ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের সীমানা প্রাচির নির্মাণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে কলেজ ও জেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে প্রশাসনের আপত্তির কারনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
কলেজ কতৃপক্ষ জানায়, গত বৃহস্পতিবার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সীমানা প্রাচিরের সাথে একটি বড় ফটক ও দুই পাশে দুটি ছোট ফটক করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল ১০টা থেকে ওই কাজ বন্ধ করে দেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর ফলে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কাজটি বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফরিদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর শাখার সামনে ফরিদ শাহ সড়ক সংলগ্ন একটি সীমানা প্রাচির আগে ছিল। ওই জায়গাতেই নতুন আরেকটি সীমানা প্রাচির অনুমোদন হয়ে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। সে প্রাচিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। আজ শনিবার শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাকে জানান, ওই জায়গা নিয়ে বিরোধ আছে , এজন্য কাজ বন্ধ রাখতে হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, যে জায়গায় আগে থেকে সীমানা প্রাচির ছিল এবং যার পাশে ফরিদপুর পৌরসভার সড়ক সে জায়গা নিয়ে প্রশাসনের সাথে কি বিরোধ থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়। এতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। আমাদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তির মধ্যে।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা বলেন, কাজ শুরু করেছিল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কাজ বন্ধ করেছে তারাই। শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে মৌখিক ভাবে জানান কাজ বন্ধ করতে হয়েছে প্রশাসনের চাপে পড়ে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কি সমস্যা তা আমাদের বোধগম্য নয়। মাঠের মালিক কলেজ, খাজনা দেয় কলেজ সে কাজ কেন বন্ধ করবে প্রশাসন এ প্রশ্ন রেখে অধ্যক্ষ বলেন, আমি নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিবেদন চেয়েছি। এ ঘটনায় কলেজের শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। আমি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছি।
প্রশাসন কেন বাধা দিচ্ছে জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন মাঠটি জেলা প্রশাসনের সম্পত্তি ছিল। আরএস ও এসএ অনুযায়ী ওটি জেলা প্রশাসনের। কিন্তু বিএস রেকর্ডে এটি শিক্ষা বিভাগের নামে রেকর্ড হয়। এ রেকর্ড সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার প্রথম জজ আদালতে ২৮/২০২১ মামলা চলমান। ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সীমানা প্রচির করা দৃষ্টিকটু বিধায় সেটি করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ওই মাঠ এবং মাঠ সংলগ্ন ভবনগুলি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের কাছে দিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ভূমিমন্ত্রণালয় ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সে আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ সংলগ্ন ওই স্থানে আগেও সীমানা প্রচির ছিল, এখন হলে সমস্যা কোথায়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই জায়গায় আগে সীমানা প্রচির ছিল সেটি আমার জানা নেই।
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের ওই মাঠে জনসভা করা উপলক্ষে পুরোনো সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে ফেলে আয়োজকরা। পরবর্তীতে সেটি পুন: নির্মান করে দেয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয় নি।
শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২
ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের সীমানা প্রাচির নির্মাণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে কলেজ ও জেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে প্রশাসনের আপত্তির কারনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
কলেজ কতৃপক্ষ জানায়, গত বৃহস্পতিবার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সীমানা প্রাচিরের সাথে একটি বড় ফটক ও দুই পাশে দুটি ছোট ফটক করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল ১০টা থেকে ওই কাজ বন্ধ করে দেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এর ফলে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কাজটি বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ফরিদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর শাখার সামনে ফরিদ শাহ সড়ক সংলগ্ন একটি সীমানা প্রাচির আগে ছিল। ওই জায়গাতেই নতুন আরেকটি সীমানা প্রাচির অনুমোদন হয়ে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। সে প্রাচিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। আজ শনিবার শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাকে জানান, ওই জায়গা নিয়ে বিরোধ আছে , এজন্য কাজ বন্ধ রাখতে হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, যে জায়গায় আগে থেকে সীমানা প্রাচির ছিল এবং যার পাশে ফরিদপুর পৌরসভার সড়ক সে জায়গা নিয়ে প্রশাসনের সাথে কি বিরোধ থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়। এতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। আমাদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তির মধ্যে।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা বলেন, কাজ শুরু করেছিল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কাজ বন্ধ করেছে তারাই। শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে মৌখিক ভাবে জানান কাজ বন্ধ করতে হয়েছে প্রশাসনের চাপে পড়ে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কি সমস্যা তা আমাদের বোধগম্য নয়। মাঠের মালিক কলেজ, খাজনা দেয় কলেজ সে কাজ কেন বন্ধ করবে প্রশাসন এ প্রশ্ন রেখে অধ্যক্ষ বলেন, আমি নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিবেদন চেয়েছি। এ ঘটনায় কলেজের শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। আমি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছি।
প্রশাসন কেন বাধা দিচ্ছে জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন মাঠটি জেলা প্রশাসনের সম্পত্তি ছিল। আরএস ও এসএ অনুযায়ী ওটি জেলা প্রশাসনের। কিন্তু বিএস রেকর্ডে এটি শিক্ষা বিভাগের নামে রেকর্ড হয়। এ রেকর্ড সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার প্রথম জজ আদালতে ২৮/২০২১ মামলা চলমান। ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সীমানা প্রচির করা দৃষ্টিকটু বিধায় সেটি করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ওই মাঠ এবং মাঠ সংলগ্ন ভবনগুলি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের কাছে দিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ভূমিমন্ত্রণালয় ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সে আদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজেন্দ্র কলেজের মাঠ সংলগ্ন ওই স্থানে আগেও সীমানা প্রচির ছিল, এখন হলে সমস্যা কোথায়, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই জায়গায় আগে সীমানা প্রচির ছিল সেটি আমার জানা নেই।
২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের ওই মাঠে জনসভা করা উপলক্ষে পুরোনো সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে ফেলে আয়োজকরা। পরবর্তীতে সেটি পুন: নির্মান করে দেয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয় নি।