কালোবাজারে বিক্রির জন্য অবৈধ ভাবে মজুদের জন্য আটক প্রায় ১২ হাজার বস্তা সার মঙ্গলবার বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে নিলামে বিক্রি হয়েছে। তবে এই নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে সৃস্টি হয়েছে রহস্য। ধুম্রজাল দুর হয়নি সারের বস্তার সংখ্যা নিয়েও।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আটক সার বিক্রির কথা বলা হলেও তা নিলামে বিক্রির আদেশ ছিলো না। প্রায় কোটি টাকা মুল্যের এই সার নিলামে অংশগ্রহনে ইচ্ছুক বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি থাকলেও নিলামের সময় সরাসরি ডাকে তারা অংশ নেননি।
নিলামের জন্য নিবন্ধিত হওয়া শতাধিক ব্যক্তির মধ্যে মাত্র ৩/৪ জন ডাকে অংশ নেন। ফলে এ নিয়ে রহস্য সৃস্টি হয়।
সব সারের সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হন বগুড়া চেম্বারে সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল ইসলাম রাজ।
তিনি দাবি করেন, কৃষকদের মধ্যে সঠিক মুল্যে সার বিতরণের জন্য তিনি নিলামে অংশ নেন।
অপর দিকে কালোবাজরের এই সারের মজুদকারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করতে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য সার আটকের পর বগুড়ায় সারের সিন্ডিকেট ও কালোবাজার নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।
গত ৭ অগস্ট রাতে বগুড়ার সদরের এরুরিয়া বাজার এলাকায় কেটি সারের গুদামে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বিপুল পরিমান সার আটক করেন।
মালিক ছিলো পলাতক। এই সার নাজমুল পারভেজ কনক নামে এক ব্যক্তির বলে সংশ্লিস্টরা জানান।
পরের দিন ভ্রাম্যমান আদালত একই স্থানে অভিযান চালিয়ে আজিুল হক সাজু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল জানিয়েছেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে কালোবাজারের সার আটক এবং গুদামের ব্যবস্থাপক হিসাবে এক ব্যক্তির জরিমানা করে বিক্রির আদেশ দেয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম কৃষি কর্মকর্তার। মামলা দায়ের করতে পারেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। যিনি উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব।
বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, তারা এখন পর্যন্ত নিয়মিত কোন মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেননি। পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে সার আটকের ৮ দিন পর এর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মঙ্গলবার নিলামে সার বিক্রির দিনেও ছিলো ধু¤্রজালের মতো অবস্থা। নিলামের আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার এবং বেশির ভাগ ডিএপি সার বলে উল্লখ করেন।
১১ আগস্ট ওই সার নিলামে বিক্রিরর জন্য ১৬ আগস্ট দিন নির্ধারণ করে নোটিশ দিয়েছিলেন নিলাম কমিটির আহবায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। সারের মিলগেট দর ধরে নিলাম হয়। নিলামের নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে নিলামে অংশ গ্রহনের জন্য বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত হন।
নিবন্ধনের জন্য ১০৮ জন ৫০ হাজার টাকা করে নগদ জামানত প্রদান করলেও নিলাম ডাকে অংশ নেয় মাত্র ৩ থেকে ৪ জন। বাকীরা শুধু সম্মতি সুচক সমর্থন দেন। নিবন্ধনের পরেও হাতে গোনা ৪ জন নিলামে পরিকল্পিত ভাবে অংশ নেয় বলে সুত্র জানায়।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা জানান, হয়তো অন্যদের নিকট মুল্য যৌক্তিক মনে হয়নি।
একাধিক সুত্র জানায়, ‘রাঘব বোয়ালদের’ গোপন বৈঠক হয় নিলাম ডাকের আগে। সেখানেই নির্ধারিত হয় কে সর্বোচ্চ দরদাতা হবে। এতে নিলামে অংশগ্রহন ইচ্ছুক অন্যরা সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টি মেনে নেন। অনেকে ঝামেলার শঙ্কায় ডাকে অংশ নিতে বিরত থাকেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সারের ‘প্রকৃত বস্তা’ সংখ্যা গননা হয়নি। সর্বোচ্চ দরদাতা ৩ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সার নিয়ে যাবেন।
মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
কালোবাজারে বিক্রির জন্য অবৈধ ভাবে মজুদের জন্য আটক প্রায় ১২ হাজার বস্তা সার মঙ্গলবার বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে নিলামে বিক্রি হয়েছে। তবে এই নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে সৃস্টি হয়েছে রহস্য। ধুম্রজাল দুর হয়নি সারের বস্তার সংখ্যা নিয়েও।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আটক সার বিক্রির কথা বলা হলেও তা নিলামে বিক্রির আদেশ ছিলো না। প্রায় কোটি টাকা মুল্যের এই সার নিলামে অংশগ্রহনে ইচ্ছুক বিপুল সংখ্যক ব্যক্তি থাকলেও নিলামের সময় সরাসরি ডাকে তারা অংশ নেননি।
নিলামের জন্য নিবন্ধিত হওয়া শতাধিক ব্যক্তির মধ্যে মাত্র ৩/৪ জন ডাকে অংশ নেন। ফলে এ নিয়ে রহস্য সৃস্টি হয়।
সব সারের সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হন বগুড়া চেম্বারে সহ-সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল ইসলাম রাজ।
তিনি দাবি করেন, কৃষকদের মধ্যে সঠিক মুল্যে সার বিতরণের জন্য তিনি নিলামে অংশ নেন।
অপর দিকে কালোবাজরের এই সারের মজুদকারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করতে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য সার আটকের পর বগুড়ায় সারের সিন্ডিকেট ও কালোবাজার নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।
গত ৭ অগস্ট রাতে বগুড়ার সদরের এরুরিয়া বাজার এলাকায় কেটি সারের গুদামে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বিপুল পরিমান সার আটক করেন।
মালিক ছিলো পলাতক। এই সার নাজমুল পারভেজ কনক নামে এক ব্যক্তির বলে সংশ্লিস্টরা জানান।
পরের দিন ভ্রাম্যমান আদালত একই স্থানে অভিযান চালিয়ে আজিুল হক সাজু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে অর্থদন্ড প্রদান করেন।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল জানিয়েছেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে কালোবাজারের সার আটক এবং গুদামের ব্যবস্থাপক হিসাবে এক ব্যক্তির জরিমানা করে বিক্রির আদেশ দেয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম কৃষি কর্মকর্তার। মামলা দায়ের করতে পারেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। যিনি উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব।
বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, তারা এখন পর্যন্ত নিয়মিত কোন মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেননি। পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে সার আটকের ৮ দিন পর এর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মঙ্গলবার নিলামে সার বিক্রির দিনেও ছিলো ধু¤্রজালের মতো অবস্থা। নিলামের আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার এবং বেশির ভাগ ডিএপি সার বলে উল্লখ করেন।
১১ আগস্ট ওই সার নিলামে বিক্রিরর জন্য ১৬ আগস্ট দিন নির্ধারণ করে নোটিশ দিয়েছিলেন নিলাম কমিটির আহবায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। সারের মিলগেট দর ধরে নিলাম হয়। নিলামের নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদে নিলামে অংশ গ্রহনের জন্য বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত হন।
নিবন্ধনের জন্য ১০৮ জন ৫০ হাজার টাকা করে নগদ জামানত প্রদান করলেও নিলাম ডাকে অংশ নেয় মাত্র ৩ থেকে ৪ জন। বাকীরা শুধু সম্মতি সুচক সমর্থন দেন। নিবন্ধনের পরেও হাতে গোনা ৪ জন নিলামে পরিকল্পিত ভাবে অংশ নেয় বলে সুত্র জানায়।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা জানান, হয়তো অন্যদের নিকট মুল্য যৌক্তিক মনে হয়নি।
একাধিক সুত্র জানায়, ‘রাঘব বোয়ালদের’ গোপন বৈঠক হয় নিলাম ডাকের আগে। সেখানেই নির্ধারিত হয় কে সর্বোচ্চ দরদাতা হবে। এতে নিলামে অংশগ্রহন ইচ্ছুক অন্যরা সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টি মেনে নেন। অনেকে ঝামেলার শঙ্কায় ডাকে অংশ নিতে বিরত থাকেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সারের ‘প্রকৃত বস্তা’ সংখ্যা গননা হয়নি। সর্বোচ্চ দরদাতা ৩ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সার নিয়ে যাবেন।