বন্যাদুর্গত এলাকায় দ্রুত উদ্ধারকাজ পরিচালনার লক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে আরও ত্রিশটি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেসকিউ বোট হস্তান্তর করেছে নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস (ডিইডব্লিউ) লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ডকইয়ার্ড প্রাঙ্গণে বোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বোটগুলো পাঠানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ষাটটি রেসকিউ বোট নির্মাণের জন্য ডিইডব্লিউ’র সাথে চুক্তিস্বাক্ষর হয়। এর আগে ত্রিশটি বোট হস্তান্তরের পর তা বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। সেসব বোট সর্বশেষ সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত এলাকায় বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়েছে। আরও ত্রিশটি বোট হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো। সারাদেশে যেকোন দুর্যোগকালীন মুহুর্তে এই বোটগুলির মাধ্যমে অতিদ্রুত উদ্ধারকার্য পরিচালনা ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা যাবে।
সুনামগঞ্জের বন্যার পরে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী আরও চারশোটি বোট তৈরির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী। বিশের অধিক বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নত করতে বিদেশ থেকে নয়টি সিড়ি ক্রয় করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, শীঘ্রই আরও সিড়ি আসবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড প্রসঙ্গে এনামুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আটটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করেছিল। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে মানোন্নয়নের পাশাপাশি কারিগরি সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলছে এই প্রতিষ্ঠান। যা দেশের শিল্প ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস (ডিইডব্লিউ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর আব্দুল্লাহ্ আল মাকসুস জানান, আশিজন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৫৪ ফুট দীর্ঘ, ১২ দশমিক ৫০ ফুট প্রস্থের এই বোটগুলো সাত নটিকেল মাইলবেগে চলতে সক্ষম। এতে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত অঞ্চলসমূহের জনগণকে দ্রুততর সময়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। সরু নদীপথে বোটগুলো চলতে সক্ষম। প্রতিবন্ধী ও আহত ব্যক্তিদের বোটে তোলার আধুনিক সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হক, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
বন্যাদুর্গত এলাকায় দ্রুত উদ্ধারকাজ পরিচালনার লক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে আরও ত্রিশটি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেসকিউ বোট হস্তান্তর করেছে নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস (ডিইডব্লিউ) লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে ডকইয়ার্ড প্রাঙ্গণে বোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোপালগঞ্জ, নেত্রকোনা, রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বোটগুলো পাঠানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ষাটটি রেসকিউ বোট নির্মাণের জন্য ডিইডব্লিউ’র সাথে চুক্তিস্বাক্ষর হয়। এর আগে ত্রিশটি বোট হস্তান্তরের পর তা বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। সেসব বোট সর্বশেষ সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত এলাকায় বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়েছে। আরও ত্রিশটি বোট হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো। সারাদেশে যেকোন দুর্যোগকালীন মুহুর্তে এই বোটগুলির মাধ্যমে অতিদ্রুত উদ্ধারকার্য পরিচালনা ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা যাবে।
সুনামগঞ্জের বন্যার পরে মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী আরও চারশোটি বোট তৈরির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী। বিশের অধিক বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নত করতে বিদেশ থেকে নয়টি সিড়ি ক্রয় করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, শীঘ্রই আরও সিড়ি আসবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড প্রসঙ্গে এনামুর রহমান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম আটটি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করেছিল। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে মানোন্নয়নের পাশাপাশি কারিগরি সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলছে এই প্রতিষ্ঠান। যা দেশের শিল্প ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস (ডিইডব্লিউ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর আব্দুল্লাহ্ আল মাকসুস জানান, আশিজন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৫৪ ফুট দীর্ঘ, ১২ দশমিক ৫০ ফুট প্রস্থের এই বোটগুলো সাত নটিকেল মাইলবেগে চলতে সক্ষম। এতে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত অঞ্চলসমূহের জনগণকে দ্রুততর সময়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। সরু নদীপথে বোটগুলো চলতে সক্ষম। প্রতিবন্ধী ও আহত ব্যক্তিদের বোটে তোলার আধুনিক সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হক, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ প্রমুখ।