নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের মারধরে আহত ছাত্রলীগকর্মী জামিউল ইসলাম জীবন মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালিক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানি।
জামিউল আলীম জীবন (২২) নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। জামিউলের বাড়ি নলডাঙ্গার রামশাকাজিপুর গ্রামে। নিহত জামিউল আলীম জীবন মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যায় নিহত জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার বড় ভাই ফয়সাল সাহ ফটিক (৫৩), আলিম আল রাজি শাহ নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ আলিম আল রাজিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, মসজিদের মাইক চুরির সালিশ নিয়ে ফেইসবুক লাইভ করার পর নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার সমর্থকদের পিটুনিতে গুরুতর আহত হন জীবন।
নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় দুপুর সোয়া ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মামলার বরাতে ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে আমতলি বাজার মসজিদের মাইক চুরি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জামিউল আলীম ওরফে জীবনকে ওই চুরির ঘটনায় জড়িত করে সন্দেহভাজনদের তালিকা করা হয়। ওই রাতেই জামিউল আলীম ফেইসবুক লাইভে এসে সালিশ ষড়যন্ত্রমূলক ও আক্রোশবশত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের সমালোচনাও করেন লাইভে।
অভিযোগে বলা হয়, এর জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নলডাঙ্গার আমতলি বাজারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ (৪৫) ও তার সমর্থকরা জামিউলকে এলোপাথাড়ি পেটায়। এ সময় জামিউলের বাবা ফরহাদ হোসেন (৬০) উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে পরে (সোমবার রাতে) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জামিউলকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদসহ তার অপর ভাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের মারধরে আহত ছাত্রলীগকর্মী জামিউল ইসলাম জীবন মারা গেছেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালিক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানি।
জামিউল আলীম জীবন (২২) নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। জামিউলের বাড়ি নলডাঙ্গার রামশাকাজিপুর গ্রামে। নিহত জামিউল আলীম জীবন মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে।
এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যায় নিহত জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার বড় ভাই ফয়সাল সাহ ফটিক (৫৩), আলিম আল রাজি শাহ নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ আলিম আল রাজিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, মসজিদের মাইক চুরির সালিশ নিয়ে ফেইসবুক লাইভ করার পর নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার সমর্থকদের পিটুনিতে গুরুতর আহত হন জীবন।
নলডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় দুপুর সোয়া ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মামলার বরাতে ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে আমতলি বাজার মসজিদের মাইক চুরি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জামিউল আলীম ওরফে জীবনকে ওই চুরির ঘটনায় জড়িত করে সন্দেহভাজনদের তালিকা করা হয়। ওই রাতেই জামিউল আলীম ফেইসবুক লাইভে এসে সালিশ ষড়যন্ত্রমূলক ও আক্রোশবশত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের সমালোচনাও করেন লাইভে।
অভিযোগে বলা হয়, এর জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নলডাঙ্গার আমতলি বাজারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ (৪৫) ও তার সমর্থকরা জামিউলকে এলোপাথাড়ি পেটায়। এ সময় জামিউলের বাবা ফরহাদ হোসেন (৬০) উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে পরে (সোমবার রাতে) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জামিউলকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদসহ তার অপর ভাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।