কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুলে অন্তত ২৫টি পাহাড় কেটে শেষ করে দিয়েছে ১৩ জনের একটি সিন্ডিকেট। গত এক বছর ধরে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি চলছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। চিহ্নিত ১৩ জনের সিন্ডিকেটটি ২১টি ডাম্প ট্রাক নিয়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে সাবাড় করে দিচ্ছে একের পর এক পাহাড়।
কিন্তু বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই সিন্ডিকেট সদস্যদের গোপন চুক্তি থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এমনকি পাহাড় কাটায় জড়িত সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তা আমলে নেয়া হয় না। একাধিক মামলার আসামি এসব পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে গত এক বছরে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো সিন্ডিকেট সদস্যদের রক্ষা করতে নিরীহদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। যার কারণে পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না।
পাহাড় কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোর্শেদ আলম ও সিরাজুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি। তারা বলেন, গত এক বছরে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে মৌখিকভাবে অসংখ্যবার অভিযোগ দিলেও কাজ না হওয়ায় লিখিত অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুল ইউনিয়নে ১৩ জনের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ২১টি ডাম্প ট্রাক নিয়ে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি বিক্রি করে আসছে। পাহাড় কাটার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু গত এক বছরে সিন্ডিকেটের ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থায় গ্রহণ করেনি বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। অথচ সিন্ডিকেটটি এক বছরে শেষ করেছে ছোট-বড় ২৫টি পাহাড়। যা এখনও অব্যাহত আছে।
সূত্র জানিয়েছে, এক বছর আগে বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের সাঁড়াশি অভিযান ও মামলায় এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাহাড়খেকো সিন্ডিকেটটি। ওই কর্মকর্তারা বদলির পর নতুন কর্মকর্তাদের কয়েকজনকে হাত করে সিন্ডিকেটটি। এরপর থেকে গত এক বছরে পাহাড়ের পর পাহাড় কেটে শেষ করে দিলেও সিন্ডিকেটের ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়নি। যার কারণে তারা এখন বেপরোয়া। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি সিন্ডিকেট সদস্যদের একচেটিয়া সুবিধা দিতে সিন্ডিকেটের বাইরে কেউ পাহাড় কাটলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়।
সিন্ডিকেট সদস্যরা হলেন- যথাক্রমে খুরুশকুল বন বিটে তেতৈয়ার হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার নাছির উদ্দীন, কুলিয়াপাড়ার জিয়াবুল হক, কাউয়ারপাড়ার কায়সার, মামুন, তোতকখালীর কায়েস সিকদার, মামুন, পিএমখালীর পরানিয়াপাড়ার ওবায়দুল করিম, নুরুল আমিন, ডিকপাড়ার মোস্তাক আহমদ, নয়াপাড়ার আবদুল্লাহ, হারুন ও ছনখোলার নাছির। এই সিন্ডিকেটের প্রধান ওবায়দুল করিম। ওই ১৩ জনের সিন্ডিকেটের আওতায় ২১টি ডাম্পার চলছে। এছাড়া এর বাইরে আরও ৫-৬ জন ডাম্পার ট্রাক মালিক বিচ্ছিন্নভাবে পাহাড় কাটায় জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে, মামলাও দেয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, পিএমখালীতে পাহাড় কাটার ঘটনা নজরে আসায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পিএমখালীতে পাহাড় কাটার ৫-৬টি স্পট পরিদর্শন করেছি। পাহাড় কর্তনকারীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০২২
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুলে অন্তত ২৫টি পাহাড় কেটে শেষ করে দিয়েছে ১৩ জনের একটি সিন্ডিকেট। গত এক বছর ধরে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি চলছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। চিহ্নিত ১৩ জনের সিন্ডিকেটটি ২১টি ডাম্প ট্রাক নিয়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে সাবাড় করে দিচ্ছে একের পর এক পাহাড়।
কিন্তু বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই সিন্ডিকেট সদস্যদের গোপন চুক্তি থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এমনকি পাহাড় কাটায় জড়িত সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তা আমলে নেয়া হয় না। একাধিক মামলার আসামি এসব পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে গত এক বছরে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো সিন্ডিকেট সদস্যদের রক্ষা করতে নিরীহদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। যার কারণে পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না।
পাহাড় কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোর্শেদ আলম ও সিরাজুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি। তারা বলেন, গত এক বছরে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে মৌখিকভাবে অসংখ্যবার অভিযোগ দিলেও কাজ না হওয়ায় লিখিত অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুল ইউনিয়নে ১৩ জনের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ২১টি ডাম্প ট্রাক নিয়ে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি বিক্রি করে আসছে। পাহাড় কাটার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু গত এক বছরে সিন্ডিকেটের ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থায় গ্রহণ করেনি বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। অথচ সিন্ডিকেটটি এক বছরে শেষ করেছে ছোট-বড় ২৫টি পাহাড়। যা এখনও অব্যাহত আছে।
সূত্র জানিয়েছে, এক বছর আগে বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের সাঁড়াশি অভিযান ও মামলায় এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাহাড়খেকো সিন্ডিকেটটি। ওই কর্মকর্তারা বদলির পর নতুন কর্মকর্তাদের কয়েকজনকে হাত করে সিন্ডিকেটটি। এরপর থেকে গত এক বছরে পাহাড়ের পর পাহাড় কেটে শেষ করে দিলেও সিন্ডিকেটের ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়নি। যার কারণে তারা এখন বেপরোয়া। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি সিন্ডিকেট সদস্যদের একচেটিয়া সুবিধা দিতে সিন্ডিকেটের বাইরে কেউ পাহাড় কাটলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়।
সিন্ডিকেট সদস্যরা হলেন- যথাক্রমে খুরুশকুল বন বিটে তেতৈয়ার হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার নাছির উদ্দীন, কুলিয়াপাড়ার জিয়াবুল হক, কাউয়ারপাড়ার কায়সার, মামুন, তোতকখালীর কায়েস সিকদার, মামুন, পিএমখালীর পরানিয়াপাড়ার ওবায়দুল করিম, নুরুল আমিন, ডিকপাড়ার মোস্তাক আহমদ, নয়াপাড়ার আবদুল্লাহ, হারুন ও ছনখোলার নাছির। এই সিন্ডিকেটের প্রধান ওবায়দুল করিম। ওই ১৩ জনের সিন্ডিকেটের আওতায় ২১টি ডাম্পার চলছে। এছাড়া এর বাইরে আরও ৫-৬ জন ডাম্পার ট্রাক মালিক বিচ্ছিন্নভাবে পাহাড় কাটায় জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন, পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে, মামলাও দেয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, পিএমখালীতে পাহাড় কাটার ঘটনা নজরে আসায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পিএমখালীতে পাহাড় কাটার ৫-৬টি স্পট পরিদর্শন করেছি। পাহাড় কর্তনকারীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।