কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করায় এক পর্যটককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নাজমুল হাসান নামের এই পর্যটক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। নাজমুল হাসান কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি থানার সুজানগর এলাকার আবদুস সালামের ছেলে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২টায় সাংবাদিকদের এ ধরনের অভিযোগের তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
অভিযোগপত্রের বরাতে আবু সুফিয়ান বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি থানার সুজানগর এলাকার নাজমুল হাসান নামের এক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যান। এ সময় ট্যুরিস্ট সদস্যরা বাধা দিলে ওই পর্যটকের সঙ্গে বাদানুবাদ ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ ওই পর্যটকের।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই পর্যটক জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযোগের বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতেও পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বুধবার (১০ আগস্ট) নাজমুল ও তার ভাগিনা মো. শান্ত কক্সবাজার আসেন। পরে হোটেল-মোটেল জোনের ‘ড্রিম গেস্ট’ নামের এক আবাসিক হোটেলে উঠেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় তারা মোটরসাইকেল নিয়ে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরতে যান। এ সময় জনৈক ফটোগ্রাফার তাদের জানায়, সৈকতে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ ও ঘুরাঘুরি করা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আছে। এরপরও নাজমুল ও তার ভাগিনা মোটরসাইকেলসহ সৈকত এলাকা থেকে ফিরছিল। এ সময় সেখান দায়িত্বরত জনৈক ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা নাজমুলের কাছ থেকে হেলমেট এবং ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা নিয়ে নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজমুল ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ৪-৫ বার প্রহার করেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগে ভুক্তভোগী নাজমুল মন্তব্য করেন, অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যের কাছে তিনি ক্ষমা চান। এরপরও ওই পুলিশ সদস্য উত্তেজিত হয়ে হাতে লাঠি দিয়ে পর্যটককে বেদড়ক মারধর করেছেন।
এদিকে ঘটনার ব্যাপারে ভুক্তভোগী পর্যটকের লিখিত অভিযোগটি জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা অবহিত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। পর্যটককে হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করায় এক পর্যটককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নাজমুল হাসান নামের এই পর্যটক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। নাজমুল হাসান কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি থানার সুজানগর এলাকার আবদুস সালামের ছেলে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২টায় সাংবাদিকদের এ ধরনের অভিযোগের তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
অভিযোগপত্রের বরাতে আবু সুফিয়ান বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি থানার সুজানগর এলাকার নাজমুল হাসান নামের এক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যান। এ সময় ট্যুরিস্ট সদস্যরা বাধা দিলে ওই পর্যটকের সঙ্গে বাদানুবাদ ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ ওই পর্যটকের।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই পর্যটক জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযোগের বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতেও পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বুধবার (১০ আগস্ট) নাজমুল ও তার ভাগিনা মো. শান্ত কক্সবাজার আসেন। পরে হোটেল-মোটেল জোনের ‘ড্রিম গেস্ট’ নামের এক আবাসিক হোটেলে উঠেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় তারা মোটরসাইকেল নিয়ে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরতে যান। এ সময় জনৈক ফটোগ্রাফার তাদের জানায়, সৈকতে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ ও ঘুরাঘুরি করা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আছে। এরপরও নাজমুল ও তার ভাগিনা মোটরসাইকেলসহ সৈকত এলাকা থেকে ফিরছিল। এ সময় সেখান দায়িত্বরত জনৈক ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা নাজমুলের কাছ থেকে হেলমেট এবং ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা নিয়ে নেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজমুল ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ৪-৫ বার প্রহার করেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগে ভুক্তভোগী নাজমুল মন্তব্য করেন, অনাকাক্সিক্ষত ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যের কাছে তিনি ক্ষমা চান। এরপরও ওই পুলিশ সদস্য উত্তেজিত হয়ে হাতে লাঠি দিয়ে পর্যটককে বেদড়ক মারধর করেছেন।
এদিকে ঘটনার ব্যাপারে ভুক্তভোগী পর্যটকের লিখিত অভিযোগটি জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা অবহিত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। পর্যটককে হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।