকে আটক করেছি। সিআইডি পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।