নীলফামারী ডোমারে সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। ৫০ কেজি চালের বস্তায় বেড়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা পর্যন্ত। শুধু চাল নয় অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় বিপাকে পরেছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে চাল বাজারে। মিল মালিকদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি এক থেকে দেড় শত টাকা বেশি দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে জেনারেটর দিয়ে বেশি সময়ে মিলগুলো চালাতে হয়। ডিজেল তেলের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। তাই পাইকারী বস্তা প্রতি দেড় শত টাকা বেশি নিচ্ছে মিল মালিকরা বলে জানান অনেক চাল ব্যবসায়ী। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বর্তমানে ৫০ কেজি চালের বস্তায় বেড়েছে ৩শ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগে চালের খুচরা মূল্যে ও বর্তমান মূল্যে কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলেন জানান ব্যবসায়ীরা।
অপরিবর্তীত রয়েছে কাঠারী ভোগ, রাজভোগ,চিনিগুড়া, কালোজিরা, সিদ্ধ কাঠারী চালের দাম। দিনমুজুর বেলাল হোসেন সংবাদ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার পরিবারে ৬ জন মানুষ। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কেজি চাল লাগে। বর্তমানে ৫ কেজি (গুটিস্বর্ন) চালের দাম ২৬০ টাকা। তেল, লবণ, শাকসবজি কিনতে টাকা শেষ। গরিবের মুখে আর মাছ মাংস উঠে না। সব কিছুর দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। ভ্যান চালক আনিছার রহমান বলেন চাল,ডাল ,তেল, সাবান, তরিতরকারীর দাম বেড়েছে। হামার ভাড়া বাড়ে না । ডোমার থেকে মাহিগঞ্জ ১০ টাকা ছিল এখনো ১০ টাকায় দেয়। প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
বাজারে চাল কিনতে আসা রাসেল ইসলাম জানান, দুই সপ্তাহ আগেই গুটি স্বর্ণ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩শ টাকা ছিল। আজকে চাল কিনতে এসে জানতে পারি সেই চালের বস্তা এখন ২৭শ টাকা। এক বস্তা চালে ৩শ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। তিনি বলেন শুধু চাল নয় সবকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের মত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পরেছে।
ডোমার বাজারের চাল ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, বাজারে চালের চাহিদা অনুযায়ী মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল পাওয়া যাচ্ছে না। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। জ্বালানি তেলের মূল্যে বৃদ্ধিতে চাল উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার চালের দাম বেড়েছে বলেও তিনি জানান। ডোমার পৌর শহরের চাল ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত। বর্তমান পরিস্তিতিতে দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিল মালিকরা এখন চাল দিচ্ছেনা। তাদের গুদামে হাজার হাজার টন ধান থাকলেও তারা চাল করছে না।
মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
নীলফামারী ডোমারে সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। ৫০ কেজি চালের বস্তায় বেড়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা পর্যন্ত। শুধু চাল নয় অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় বিপাকে পরেছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে চাল বাজারে। মিল মালিকদের কাছ থেকে বস্তা প্রতি এক থেকে দেড় শত টাকা বেশি দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে জেনারেটর দিয়ে বেশি সময়ে মিলগুলো চালাতে হয়। ডিজেল তেলের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। তাই পাইকারী বস্তা প্রতি দেড় শত টাকা বেশি নিচ্ছে মিল মালিকরা বলে জানান অনেক চাল ব্যবসায়ী। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বর্তমানে ৫০ কেজি চালের বস্তায় বেড়েছে ৩শ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগে চালের খুচরা মূল্যে ও বর্তমান মূল্যে কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলেন জানান ব্যবসায়ীরা।
অপরিবর্তীত রয়েছে কাঠারী ভোগ, রাজভোগ,চিনিগুড়া, কালোজিরা, সিদ্ধ কাঠারী চালের দাম। দিনমুজুর বেলাল হোসেন সংবাদ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার পরিবারে ৬ জন মানুষ। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কেজি চাল লাগে। বর্তমানে ৫ কেজি (গুটিস্বর্ন) চালের দাম ২৬০ টাকা। তেল, লবণ, শাকসবজি কিনতে টাকা শেষ। গরিবের মুখে আর মাছ মাংস উঠে না। সব কিছুর দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। ভ্যান চালক আনিছার রহমান বলেন চাল,ডাল ,তেল, সাবান, তরিতরকারীর দাম বেড়েছে। হামার ভাড়া বাড়ে না । ডোমার থেকে মাহিগঞ্জ ১০ টাকা ছিল এখনো ১০ টাকায় দেয়। প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
বাজারে চাল কিনতে আসা রাসেল ইসলাম জানান, দুই সপ্তাহ আগেই গুটি স্বর্ণ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২৩শ টাকা ছিল। আজকে চাল কিনতে এসে জানতে পারি সেই চালের বস্তা এখন ২৭শ টাকা। এক বস্তা চালে ৩শ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। তিনি বলেন শুধু চাল নয় সবকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের মত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পরেছে।
ডোমার বাজারের চাল ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, বাজারে চালের চাহিদা অনুযায়ী মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল পাওয়া যাচ্ছে না। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। জ্বালানি তেলের মূল্যে বৃদ্ধিতে চাল উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার চালের দাম বেড়েছে বলেও তিনি জানান। ডোমার পৌর শহরের চাল ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত। বর্তমান পরিস্তিতিতে দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিল মালিকরা এখন চাল দিচ্ছেনা। তাদের গুদামে হাজার হাজার টন ধান থাকলেও তারা চাল করছে না।