ত্রুটিপূর্ণ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পুরাতন হিসাবের খতিয়ান জনগণের সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। জ্বালানি খাতের সংস্থাগুলোর দুর্নীতি-অপচয় বন্ধ করতে না পেরে ভোক্তার ওপর দায় চাপানো হয়েছে বলে মনে করে বেসরকারি এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সিপিডির মতে, জ্বালানি তেলের কর প্রত্যাহার করে বা কমিয়ে এবং ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় কৌশলী হয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যেত।
‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন এড়ানো যেত কি?’ শিরোনামে বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কার্যালয়ে মিডিয়া ব্রিফিং ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিপিডি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানোর ঘটনা দেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে অর্থনীতি এখচ চরম চাপে। ধাপে ধাপে নানাভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সময় এই মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়বে। এর ফলে অনেকে কৃষিকাজ ছাড়বে, বাড়বে আমদানি। শিল্পের উৎপাদন খরচও বাড়বে। ব্যবসার লভ্যাংশ কমবে। অর্থাৎ, ধাপে ধাপে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। যার প্রভাব পড়বে জীবনযাত্রায়। বড় ধাক্কা আসবে নি¤œমধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের ওপর। করোনা মহামারীর প্রভাবে অনেক মানুষ এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। তাদের স্বস্তি না দিয়ে উল্টো চাপ দেয়া হচ্ছে।’ এসব কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘গত ছয়-সাত বছরে বিপিসি ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। সরকার নিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৩৬ হাজার কোটি টাকা কোথায়,’ প্রশ্ন রেখে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বলা হয়েছে, ওই টাকার মধ্যে ৩৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু হিসাব খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা (বিপিসি) কোনটা লাভ, কোনটা লোকসান বলছে, সেটা জানা প্রয়োজন।’
অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘খতিয়ানে নিজস্ব অর্থায়নে ১১টি প্রকল্পের তথ্য পেয়েছি। সেখানে ব্যয় হবে ৮ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে ৫টি প্রকল্প চলমান। বকিগুলো বন্ধ। তাহলে বিপিসির টাকা কোথায়?’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, বিভিন্ন ব্যাংকে বিপিসির ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা আছে। বাকি টাকা কোথায়?’
বিপিসি হিসাবে স্বচ্ছতা রাখলে বাড়তি ব্যয়ের হিসাব সমন্বয় করা যেত মন্তব্য করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিপিসি কীভাবে হিসাব রাখছে, আমাদের জানা দরকার।’ দাম না বাড়িয়ে, অব্যবহৃত অর্থ ভর্তুকি দিয়ে সমন্বয় করা যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে ভর্তুকি ব্যবস্থায় ওই কৌশল নেয়া যেত।’ চলতি অর্থবছরেও বিপিসি ৫ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা বিনিয়েগ করবে উল্লেখ করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘অবাক হচ্ছি, জনগণের মাথায় বোঝা চাপিয়ে বিপিসি কোথায় বিনিয়োগ করবে?’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘ভর্তুকি প্রত্যাহার সমর্থন করি কিন্তু যেভাবে করা হয়েছে, এটাকে সমর্থন করি না। দেশের সবচেয়ে খারাপ সময়ে সরকার জ্বালানি তেলের কর তুলে দিতেই পারে বরং দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর পরোক্ষ কর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা ভয়ংকর বৈষম্যমূলক। ধনীর কিছু হবে না, গরিব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সাবেক কৃষি সচিব আনেয়ার ফারুক বলেন, ‘একবারে এত বেশি দাম বাড়ানোর মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে এখনও আসেনি। ধান চাষে প্রতি বিঘা জমিতে এক হাজার টাকা খরচ বাড়বে কৃষকের।’ তিনি বলেন, এ খাতে ১৫ লাখ কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়, যার ৭৫ শতাংশ ডিজেলচালিত। এখানে অন্তত আগের দামে ডিজেল সরবরাহ করতে হবে।’ ধানের উৎপাদন ব্যাহত হলে দেশ বড় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, শিল্পে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ডিজেলের ব্যবহার বেড়েছে। নতুন দামে ডিজেল কিনে কারখানা চালানো সম্ভব হয়। এদিকে মুদ্রস্ফীতির কারণে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো লাগতে পারে। এই সময় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো গেলে রাপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সহায়ক হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব নিজের করা এক জরিপের বরাত দিয়ে বলেন, শহরে দিনে যাতায়ত খরচ বেড়েছে গড়ে ৭০ থেকে ২০০ টাকা। দূরপাল্লার বাসে খরচ বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। বিভিন্ন পরিবহন সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা আরও বলেন, দেশে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে সিঙ্গাপুর, হংকং, জার্মানির মতো উন্নত দেশের সঙ্গে তুলানা করা হচ্ছে, যাদের মাথাপিছু আয় আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম, নীতি নির্ধারকদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মূল প্রবন্ধে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনার পাশপাশি ‘নিম্নমুখী সামঞ্জজ্যতা’র স্বার্থে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি ও রেশনিং কার্ড বাড়ানো; সামাজিক সুরক্ষা খাতে আবার ব্যয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ; প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ পায়নি এমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার সুপরিশ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক।
বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
ত্রুটিপূর্ণ তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পুরাতন হিসাবের খতিয়ান জনগণের সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। জ্বালানি খাতের সংস্থাগুলোর দুর্নীতি-অপচয় বন্ধ করতে না পেরে ভোক্তার ওপর দায় চাপানো হয়েছে বলে মনে করে বেসরকারি এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সিপিডির মতে, জ্বালানি তেলের কর প্রত্যাহার করে বা কমিয়ে এবং ভর্তুকি ব্যবস্থাপনায় কৌশলী হয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যেত।
‘জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন এড়ানো যেত কি?’ শিরোনামে বুধবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কার্যালয়ে মিডিয়া ব্রিফিং ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিপিডি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানোর ঘটনা দেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে অর্থনীতি এখচ চরম চাপে। ধাপে ধাপে নানাভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সময় এই মূল্যবৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়বে। এর ফলে অনেকে কৃষিকাজ ছাড়বে, বাড়বে আমদানি। শিল্পের উৎপাদন খরচও বাড়বে। ব্যবসার লভ্যাংশ কমবে। অর্থাৎ, ধাপে ধাপে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। যার প্রভাব পড়বে জীবনযাত্রায়। বড় ধাক্কা আসবে নি¤œমধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের ওপর। করোনা মহামারীর প্রভাবে অনেক মানুষ এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। তাদের স্বস্তি না দিয়ে উল্টো চাপ দেয়া হচ্ছে।’ এসব কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘গত ছয়-সাত বছরে বিপিসি ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। সরকার নিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৩৬ হাজার কোটি টাকা কোথায়,’ প্রশ্ন রেখে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বলা হয়েছে, ওই টাকার মধ্যে ৩৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু হিসাব খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা (বিপিসি) কোনটা লাভ, কোনটা লোকসান বলছে, সেটা জানা প্রয়োজন।’
অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, ‘খতিয়ানে নিজস্ব অর্থায়নে ১১টি প্রকল্পের তথ্য পেয়েছি। সেখানে ব্যয় হবে ৮ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এর মধ্যে ৫টি প্রকল্প চলমান। বকিগুলো বন্ধ। তাহলে বিপিসির টাকা কোথায়?’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, বিভিন্ন ব্যাংকে বিপিসির ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা আছে। বাকি টাকা কোথায়?’
বিপিসি হিসাবে স্বচ্ছতা রাখলে বাড়তি ব্যয়ের হিসাব সমন্বয় করা যেত মন্তব্য করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিপিসি কীভাবে হিসাব রাখছে, আমাদের জানা দরকার।’ দাম না বাড়িয়ে, অব্যবহৃত অর্থ ভর্তুকি দিয়ে সমন্বয় করা যায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আইএমএফের পরামর্শ বাস্তবায়নে ভর্তুকি ব্যবস্থায় ওই কৌশল নেয়া যেত।’ চলতি অর্থবছরেও বিপিসি ৫ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা বিনিয়েগ করবে উল্লেখ করে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘অবাক হচ্ছি, জনগণের মাথায় বোঝা চাপিয়ে বিপিসি কোথায় বিনিয়োগ করবে?’
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘ভর্তুকি প্রত্যাহার সমর্থন করি কিন্তু যেভাবে করা হয়েছে, এটাকে সমর্থন করি না। দেশের সবচেয়ে খারাপ সময়ে সরকার জ্বালানি তেলের কর তুলে দিতেই পারে বরং দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর পরোক্ষ কর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা ভয়ংকর বৈষম্যমূলক। ধনীর কিছু হবে না, গরিব মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সাবেক কৃষি সচিব আনেয়ার ফারুক বলেন, ‘একবারে এত বেশি দাম বাড়ানোর মতো পরিস্থিতি বাংলাদেশে এখনও আসেনি। ধান চাষে প্রতি বিঘা জমিতে এক হাজার টাকা খরচ বাড়বে কৃষকের।’ তিনি বলেন, এ খাতে ১৫ লাখ কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়, যার ৭৫ শতাংশ ডিজেলচালিত। এখানে অন্তত আগের দামে ডিজেল সরবরাহ করতে হবে।’ ধানের উৎপাদন ব্যাহত হলে দেশ বড় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, শিল্পে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ডিজেলের ব্যবহার বেড়েছে। নতুন দামে ডিজেল কিনে কারখানা চালানো সম্ভব হয়। এদিকে মুদ্রস্ফীতির কারণে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো লাগতে পারে। এই সময় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো গেলে রাপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সহায়ক হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব নিজের করা এক জরিপের বরাত দিয়ে বলেন, শহরে দিনে যাতায়ত খরচ বেড়েছে গড়ে ৭০ থেকে ২০০ টাকা। দূরপাল্লার বাসে খরচ বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। বিভিন্ন পরিবহন সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মূল প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা আরও বলেন, দেশে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে সিঙ্গাপুর, হংকং, জার্মানির মতো উন্নত দেশের সঙ্গে তুলানা করা হচ্ছে, যাদের মাথাপিছু আয় আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম, নীতি নির্ধারকদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মূল প্রবন্ধে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনার পাশপাশি ‘নিম্নমুখী সামঞ্জজ্যতা’র স্বার্থে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি ও রেশনিং কার্ড বাড়ানো; সামাজিক সুরক্ষা খাতে আবার ব্যয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ; প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ পায়নি এমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার সুপরিশ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক।