ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের কারিগরি ও ভোটদান বিষয়ে আজ মতবিনিময় সভা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভায় অংশ নিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিকে (বাসদ) আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। তবে, নির্বাচন কমিশনের ডাকা ওই সভায় অংশ নেবে না দলটি। মঙ্গলবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি চালু করার কোন অবকাশ নেই।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে সভায় অংশ নিতে পার্টির অপারগতা জানিয়ে ইভিএম সম্পর্কে ৭ দফা মতামত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ভোটারেরা ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য এখনো প্রস্তুত নয়। ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের সন্দেহ অবিশ্বাস এখনো প্রবল। ভোটারদের ধারণা ইভিএমে কোন না কোন কারসাজি আছে। ইভিএম পদ্ধতিতে সরকারি দল নিজেদের পক্ষে নির্বাচনী ফল নিয়ে আসতে কিছু না কিছু করতে পারে। এ পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণের মনোভাব এখনো খুবই নেতিবাচক। জনগণের এক বড় অংশের ধারণা ইভিএম পদ্ধতি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির অত্যাধুনিক যন্ত্র।
‘নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবে। ফলে সেখানে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকে বলে দাবি করেন সাইফুল হক।’ তিনি বলেন, ‘এসব অনাস্থার কারণে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ভেনিজুয়েলাসহ অনেক দেশ ইভিএম পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের পর কেউ ফল নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করলে পুনরায় ব্যালট গণনার সুযোগ রয়েছে, যা ইভিএম পদ্ধতিতে নেই।’
তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যেখানে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির বিরুদ্ধে, সেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন যুক্তিতেই ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়া এবং ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের কোন অবকাশ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে কেবল প্রশ্নবিদ্ধই করবে। আশা করি, সমুদয় অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে তাদের তৎপরতা থেকে সরে আসবে।
মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমের কারিগরি ও ভোটদান বিষয়ে আজ মতবিনিময় সভা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সভায় অংশ নিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিকে (বাসদ) আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। তবে, নির্বাচন কমিশনের ডাকা ওই সভায় অংশ নেবে না দলটি। মঙ্গলবার (২৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি চালু করার কোন অবকাশ নেই।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে সভায় অংশ নিতে পার্টির অপারগতা জানিয়ে ইভিএম সম্পর্কে ৭ দফা মতামত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ভোটারেরা ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য এখনো প্রস্তুত নয়। ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে ভোটারদের সন্দেহ অবিশ্বাস এখনো প্রবল। ভোটারদের ধারণা ইভিএমে কোন না কোন কারসাজি আছে। ইভিএম পদ্ধতিতে সরকারি দল নিজেদের পক্ষে নির্বাচনী ফল নিয়ে আসতে কিছু না কিছু করতে পারে। এ পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণের মনোভাব এখনো খুবই নেতিবাচক। জনগণের এক বড় অংশের ধারণা ইভিএম পদ্ধতি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির অত্যাধুনিক যন্ত্র।
‘নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ন্ত্রণ করবে। ফলে সেখানে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকে বলে দাবি করেন সাইফুল হক।’ তিনি বলেন, ‘এসব অনাস্থার কারণে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ভেনিজুয়েলাসহ অনেক দেশ ইভিএম পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের পর কেউ ফল নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করলে পুনরায় ব্যালট গণনার সুযোগ রয়েছে, যা ইভিএম পদ্ধতিতে নেই।’
তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলসহ অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যেখানে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির বিরুদ্ধে, সেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন যুক্তিতেই ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেয়া এবং ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের কোন অবকাশ নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম বিতর্কে জড়িয়ে পড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে কেবল প্রশ্নবিদ্ধই করবে। আশা করি, সমুদয় অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে তাদের তৎপরতা থেকে সরে আসবে।