বেতন বৈষম্য নিরসনসহ চার দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম প্রহরীরা। বুধবার (২৯ জুন) সকাল ৯টায় অধিদপ্তর ঘেরাও করেন তারা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে আশপাশে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলকারীরা বলেন, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার দপ্তরি-কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারি বিদ্যালয়ে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিনে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ২০১৩ সালে এ পদে নিয়োগের পর থেকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে আমাদের।
তারা বলেন, আমাদের কোন সাপ্তাহিক ছুটি নেই। নানা সমস্যার কারণে এবং চাকরি জাতীয়করণের জন্য ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি। গত বছরের ৩০ জুলাই আদালতের রায় আমাদের পক্ষে আসলেও এ বিষয়ে অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাধন কান্ত বাড়ই বলেন, সারাদেশে ৩৭ হাজার দপ্তরি-কাম প্রহরীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। নিয়োগের পর থেকে বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ, টয়লেট পরিষ্কার, বাগান পরিষ্কার, দাপ্তরিক কাজসহ অনেককে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। রাতে আবার বিদ্যালয়ে পাহারার কাজ করতে হয়। বিদ্যালয়ে চুরি হলে আমাদের জরিমানা দিতে হয়।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলেও আমাদের রাজস্ব খাতে নেয়া হচ্ছে না। কর্মঘণ্টা নির্ধারণ না হওয়ায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সে কারণে বুধবার সকালে সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার দপ্তরি-কাম প্রহরীকে নিয়ে আমরা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছি। সকালে অধিদপ্তর ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে পেটানো হয়েছে। তাদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। বিকেলে সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
বেতন বৈষম্য নিরসনসহ চার দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম প্রহরীরা। বুধবার (২৯ জুন) সকাল ৯টায় অধিদপ্তর ঘেরাও করেন তারা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে আশপাশে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলকারীরা বলেন, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজার দপ্তরি-কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়। সরকারি বিদ্যালয়ে চাকরি করেও আমরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। অমানবিক ও নজিরবিহীনভাবে আমাদের দিনে দাপ্তরিক কাজ ও রাতে প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। ২০১৩ সালে এ পদে নিয়োগের পর থেকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে আমাদের।
তারা বলেন, আমাদের কোন সাপ্তাহিক ছুটি নেই। নানা সমস্যার কারণে এবং চাকরি জাতীয়করণের জন্য ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি। গত বছরের ৩০ জুলাই আদালতের রায় আমাদের পক্ষে আসলেও এ বিষয়ে অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাধন কান্ত বাড়ই বলেন, সারাদেশে ৩৭ হাজার দপ্তরি-কাম প্রহরীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। নিয়োগের পর থেকে বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ, টয়লেট পরিষ্কার, বাগান পরিষ্কার, দাপ্তরিক কাজসহ অনেককে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। রাতে আবার বিদ্যালয়ে পাহারার কাজ করতে হয়। বিদ্যালয়ে চুরি হলে আমাদের জরিমানা দিতে হয়।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলেও আমাদের রাজস্ব খাতে নেয়া হচ্ছে না। কর্মঘণ্টা নির্ধারণ না হওয়ায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। সে কারণে বুধবার সকালে সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার দপ্তরি-কাম প্রহরীকে নিয়ে আমরা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছি। সকালে অধিদপ্তর ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে পেটানো হয়েছে। তাদের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। বিকেলে সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।