কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় রাহাত (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রকে তার চাচাত ভাই জবাই করে খুন করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি গ্রামের প্রাইমারি শিক্ষক আনোয়ারুল হকের ছেলে রাহাত কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকায় থেকে শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজে অনার্স পড়তেন। তিনি বুধবার বিকালে উকিলপাড়ায় চাচাত বোন আরিফা সুলতানার (৩২) ভাড়া বাসায় দোতলায় তার দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যান। বিকাল আনুমানিক ৬টার দিকে আরিফা সুলতানার ছোটভাই জুবায়ের হাসান (২৫) সেই বাসায় গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাহাতের বুকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তাকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ওই কক্ষের মেঝেতে রক্ত জমাট হয়ে আছে। দেয়ালে রক্তমাখা হাতের ছাপসহ ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, বুকে ছুরিকাঘাত করার পর দু’জনে ধস্তাধস্তি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাহাত পেরে ওঠেননি। জুবায়ের তাকে জবাই করে হত্যা করে।
ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম এবং সদর মডেল থানার ওসি মো. দাউদ ঘটনাস্থলে যান। আলামত হিসেবে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতকের বোন আরিফা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আরিফার স্বামী মফিজ উদ্দিন মলয়েশিয়া প্রবাসী বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। রাহাতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর ঘাতক জুবায়েরকে ধরার জন্য অভিযান চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন। হত্যাকান্ডের পেছনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় রাহাতের পরিবারের লোকজন বুকফাটা আহাজারি করছেন।
বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় রাহাত (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রকে তার চাচাত ভাই জবাই করে খুন করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি গ্রামের প্রাইমারি শিক্ষক আনোয়ারুল হকের ছেলে রাহাত কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল এলাকায় থেকে শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজে অনার্স পড়তেন। তিনি বুধবার বিকালে উকিলপাড়ায় চাচাত বোন আরিফা সুলতানার (৩২) ভাড়া বাসায় দোতলায় তার দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যান। বিকাল আনুমানিক ৬টার দিকে আরিফা সুলতানার ছোটভাই জুবায়ের হাসান (২৫) সেই বাসায় গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাহাতের বুকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তাকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ওই কক্ষের মেঝেতে রক্ত জমাট হয়ে আছে। দেয়ালে রক্তমাখা হাতের ছাপসহ ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, বুকে ছুরিকাঘাত করার পর দু’জনে ধস্তাধস্তি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাহাত পেরে ওঠেননি। জুবায়ের তাকে জবাই করে হত্যা করে।
ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম এবং সদর মডেল থানার ওসি মো. দাউদ ঘটনাস্থলে যান। আলামত হিসেবে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতকের বোন আরিফা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আরিফার স্বামী মফিজ উদ্দিন মলয়েশিয়া প্রবাসী বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। রাহাতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর ঘাতক জুবায়েরকে ধরার জন্য অভিযান চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন। হত্যাকান্ডের পেছনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় রাহাতের পরিবারের লোকজন বুকফাটা আহাজারি করছেন।