জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় আরিফুল ইসলাম জিয়া নামের বিএনপির এক নেতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি। বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাকির হোসেন। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগেই আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আরিফুল ইসলাম জিয়া ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা শহরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই তিনি সপরিবারে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকায় পালিয়ে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক সময় সুযোগ বুঝে চলে আসেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরিতলা গ্রামে। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিউল আলম আজাদ জানান, আরিফুল ইসলাম জিয়া একজন ভূমি খেকো হিসেবে পরিচিত। সে মাধবপুর উপজেলার হরিতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমি কেনার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। শুধুমাত্র ব্যাংকের চেক দিয়ে জমি কিনে দলিল করে। পরে চেকের টাকা চাইতে গেলেই বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চেক ছিনিয়ে নিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। এরই অভিযোগে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাত করায় নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে গত ১২ জুন হবিগঞ্জ আদালতে কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। এরপর আদালতের বিচারক অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ১৬ জুন মাধবপুর থানায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন, খড়কী গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে দলিল লেখক সালাহ উদ্দিন ও এক্তিয়ারপুর গ্রামের মৃত ইনু মিয়ার ছেলে শাহ আলম। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন আরিফুল ইসলাম জিয়া। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই আদালতে আত্মসর্মপণ করে পূনরায় জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। অন্য আসামিরা আগামী তারিখ পর্যন্ত জামিনে রয়েছে। মামলার সূত্রে জানাযায়, আরিফুল ইসলাম জিয়া ২০১৬ সালে ওই এলাকার নুরজাহান বেগমের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ২৫৮ শতক জমি ৩কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ক্রয় করেন তিনি। নগদ ৪০ লাখ টাকা ওই সময় দিলেও বাকি টকার ৬টি চেক হস্তান্তর করে জিয়া। নির্ধারিত সময় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়ার কথা বললেও চল বাহানা করে ৬ বছর ধরে দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। পরে তার দলিল লেখক সালাহ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন মিলে নোয়াপাড়া দলিল লেখকের অফিসে টাকা দেয়ার কথা বলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫টি চেক নিয়ে যায়। এসময় প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও রাখে এই জিয়া। এনিয়ে এলাকায় মানববন্ধও হয় ভূমি দস্যু জিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর নুরজাহান ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলতি বছরের ১২ জুন একটি মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় আরিফুল ইসলাম জিয়া নামের বিএনপির এক নেতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি। বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাকির হোসেন। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগেই আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আরিফুল ইসলাম জিয়া ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা শহরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই তিনি সপরিবারে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকায় পালিয়ে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক সময় সুযোগ বুঝে চলে আসেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরিতলা গ্রামে। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিউল আলম আজাদ জানান, আরিফুল ইসলাম জিয়া একজন ভূমি খেকো হিসেবে পরিচিত। সে মাধবপুর উপজেলার হরিতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমি কেনার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। শুধুমাত্র ব্যাংকের চেক দিয়ে জমি কিনে দলিল করে। পরে চেকের টাকা চাইতে গেলেই বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চেক ছিনিয়ে নিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। এরই অভিযোগে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাত করায় নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে গত ১২ জুন হবিগঞ্জ আদালতে কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। এরপর আদালতের বিচারক অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ১৬ জুন মাধবপুর থানায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ। মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন, খড়কী গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে দলিল লেখক সালাহ উদ্দিন ও এক্তিয়ারপুর গ্রামের মৃত ইনু মিয়ার ছেলে শাহ আলম। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন আরিফুল ইসলাম জিয়া। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই আদালতে আত্মসর্মপণ করে পূনরায় জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। অন্য আসামিরা আগামী তারিখ পর্যন্ত জামিনে রয়েছে। মামলার সূত্রে জানাযায়, আরিফুল ইসলাম জিয়া ২০১৬ সালে ওই এলাকার নুরজাহান বেগমের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ২৫৮ শতক জমি ৩কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ক্রয় করেন তিনি। নগদ ৪০ লাখ টাকা ওই সময় দিলেও বাকি টকার ৬টি চেক হস্তান্তর করে জিয়া। নির্ধারিত সময় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়ার কথা বললেও চল বাহানা করে ৬ বছর ধরে দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে। পরে তার দলিল লেখক সালাহ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন মিলে নোয়াপাড়া দলিল লেখকের অফিসে টাকা দেয়ার কথা বলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫টি চেক নিয়ে যায়। এসময় প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও রাখে এই জিয়া। এনিয়ে এলাকায় মানববন্ধও হয় ভূমি দস্যু জিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর নুরজাহান ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলতি বছরের ১২ জুন একটি মামলা দায়ের করেন।