হৃদয় (২৫) ও রিয়া মনির (২১) বিয়ে হয়েছে শনিবার। সোমবার স্বজনেরা নবদম্পতিকে নিয়ে কনের বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন মোড় সংলগ্ন সড়কে বিআরটির প্রকল্পের গার্ডার পড়ে তাদের প্রাইভেটকারের ওপর।
প্রাইভেটকারে আরোহী ছিলেন সাত জন বলে স্বজনরা জানায়। তারা হলেন- হৃদয়ের বাবা রুবেল (৫০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪২), কনে রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। গাড়ির ভেতরেই চাপা পড়েছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গার্ডার সরানোর পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। শুধু বেঁচে গেছেন হৃদয় ও রিয়া। নব দম্পতিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তারা সোমবার ছেলের বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর কনে রিয়া মনির বাড়ি আশুলিয়ার খেজুরবাগানে আসরাফউদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায়।
হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব (১৯) বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। কিন্তু এতো সময় পরও গাড়ি থেকে মরদেহগুলো বের করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ভেতরে যদি কেউ বেঁচে থেকেও থাকেন তাহলে এতোক্ষণে মারা গেছেন। রাকিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার কীভাবে এভাবে অব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করছে? আমরা কার কাছে বিচার দিব! আমাদের অন্তত লাশগুলো বের করে দিক। কিন্তু এখানে তো কোনো উন্নত যন্ত্রপাতি নেই।’
দুর্ঘটনাস্থলে স্বজনেরা আসছেন। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোড এলাকা।
পুলিশ বলছে, গাড়ির ওপর থেকে গার্ডারটি সরানোর পর বিস্তারিত জানা যাবে। আহত ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজ চলাকালীন সময়ে গার্ডারটি যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানোর কাজ চলছিল তখন ক্রেনটি বাম্পিং করছিল। গার্ডারের ওজন বেশি হয়ে যাওয়ায় ক্রেনটি উল্টে যায়। মূলত অতিরিক্ত ভারের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা এ ঘটনাকে অবহেলিতাজনিত ঘটনা বলছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, গার্ডারের ওজন ক্রেনের ওজনের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি সরাতে হলে গার্ডারের চেয়ে বেশি ওজনের ক্রেন লাগবে।
সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২
হৃদয় (২৫) ও রিয়া মনির (২১) বিয়ে হয়েছে শনিবার। সোমবার স্বজনেরা নবদম্পতিকে নিয়ে কনের বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন মোড় সংলগ্ন সড়কে বিআরটির প্রকল্পের গার্ডার পড়ে তাদের প্রাইভেটকারের ওপর।
প্রাইভেটকারে আরোহী ছিলেন সাত জন বলে স্বজনরা জানায়। তারা হলেন- হৃদয়ের বাবা রুবেল (৫০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪২), কনে রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। গাড়ির ভেতরেই চাপা পড়েছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গার্ডার সরানোর পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। শুধু বেঁচে গেছেন হৃদয় ও রিয়া। নব দম্পতিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তারা সোমবার ছেলের বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর কনে রিয়া মনির বাড়ি আশুলিয়ার খেজুরবাগানে আসরাফউদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায়।
হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব (১৯) বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। কিন্তু এতো সময় পরও গাড়ি থেকে মরদেহগুলো বের করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ভেতরে যদি কেউ বেঁচে থেকেও থাকেন তাহলে এতোক্ষণে মারা গেছেন। রাকিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার কীভাবে এভাবে অব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করছে? আমরা কার কাছে বিচার দিব! আমাদের অন্তত লাশগুলো বের করে দিক। কিন্তু এখানে তো কোনো উন্নত যন্ত্রপাতি নেই।’
দুর্ঘটনাস্থলে স্বজনেরা আসছেন। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোড এলাকা।
পুলিশ বলছে, গাড়ির ওপর থেকে গার্ডারটি সরানোর পর বিস্তারিত জানা যাবে। আহত ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজ চলাকালীন সময়ে গার্ডারটি যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানোর কাজ চলছিল তখন ক্রেনটি বাম্পিং করছিল। গার্ডারের ওজন বেশি হয়ে যাওয়ায় ক্রেনটি উল্টে যায়। মূলত অতিরিক্ত ভারের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা এ ঘটনাকে অবহেলিতাজনিত ঘটনা বলছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, গার্ডারের ওজন ক্রেনের ওজনের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি সরাতে হলে গার্ডারের চেয়ে বেশি ওজনের ক্রেন লাগবে।