প্রভাবশালী কসাই ও ব্যবসায়ী চক্র জড়িত
ভোলার চরফ্যাশনে দেদারচ্ছে জবাই ও বিক্রি হচ্ছে মরা , রোগাক্রান্ত গরু। কোন নির্দেশ বা আদেশ মানতে নারাজ প্রভাবশালী কসাই ও ব্যবসায়ী চক্র। এরা অনেকেই শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে এদের নিষেধ করার সাহস পাচ্ছেন না পৌর কাউন্সিলররাও।
গত মঙ্গলবার পৌর বাজার থেকে ফিরিয়ে দেয়া একটি মৃতপ্রায় গরু পৌর ৮ নং ওয়ার্ডে নিয়ে জবাই করে মাংস বাজারে আনার প্রস্তুুতিকালে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন।
খবর পেয়ে পৌর কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান সামু, পৌর কাউন্সিলর আবদুল মতিন মোল্লা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পালিয়ে যায় কসাই চক্র। ছুটে আসেন পৌর মেয়র মোঃ মোর্শেদ। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিও তোলেন তিনি। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবেন কে? এমন প্রশ্ন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের।
ঘটনাস্থলে আসা কাউন্সিলর সামু জানান, আমরা অসহায়। আমাদের নির্দেশ এরা মানছে না। একই কথা জানান মতিন মোল্লা। এদের অভিযোগ চিহ্নিত মোঃ কবির, মোঃ নোমান, মোঃ রাসেলসহ ১০/১২ জনের একটি চক্র পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মরাগরুর খবর পেলে ছুটে গিয়ে তা পানির দরে কিনে এনে জবাই করে ওই মাংস বাজারে বিক্রি করে।
ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ জানান, তারা প্রতিদিন পৌর বাজার পরিদর্শন করেন। সেখানে জবাই করার আগে প্রাণির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ওই বাজারে যে সব প্রাণি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাতিল করা হয়। তা অন্য স্থানে নিয়ে জবাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এলাকার কলেজ শিক্ষক ও নাগরিক কমিটির নেতা আবু ছিদ্দিক জানান, তারা চরমভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। রোগে আক্রান্ত পশু হরহামিশা বজাই ও বিক্রি করা হচ্ছে। জবাইর পর ভালো মাংসের সঙ্গে মরা ও রোবে আক্রান্ত পুশুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারন মানুষ ওই মাংস কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। মোবইল কোর্টের মাধ্যমে এদেও গ্রেফতার ও জরিমানা করার দাবি জানান ওই নাগরিক নেতা।
মঙ্গলবার সকালে ৮ নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান দফাদারের বাড়ির সামনে নিয়ে জবাই করে মাংস আনার চেষ্টা করে। ওই সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে প্রথমে কসাই গ্রুপ মারমুখি হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর, পৌর মেয়র ও পুলিশ ছুটে এলে ওই চক্র পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, শুধু গরু নয় , ছাগলও একই ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই চিহ্নিত চক্রকে গ্রেফতারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন স্থানীয়রা।
প্রভাবশালী কসাই ও ব্যবসায়ী চক্র জড়িত
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ভোলার চরফ্যাশনে দেদারচ্ছে জবাই ও বিক্রি হচ্ছে মরা , রোগাক্রান্ত গরু। কোন নির্দেশ বা আদেশ মানতে নারাজ প্রভাবশালী কসাই ও ব্যবসায়ী চক্র। এরা অনেকেই শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে এদের নিষেধ করার সাহস পাচ্ছেন না পৌর কাউন্সিলররাও।
গত মঙ্গলবার পৌর বাজার থেকে ফিরিয়ে দেয়া একটি মৃতপ্রায় গরু পৌর ৮ নং ওয়ার্ডে নিয়ে জবাই করে মাংস বাজারে আনার প্রস্তুুতিকালে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন।
খবর পেয়ে পৌর কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান সামু, পৌর কাউন্সিলর আবদুল মতিন মোল্লা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা, পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পালিয়ে যায় কসাই চক্র। ছুটে আসেন পৌর মেয়র মোঃ মোর্শেদ। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিও তোলেন তিনি। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবেন কে? এমন প্রশ্ন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের।
ঘটনাস্থলে আসা কাউন্সিলর সামু জানান, আমরা অসহায়। আমাদের নির্দেশ এরা মানছে না। একই কথা জানান মতিন মোল্লা। এদের অভিযোগ চিহ্নিত মোঃ কবির, মোঃ নোমান, মোঃ রাসেলসহ ১০/১২ জনের একটি চক্র পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মরাগরুর খবর পেলে ছুটে গিয়ে তা পানির দরে কিনে এনে জবাই করে ওই মাংস বাজারে বিক্রি করে।
ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ জানান, তারা প্রতিদিন পৌর বাজার পরিদর্শন করেন। সেখানে জবাই করার আগে প্রাণির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ওই বাজারে যে সব প্রাণি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাতিল করা হয়। তা অন্য স্থানে নিয়ে জবাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এলাকার কলেজ শিক্ষক ও নাগরিক কমিটির নেতা আবু ছিদ্দিক জানান, তারা চরমভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। রোগে আক্রান্ত পশু হরহামিশা বজাই ও বিক্রি করা হচ্ছে। জবাইর পর ভালো মাংসের সঙ্গে মরা ও রোবে আক্রান্ত পুশুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারন মানুষ ওই মাংস কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। মোবইল কোর্টের মাধ্যমে এদেও গ্রেফতার ও জরিমানা করার দাবি জানান ওই নাগরিক নেতা।
মঙ্গলবার সকালে ৮ নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান দফাদারের বাড়ির সামনে নিয়ে জবাই করে মাংস আনার চেষ্টা করে। ওই সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে প্রথমে কসাই গ্রুপ মারমুখি হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর, পৌর মেয়র ও পুলিশ ছুটে এলে ওই চক্র পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, শুধু গরু নয় , ছাগলও একই ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই চিহ্নিত চক্রকে গ্রেফতারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন স্থানীয়রা।