কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো এবার খোলা হয়েছে ২ মাস ২৯ দিন পর। এবার সেগুলোতে পাওয়া গেছে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। যা ওই মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়ার হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। টাকা ছাড়াও সিন্দুকে স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা মধ্যে সৌদি রিয়াল, ভারতীয় রুপি, মালয়েশিয়ান রিংগিত সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টায় দিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বাক্সগুলো থেকে টাকা বের করে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এবার ১৫ বস্তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায়। এরপর দিনভর ওই টাকা গণনা শেষে সন্ধ্যায় এই হিসাব পাওয়া যায়। গণনা শেষে টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম মো: রফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদের ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। গণনায় সহযোগিতা করেছে মাদ্রাসার শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী।
মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা বলেন, এ এযাবৎকালের মধ্যে কম সময়ের ব্যবধানে এবার সবচেয়ে বেশি টাকা জমা পড়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের যে প্রকল্প নিয়েছে, সেটা দ্রুত শুরু করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার ২ মাস ২৯ দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে এই অর্থ পাওয়া গেল।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, পাগলা মসজিদের দানের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা থাকবে। এ জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়া পাঁচ হাজার নারীর জন্য থাকবে আলাদা ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, পাগলা মসজিদ নিয়ে অনেকে প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য তিনি সবাইকে মসজিদের সিন্দুকে সরাসরি দানের আহ্বান জানান। মসজিদের পক্ষ থেকে বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক হিসাবে টাকা নেওয়া হয় না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে নোটিশ টাঙানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এসে পাগলা মসজিদে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও সোনা রুপার গয়না দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়। অন্য ধর্মের মানুষও এখানে দান করেন। মানুষের ধারণা এ মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরন হয়।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। আজ এ মসজিদের পরিধির সাথে সাথে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। বর্তমানে মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও। তবুও মুসল্লির জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন নামাজ পড়তে এবং দান অনুদান দিতে।
শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো এবার খোলা হয়েছে ২ মাস ২৯ দিন পর। এবার সেগুলোতে পাওয়া গেছে রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। যা ওই মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়ার হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। টাকা ছাড়াও সিন্দুকে স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা মধ্যে সৌদি রিয়াল, ভারতীয় রুপি, মালয়েশিয়ান রিংগিত সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টায় দিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আটটি দানবাক্স খোলা হয়। বাক্সগুলো থেকে টাকা বের করে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এবার ১৫ বস্তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায়। এরপর দিনভর ওই টাকা গণনা শেষে সন্ধ্যায় এই হিসাব পাওয়া যায়। গণনা শেষে টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম মো: রফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদের ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। গণনায় সহযোগিতা করেছে মাদ্রাসার শতাধিক খুদে শিক্ষার্থী।
মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা বলেন, এ এযাবৎকালের মধ্যে কম সময়ের ব্যবধানে এবার সবচেয়ে বেশি টাকা জমা পড়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের যে প্রকল্প নিয়েছে, সেটা দ্রুত শুরু করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার ২ মাস ২৯ দিন পর মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে এই অর্থ পাওয়া গেল।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, পাগলা মসজিদের দানের টাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। কমপ্লেক্সটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা থাকবে। এ জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ কোটি টাকা। একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়া পাঁচ হাজার নারীর জন্য থাকবে আলাদা ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, পাগলা মসজিদ নিয়ে অনেকে প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য তিনি সবাইকে মসজিদের সিন্দুকে সরাসরি দানের আহ্বান জানান। মসজিদের পক্ষ থেকে বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক হিসাবে টাকা নেওয়া হয় না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে নোটিশ টাঙানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এসে পাগলা মসজিদে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও সোনা রুপার গয়না দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়। অন্য ধর্মের মানুষও এখানে দান করেন। মানুষের ধারণা এ মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরন হয়।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। আজ এ মসজিদের পরিধির সাথে সাথে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। বর্তমানে মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও। তবুও মুসল্লির জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন নামাজ পড়তে এবং দান অনুদান দিতে।