মুন্সীগঞ্জ : রেলিং-পাটা ধসে পড়া ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পথচারীরা -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কোদাল ধোঁয়া খালের ওপর নির্মিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার মানুষ। এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে রামপাল কলেজ, সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও রামপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে প্রতিদিন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটির রেলিং ভাঙ্গা। সংস্কারের অভাবে রেলিং ধসে পড়ে সরু ব্রিজটিতে চলাচলে মানুষ ভোগান্তি বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিপাহীপাড়া-রামপাল কলেজ হতে ব্রিজটি পাড়ি দিয়ে হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ি, রামপাল ইউনিয়ন পরিষদ, তিনসিঁড়ি হয়ে টঙ্গীবাড়ীসহ রামপাল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে সরু এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। ব্রিজটি বছরের পর বছর সংস্কার না করায় রেলিংগুলো খসে খসে পড়ছে। দেখা যায় রেলিংয়ে ব্যবহার কার রডগুলো বেরিছে আছে। আবার দেখা যায় কোথাও কোথাও রডগুলো ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ব্রিজটির উত্তর প্রান্তে দেখা যায় একটি বিশাল আকৃতি রেইনট্রি গাছ। এই গাছটি কারণে ব্রিজটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই ব্রিজটি এমন অবস্থা। দিনের পর দিন রেলিং ধসের কারণে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, এই ব্রিজটি এখন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কবে যেন ভেঙ্গে পড়ে। প্রায় ১৫ বছর ধরে রেলিং ভেঙ্গে ধসে ধসে পড়ছে। এখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও ভয় লাগে।
মিশুক চালক শান্ত বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচল করে। জানি না কবে এই ব্রিজটি ধসে পড়ে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ এবং রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনরে কাছে। না হলে যেন কোন সময় ব্রিজটি ধসে পড়লে কয়ক্ষতি হতে পারে।
৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে আমি প্রতিদিন যাতায়াত করি। ব্রিজটি দু’পাশে রেলিং দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা। আমি নতুন মেম্বার হয়েছি। আমি এই ব্রিজটির ব্যপারে এলজিইডির কর্তৃপক্ষে কাছে যাব যেন একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার ব্যবস্থা করেন।
রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো.বাচ্চু শেখ বলেন, এই ব্রিজটি ওপর দিয়ে রামপাল কলেজ, সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও রামপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। এই ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেন।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিকুল আহসান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। আপনার কাজ থেকে জানতে পারলাম। যেহেতু আপনি বিষয়টি অবগত করলেন। আমরা সরেজমিনে আগামীকাল পরিদর্শনের জন্য কর্মকর্তা পাঠাব। চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমাদের জানানো উচিত বলে আমি মনে করি। তাহলে আমরা একটি নতুন ব্রিজ তৈরির করার জন্য বাজেট প্রস্তাব করতে পারি। আমরা চাই আমাদের কাছে জনপ্রতিনিধিরা এসে সমস্যার কথা বলে।
মুন্সীগঞ্জ : রেলিং-পাটা ধসে পড়া ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পথচারীরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কোদাল ধোঁয়া খালের ওপর নির্মিত ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার মানুষ। এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে রামপাল কলেজ, সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও রামপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে প্রতিদিন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটির রেলিং ভাঙ্গা। সংস্কারের অভাবে রেলিং ধসে পড়ে সরু ব্রিজটিতে চলাচলে মানুষ ভোগান্তি বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিপাহীপাড়া-রামপাল কলেজ হতে ব্রিজটি পাড়ি দিয়ে হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ি, রামপাল ইউনিয়ন পরিষদ, তিনসিঁড়ি হয়ে টঙ্গীবাড়ীসহ রামপাল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে সরু এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। ব্রিজটি বছরের পর বছর সংস্কার না করায় রেলিংগুলো খসে খসে পড়ছে। দেখা যায় রেলিংয়ে ব্যবহার কার রডগুলো বেরিছে আছে। আবার দেখা যায় কোথাও কোথাও রডগুলো ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ব্রিজটির উত্তর প্রান্তে দেখা যায় একটি বিশাল আকৃতি রেইনট্রি গাছ। এই গাছটি কারণে ব্রিজটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই ব্রিজটি এমন অবস্থা। দিনের পর দিন রেলিং ধসের কারণে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, এই ব্রিজটি এখন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কবে যেন ভেঙ্গে পড়ে। প্রায় ১৫ বছর ধরে রেলিং ভেঙ্গে ধসে ধসে পড়ছে। এখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও ভয় লাগে।
মিশুক চালক শান্ত বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচল করে। জানি না কবে এই ব্রিজটি ধসে পড়ে। দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ এবং রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনরে কাছে। না হলে যেন কোন সময় ব্রিজটি ধসে পড়লে কয়ক্ষতি হতে পারে।
৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আক্তার হোসেন বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে আমি প্রতিদিন যাতায়াত করি। ব্রিজটি দু’পাশে রেলিং দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা। আমি নতুন মেম্বার হয়েছি। আমি এই ব্রিজটির ব্যপারে এলজিইডির কর্তৃপক্ষে কাছে যাব যেন একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার ব্যবস্থা করেন।
রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো.বাচ্চু শেখ বলেন, এই ব্রিজটি ওপর দিয়ে রামপাল কলেজ, সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও রামপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। এই ব্রিজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেন।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিকুল আহসান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। আপনার কাজ থেকে জানতে পারলাম। যেহেতু আপনি বিষয়টি অবগত করলেন। আমরা সরেজমিনে আগামীকাল পরিদর্শনের জন্য কর্মকর্তা পাঠাব। চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমাদের জানানো উচিত বলে আমি মনে করি। তাহলে আমরা একটি নতুন ব্রিজ তৈরির করার জন্য বাজেট প্রস্তাব করতে পারি। আমরা চাই আমাদের কাছে জনপ্রতিনিধিরা এসে সমস্যার কথা বলে।