নিয়ামতপুর (নওগাঁ) : সড়ক ঘেঁষে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে এভাবেই নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেন -সংবাদ
জলাবদ্ধতা নিরসনে নওগাঁর নিয়ামতপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর উদাসীনতা ও অপরিকল্পিত পরিকল্পনার কারণে নষ্ট হবে সরকারের এই লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে, সীমানা নির্ধারণ না করে পাকা রাস্তার ধার ঘেঁষেই নির্মাণ হচ্ছে এই ড্রেন। ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্ত করার প্রয়োজন হলে ড্রেনের কারণে তা সম্ভব হবে না। রাস্তা প্রশস্ত করতে হলে ড্রেন ভাঙ্গতে হবে। তাছাড়া ড্রেন নির্মাণে বৃষ্টির পানির মধ্যেই ঢালাই দেয়া হচ্ছে। উপজেলা সদরের চালহাট্টি হতে চার মাথার মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণে বৃষ্টির পানি জমা থাকলেও সেই পানির মধ্যেই ঢালাই এর কাজ করেছে। উপজেলা গেটের সামনে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের প্রাচীর ঘেঁসে ড্রেনে ঢালাই এর কাজও বৃষ্টির পানির মধ্যেই হয়। এছাড়া ড্রেনের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি, সোলার বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই ড্রেনের কাজ করছে। যা পানি নিষ্কাসনে বাধার সম্মুখীন হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা গেটের সামনের ড্রেনের কাজ অত্যান্ত নিম্নমানের। ঢালাই এর সময় রড মাঝখানে না থেকে এক সাইডে থেকে যাচেছ। বলা যেতে পারে কাজের মান হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
এ বিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ড্রেন নির্মানে কোন অনিয়ম হওয়ার কথা না। দেশের সেরা ঠিকাদার মেসার্স আমিনুল হক কাজটি করছেন। পানির মধ্যে ঢালাই প্রসঙ্গে বলেন, পানির মধ্যে ঢালাই এর কাজ করা সম্ভব, যদি তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। করেছে কি না জানি না। বিষয়টি আমি দেখবো। আর বিদ্যুতের খুঁটির বিষয়ে তিনি বলেন, খুঁটি স্থানান্তর করার মত কোন জায়গা নেই। তাই সরানো যায়নি। আমরা এখানে ড্রেন নির্মাণ করতে চাইনি। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনুরোধে ড্রেন নির্মাণ করছি। খুঁটি থাকলেও পানি নিস্কাসনের কোন সমস্যা হবে না। হলে দেখব। সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী তার নিজের নামও বলতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অন্য প্রন্থায় জানা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, কাজের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান, এলজিইডির প্রতিনিধি, সদর ইউপি চেয়ারম্যান দেখে গেছেন। কাজ সঠিকভাবেই হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ান বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখি। ইস্টিমেট কিভাবে আছে, দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) : সড়ক ঘেঁষে ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে এভাবেই নির্মাণ করা হচ্ছে ড্রেন -সংবাদ
জলাবদ্ধতা নিরসনে নওগাঁর নিয়ামতপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর উদাসীনতা ও অপরিকল্পিত পরিকল্পনার কারণে নষ্ট হবে সরকারের এই লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে, সীমানা নির্ধারণ না করে পাকা রাস্তার ধার ঘেঁষেই নির্মাণ হচ্ছে এই ড্রেন। ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্ত করার প্রয়োজন হলে ড্রেনের কারণে তা সম্ভব হবে না। রাস্তা প্রশস্ত করতে হলে ড্রেন ভাঙ্গতে হবে। তাছাড়া ড্রেন নির্মাণে বৃষ্টির পানির মধ্যেই ঢালাই দেয়া হচ্ছে। উপজেলা সদরের চালহাট্টি হতে চার মাথার মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণে বৃষ্টির পানি জমা থাকলেও সেই পানির মধ্যেই ঢালাই এর কাজ করেছে। উপজেলা গেটের সামনে জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের প্রাচীর ঘেঁসে ড্রেনে ঢালাই এর কাজও বৃষ্টির পানির মধ্যেই হয়। এছাড়া ড্রেনের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি, সোলার বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই ড্রেনের কাজ করছে। যা পানি নিষ্কাসনে বাধার সম্মুখীন হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা গেটের সামনের ড্রেনের কাজ অত্যান্ত নিম্নমানের। ঢালাই এর সময় রড মাঝখানে না থেকে এক সাইডে থেকে যাচেছ। বলা যেতে পারে কাজের মান হ-য-ব-র-ল অবস্থা।
এ বিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ড্রেন নির্মানে কোন অনিয়ম হওয়ার কথা না। দেশের সেরা ঠিকাদার মেসার্স আমিনুল হক কাজটি করছেন। পানির মধ্যে ঢালাই প্রসঙ্গে বলেন, পানির মধ্যে ঢালাই এর কাজ করা সম্ভব, যদি তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। করেছে কি না জানি না। বিষয়টি আমি দেখবো। আর বিদ্যুতের খুঁটির বিষয়ে তিনি বলেন, খুঁটি স্থানান্তর করার মত কোন জায়গা নেই। তাই সরানো যায়নি। আমরা এখানে ড্রেন নির্মাণ করতে চাইনি। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনুরোধে ড্রেন নির্মাণ করছি। খুঁটি থাকলেও পানি নিস্কাসনের কোন সমস্যা হবে না। হলে দেখব। সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী তার নিজের নামও বলতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অন্য প্রন্থায় জানা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, কাজের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান, এলজিইডির প্রতিনিধি, সদর ইউপি চেয়ারম্যান দেখে গেছেন। কাজ সঠিকভাবেই হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ান বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখি। ইস্টিমেট কিভাবে আছে, দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।