পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা । ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্স এবার খুলে পাওয়া গেল ১৫ বস্তা টাকা। সাথে মিলেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রাও।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স খোলা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনার কাজ চলছে।
সিন্দুক থেকে টাকা বের করার পর বস্তায় ভরা শুরু হয়; একে একে ১৫টি বস্তায় টাকা গোছানো শেষে শুরু হয় গণনা। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনার কাজ চলছে।
সকালে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন, মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার ১১২ শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন টাকা গণনার কাজে অংশ নেয়। দানসিন্দুকে টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সারা দিন ধরে টাকাগুলো গণনার কাজ চলবে। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যাবে দানের টাকার পরিমাণ।
এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন তিন কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিন মাস এক দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হলো।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন।
জানা যায়, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
দানের টাকা থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। টাকা দেয়া হয় নানা সামাজিক কাজে। বাকি টাকা রুপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ জানান, মসজিদের দানের টাকা দিয়ে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা । ছবি: সংগৃহীত
শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২
কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্স এবার খুলে পাওয়া গেল ১৫ বস্তা টাকা। সাথে মিলেছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশী মুদ্রাও।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স খোলা হয়। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনার কাজ চলছে।
সিন্দুক থেকে টাকা বের করার পর বস্তায় ভরা শুরু হয়; একে একে ১৫টি বস্তায় টাকা গোছানো শেষে শুরু হয় গণনা। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনার কাজ চলছে।
সকালে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন, মসজিদ ক্যাম্পাস মাদরাসার ১১২ শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন টাকা গণনার কাজে অংশ নেয়। দানসিন্দুকে টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, সারা দিন ধরে টাকাগুলো গণনার কাজ চলবে। সন্ধ্যা নাগাদ জানা যাবে দানের টাকার পরিমাণ।
এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন তিন কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিন মাস এক দিন পর দান সিন্দুকগুলো খোলা হলো।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে দান করে থাকেন।
জানা যায়, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
দানের টাকা থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়। টাকা দেয়া হয় নানা সামাজিক কাজে। বাকি টাকা রুপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ জানান, মসজিদের দানের টাকা দিয়ে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।