পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে। ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে আসা এই টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে টাকা না পেয়ে এ অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই কাজে জড়িত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ২০২১ সালে মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা পৌছে দেয়ার দায়িত্ব নেন সরকার। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কিট অ্যালাউন্স হিসেবে ১ হাজার টাকা, প্রতি মাসে বৃত্তির জন্য প্রাক শিক্ষার্থীদের ৭৫ টাকা, প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১৫০ টাকা করে ৬ মাসের টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৬ মাসের টাকা অভিভাকদের নগদ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ হাজার ৯৩৭ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। ওইসব শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন অভিভাবকেরা। তারা জানান, উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং নগদে আসার পর সেই টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ক্যাশ আউট হয়ে গেছে অন্য একটি অচেনা নম্বরে। এভাবে প্রতারনার ফাঁদে পরছেন অভিভাবকেরা।
ছোটবাইশাদয়া ইউনিয়নের চর ইমারশনের অভিভাবক মো. বাচ্চু কাজী বলেন, আমার ৫ টা মাইয়া অনেক কষ্ট কইরা লেখাপড়া করাই। ১ মাইয়া রুবিনা কোড়ালিয়া এ রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। উপবৃত্তির ৯৫০ টাকা উঠাইতে দোকানে গেলে দোকানদার কয় টাকা অন্য নম্বরে ক্যাশ আউট হইয়া গেছে। ওই নম্বর আমি চিনি না। নম্বরটি বন্ধ পাই। এর আগেও আমার মাইয়ার উপবৃত্তির ১৯শ টাকা নিয়া গেছে। একই প্রতিষ্ঠানের আরেক অভিভাবক আঃ ছত্তার প্যাদা বলেন, আমার ২ নাতী জান্নাতুল ও বায়েজীদ। ১ জন প্রথম শ্রেনীতে আরেকজন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে। আমি স্থানীয় বাজারে গিয়া দোকানির কাছে জানতে চাইলে দোকানদার জানায় আপনার টাকা ক্যাশ আউট হয়ে গেছে। শুধু নাতীদেরই নয় অনেক বাচ্চাদের টাকা তুলতে পারে নাই। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক শামিম শিকদার বলেন, মোবাইলে মেয়ের উপবৃত্তির টাকা আসছে দেখছি, কিন্তু ২ দিন পর দোকানে টাকা উঠাইতে গিয়া দেখি টাকা নাই। এর আগেও মাইয়ার পোশাকের জন্য টাকা আসছিল তাও নিয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট বলেন, গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখের আগে যারা টাকা উত্তোলন করেছেন তারা পেয়েছেন, যারা করেনি তাদের টাকা উধাও হয়ে গেছে। অনেক অভিভাবক আমাদের কাছে টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন।
কাউখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ ছালাম বলেন, মূলত টাকা ক্যাশ ইন হলে ফোনে এসএমএস আসে না। যার কারণে অধিকাংশ অভিভাবকেরা জানেন না যে তাদের ফোনে টাকা আসছে। গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখের আগে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পিন নম্বর ম্যাচ্ করেনি। আবার পরে উঠাতে গেলে ক্যাশ আউট দেখায়। অধিকাংশ অভিভাবকেরা এ অভিযোগ জানায়। আমাদের তো করার কিছু নাই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের চাহিদা দাখিল করেছি। অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনেছি যারা ১৯ জুলাইয়ের পর টাকা তুলতে গেছে তাদের অনেকের টাকা আগেই ক্যাশ আউট হয়ে গেছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেছে। ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে আসা এই টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে টাকা না পেয়ে এ অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই কাজে জড়িত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ২০২১ সালে মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা পৌছে দেয়ার দায়িত্ব নেন সরকার। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কিট অ্যালাউন্স হিসেবে ১ হাজার টাকা, প্রতি মাসে বৃত্তির জন্য প্রাক শিক্ষার্থীদের ৭৫ টাকা, প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১৫০ টাকা করে ৬ মাসের টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৬ মাসের টাকা অভিভাকদের নগদ অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪ হাজার ৯৩৭ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। ওইসব শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন অভিভাবকেরা। তারা জানান, উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং নগদে আসার পর সেই টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ক্যাশ আউট হয়ে গেছে অন্য একটি অচেনা নম্বরে। এভাবে প্রতারনার ফাঁদে পরছেন অভিভাবকেরা।
ছোটবাইশাদয়া ইউনিয়নের চর ইমারশনের অভিভাবক মো. বাচ্চু কাজী বলেন, আমার ৫ টা মাইয়া অনেক কষ্ট কইরা লেখাপড়া করাই। ১ মাইয়া রুবিনা কোড়ালিয়া এ রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। উপবৃত্তির ৯৫০ টাকা উঠাইতে দোকানে গেলে দোকানদার কয় টাকা অন্য নম্বরে ক্যাশ আউট হইয়া গেছে। ওই নম্বর আমি চিনি না। নম্বরটি বন্ধ পাই। এর আগেও আমার মাইয়ার উপবৃত্তির ১৯শ টাকা নিয়া গেছে। একই প্রতিষ্ঠানের আরেক অভিভাবক আঃ ছত্তার প্যাদা বলেন, আমার ২ নাতী জান্নাতুল ও বায়েজীদ। ১ জন প্রথম শ্রেনীতে আরেকজন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে। আমি স্থানীয় বাজারে গিয়া দোকানির কাছে জানতে চাইলে দোকানদার জানায় আপনার টাকা ক্যাশ আউট হয়ে গেছে। শুধু নাতীদেরই নয় অনেক বাচ্চাদের টাকা তুলতে পারে নাই। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের টুঙ্গিবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক শামিম শিকদার বলেন, মোবাইলে মেয়ের উপবৃত্তির টাকা আসছে দেখছি, কিন্তু ২ দিন পর দোকানে টাকা উঠাইতে গিয়া দেখি টাকা নাই। এর আগেও মাইয়ার পোশাকের জন্য টাকা আসছিল তাও নিয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট বলেন, গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখের আগে যারা টাকা উত্তোলন করেছেন তারা পেয়েছেন, যারা করেনি তাদের টাকা উধাও হয়ে গেছে। অনেক অভিভাবক আমাদের কাছে টাকা তুলতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন।
কাউখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ ছালাম বলেন, মূলত টাকা ক্যাশ ইন হলে ফোনে এসএমএস আসে না। যার কারণে অধিকাংশ অভিভাবকেরা জানেন না যে তাদের ফোনে টাকা আসছে। গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখের আগে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পিন নম্বর ম্যাচ্ করেনি। আবার পরে উঠাতে গেলে ক্যাশ আউট দেখায়। অধিকাংশ অভিভাবকেরা এ অভিযোগ জানায়। আমাদের তো করার কিছু নাই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের চাহিদা দাখিল করেছি। অভিভাবকদের কাছ থেকে শুনেছি যারা ১৯ জুলাইয়ের পর টাকা তুলতে গেছে তাদের অনেকের টাকা আগেই ক্যাশ আউট হয়ে গেছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।