শিউলি-কাশে পূজার আগমনী
নদীর কিনারে সাদা কাশফুল, আকাশজুড়ে শুভ্র মেঘের ভেলা প্রকৃতির হাতছানিতে জানান দেয় সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে লেগেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের ছোঁয়া। ভালুকা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৬৩টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পীদের নিপূণ হাতের ছোঁয়ায় দেবীদুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক,মহিসাশুরসহ সকল প্রতিমায় সৌর্ন্দযের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে দিন রাত যেন বিরামহীন প্রাণান্ত চেষ্টা তাদের।
ভালুকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড রায়বাড়ির পূজামন্ডপে বুধবার রাতে প্রতিমা গড়ার কাজ করছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলার বেনুপুর গ্রামের মৃৎশিল্পী মনিন্দ্র পাল (৫০)। তিনি জানান, তার ঠাকুর দাদার আমল হতেই প্রতিমা গড়ার কাজ করে সংসার জীবিকা চালিয়ে আসছেন। প্রতি বছর দুর্গাপূজা আসলে তাদের রাতদিন প্রতিমা তৈরির কাজ করতে হয়। এ বছর মোট আটটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। ভালুকায় ১টি সাবার ফুলবাড়িয়া ১টি হেমায়েতপুর ১টি জয়দেবপুর স্বর্ণপট্টি ১টি নিজ গ্রামে ১টি বাসনা ধামরাই ১টি সহ মোট ৮ টি মন্দিরে পর্যায়ক্রমে প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। সহযোগী কারিগরদের সঙ্গে এইচএসসি পড়ুয়া ছেলে নিলয় পাল (১৮) সব সময় পাশে থেকে বাবার কাজে সাহায্য করে থাকেন। বাবার মত শিল্পী হওয়ার পাশপাশি উচ্চ শিক্ষা লাভে পরাশুনা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন নিলয় পাল। মনিন্দ্র পাল জানান, প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি বাবদ ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন। তবে বাঁশ, মাটি, খড়, রং, আনুষাঙ্গিক খরচ ও সহযোগী কারিগরদের বেতন বাবদ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো চলে যায়। মাটির শিল্প-কর্ম শেষ হওয়ার পর শুকানোর জন্য অপেক্ষা। শুকিয়ে যাওয়ার পর রং ও সাজানোর কাজ সমাপ্ত করে তারা পূজারিদের প্রতিমাগুলো বুঝিয়ে দেন। ছোট ছেলে শিমুল পাল (১৪) দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। স্ত্রী শেফালী রানী পাল (৪৫) গৃহিনী।
মনিন্দ্র পাল আক্ষেপ করে বলেন, মৃৎশিল্পীদের পরিচয় দেওয়ার মত সরকারী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন সনদ, খেতাব কিংবা পরিচয়পত্র কোন কিছু না থাকায় আতংক নিয়ে তাদের যন্ত্রপাতি,সরঞ্জামাদি সহ এক স্থান হতে অন্যত্র যাতায়াত ঝুকি নিয়ে করতে হয়। কেননা নানা সমস্যায় জর্জরিত মৃৎ শিল্পীদের কোন এলাকা ভিত্তিক সংগঠন আজও গড়ে উঠেনি। তাদের চৌদ্দ পুরুষের জীবন জীবিকার এ পেশাকে বাঁচিয়ে রাখার লখ্যে সরকারী সুযোগ সুবিধা ও মৃৎ শিল্পীদের সহজ পরিচয় বহনের সুব্যবস্থার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টির দাবী জানিয়েছেন তিনি।
শিউলি-কাশে পূজার আগমনী
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
নদীর কিনারে সাদা কাশফুল, আকাশজুড়ে শুভ্র মেঘের ভেলা প্রকৃতির হাতছানিতে জানান দেয় সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে লেগেছে শারদীয় দুর্গোৎসবের ছোঁয়া। ভালুকা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৬৩টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পীদের নিপূণ হাতের ছোঁয়ায় দেবীদুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক,মহিসাশুরসহ সকল প্রতিমায় সৌর্ন্দযের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে দিন রাত যেন বিরামহীন প্রাণান্ত চেষ্টা তাদের।
ভালুকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড রায়বাড়ির পূজামন্ডপে বুধবার রাতে প্রতিমা গড়ার কাজ করছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলার বেনুপুর গ্রামের মৃৎশিল্পী মনিন্দ্র পাল (৫০)। তিনি জানান, তার ঠাকুর দাদার আমল হতেই প্রতিমা গড়ার কাজ করে সংসার জীবিকা চালিয়ে আসছেন। প্রতি বছর দুর্গাপূজা আসলে তাদের রাতদিন প্রতিমা তৈরির কাজ করতে হয়। এ বছর মোট আটটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। ভালুকায় ১টি সাবার ফুলবাড়িয়া ১টি হেমায়েতপুর ১টি জয়দেবপুর স্বর্ণপট্টি ১টি নিজ গ্রামে ১টি বাসনা ধামরাই ১টি সহ মোট ৮ টি মন্দিরে পর্যায়ক্রমে প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। সহযোগী কারিগরদের সঙ্গে এইচএসসি পড়ুয়া ছেলে নিলয় পাল (১৮) সব সময় পাশে থেকে বাবার কাজে সাহায্য করে থাকেন। বাবার মত শিল্পী হওয়ার পাশপাশি উচ্চ শিক্ষা লাভে পরাশুনা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন নিলয় পাল। মনিন্দ্র পাল জানান, প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি বাবদ ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা মজুরি পেয়ে থাকেন। তবে বাঁশ, মাটি, খড়, রং, আনুষাঙ্গিক খরচ ও সহযোগী কারিগরদের বেতন বাবদ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো চলে যায়। মাটির শিল্প-কর্ম শেষ হওয়ার পর শুকানোর জন্য অপেক্ষা। শুকিয়ে যাওয়ার পর রং ও সাজানোর কাজ সমাপ্ত করে তারা পূজারিদের প্রতিমাগুলো বুঝিয়ে দেন। ছোট ছেলে শিমুল পাল (১৪) দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। স্ত্রী শেফালী রানী পাল (৪৫) গৃহিনী।
মনিন্দ্র পাল আক্ষেপ করে বলেন, মৃৎশিল্পীদের পরিচয় দেওয়ার মত সরকারী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোন সনদ, খেতাব কিংবা পরিচয়পত্র কোন কিছু না থাকায় আতংক নিয়ে তাদের যন্ত্রপাতি,সরঞ্জামাদি সহ এক স্থান হতে অন্যত্র যাতায়াত ঝুকি নিয়ে করতে হয়। কেননা নানা সমস্যায় জর্জরিত মৃৎ শিল্পীদের কোন এলাকা ভিত্তিক সংগঠন আজও গড়ে উঠেনি। তাদের চৌদ্দ পুরুষের জীবন জীবিকার এ পেশাকে বাঁচিয়ে রাখার লখ্যে সরকারী সুযোগ সুবিধা ও মৃৎ শিল্পীদের সহজ পরিচয় বহনের সুব্যবস্থার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টির দাবী জানিয়েছেন তিনি।