দীর্ঘ ১৫ বছর পর গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের মামলার রায় ঘোষনা করা হয়েছে। রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় এলাকার কাছে এক গৃহবধুকে রিকশা থেকে টেনে চেড়ে নামিয়ে অপহরন করে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের অভিযোগে তিন আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল রোববার (২৬ জুন) বিকেলে এ রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষনার সময় দুই আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামী বাবু পলাতক রয়েছে। পরে আসামীদের পুলিশী পাহারায় আদালতের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, রংপুর নগরীর এরশাদ নগর এলাকার মোঃ আব্দুল জলিলের পুত্র আসাদুল ইসলাম, আউয়াল মিয়ার পুত্র রঞ্জু মিয়া ও কেডিসি রোড এলাকার আব্দুস ছাত্তারের পুত্র বাবু মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৬ মে তারিখে নগরীর তাজহাট টিবি হাসপাতাল বস্তির মৃত আলা উদ্দিন হোসেনের মেয়ে গৃহবধু (২৪)ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রিকশা যোগে লালবাগ মোড় হয়ে নগরীর মর্ডান মোড় যাবার পথে তিন আসামী রিকশার গতিরোধ করে তাকে টেনে হেচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে নগরীর খামার এলাকার পুর্ব দিকে গাছের নীচে খুপড়ি ঘরে নিয়ে গিয়ে গৃহবধুকে গনধর্ষন করে। ধর্ষিতা গৃহবধুর আত্মচিৎকারে আশে পাশ্বের লোকজন এসে আসামী আসাদুলকে আটক করে। এ সময় অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি মাহিগজ্ঞ পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ এসে আসামী আসাদুলকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই ধর্ষিতা গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ধর্ষিতা গৃহবধুর ডাক্তারী পরীক্ষা রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে করান। পরে ফরেনসিক বিভাগ গৃহবধু ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রদান করে।
কোতয়ালী থানার এস আই আজিজুল ইসলাম তদন্ত শেষে প্রধান আসামী বাবু সহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে ১০/৯/২০০৭ ইং তারিখে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলাটি বিচার চলা কালিন ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামী পক্ষের আইনজিবী সাক্ষীদের জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী বাবু , আসাদুল ও রজ্ঞু মিয়াকে দোষি সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। মামলা চলাকালিন সময় থেকেই আসামী বাবু পলাতক ছিলো। রায় ঘোষনার সময় আসামী আসাদুল ও রজ্ঞু মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলো। বিচারক পলাতক আসামী বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন এবং গ্রেফতার হবার দিন থেকে রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজিবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিশেষ পিপি রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট জানান বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে এ রায়ে তারা সন্তোষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে আসামী পক্ষের কোন আইনজিবী রায় ঘোষনার সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
রোববার, ২৬ জুন ২০২২
দীর্ঘ ১৫ বছর পর গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের মামলার রায় ঘোষনা করা হয়েছে। রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় এলাকার কাছে এক গৃহবধুকে রিকশা থেকে টেনে চেড়ে নামিয়ে অপহরন করে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের অভিযোগে তিন আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল রোববার (২৬ জুন) বিকেলে এ রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষনার সময় দুই আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামী বাবু পলাতক রয়েছে। পরে আসামীদের পুলিশী পাহারায় আদালতের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, রংপুর নগরীর এরশাদ নগর এলাকার মোঃ আব্দুল জলিলের পুত্র আসাদুল ইসলাম, আউয়াল মিয়ার পুত্র রঞ্জু মিয়া ও কেডিসি রোড এলাকার আব্দুস ছাত্তারের পুত্র বাবু মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৬ মে তারিখে নগরীর তাজহাট টিবি হাসপাতাল বস্তির মৃত আলা উদ্দিন হোসেনের মেয়ে গৃহবধু (২৪)ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রিকশা যোগে লালবাগ মোড় হয়ে নগরীর মর্ডান মোড় যাবার পথে তিন আসামী রিকশার গতিরোধ করে তাকে টেনে হেচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে নগরীর খামার এলাকার পুর্ব দিকে গাছের নীচে খুপড়ি ঘরে নিয়ে গিয়ে গৃহবধুকে গনধর্ষন করে। ধর্ষিতা গৃহবধুর আত্মচিৎকারে আশে পাশ্বের লোকজন এসে আসামী আসাদুলকে আটক করে। এ সময় অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি মাহিগজ্ঞ পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ এসে আসামী আসাদুলকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই ধর্ষিতা গৃহবধু নিজেই বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ধর্ষিতা গৃহবধুর ডাক্তারী পরীক্ষা রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে করান। পরে ফরেনসিক বিভাগ গৃহবধু ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রদান করে।
কোতয়ালী থানার এস আই আজিজুল ইসলাম তদন্ত শেষে প্রধান আসামী বাবু সহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে ১০/৯/২০০৭ ইং তারিখে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলাটি বিচার চলা কালিন ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামী পক্ষের আইনজিবী সাক্ষীদের জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী বাবু , আসাদুল ও রজ্ঞু মিয়াকে দোষি সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন। মামলা চলাকালিন সময় থেকেই আসামী বাবু পলাতক ছিলো। রায় ঘোষনার সময় আসামী আসাদুল ও রজ্ঞু মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলো। বিচারক পলাতক আসামী বাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন এবং গ্রেফতার হবার দিন থেকে রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজিবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিশেষ পিপি রফিক হাসনাইন এ্যাডভোকেট জানান বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে এ রায়ে তারা সন্তোষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে আসামী পক্ষের কোন আইনজিবী রায় ঘোষনার সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।