মৃত্যু ৩৪, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৬৩৫ জন
এডিশ মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। শুধু গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯,৯১১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩৪ জন। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে আরও ৬৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫১৮ জন ও ঢাকার বাইরে ১১৭ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ২ হাজার ১৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। শুধু রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১,৬৫৮ জন চিকিৎসাধীন আছে। অন্য বিভাগে এখনও ৫শ’ আক্রান্ত ভর্তি আছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার ১ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে মোট ভর্তি হয়েছে ১৬,৭২৭ জন। আর চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৪,৫১৩ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট মারা গেছে ৫৬ জন।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, নতুন করে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৮৯ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন ভর্তি হয়েছে।
ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৭ জন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, কক্সবাজারে ৭ জন, ফরিদপুরে ২ জন, চট্টগ্রামে ১৪ জনসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হয়েছে।
মাসিক হিসেবে গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ দিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯ হাজার ৯১১ জন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আক্রান্তদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের অনেকেই দিনের বেলায় হাসপাতালে মশারি ছাড়াই ঘুমান বলে অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত যেসব আক্রান্ত ব্যক্তি মশারি টানিয়ে ঘুমায় না তাদের অনেককেই এডিশ মশা কামড়ায়। সেসব মশা আবার নতুন করে কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে সেও আবার আক্রান্ত হয়। এভাবে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে রোগ ছড়ায়।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ও বর্তমান আবহাওয়া এডিশ মশা বিস্তারের উপযোগী। নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে ও বাড়ির ভিতরে বালতিতে জমে রাখা পানিতে এডিশ মশার প্রজনন ঘটে।
মৃত্যু ৩৪, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৬৩৫ জন
শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২
এডিশ মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। শুধু গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯,৯১১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩৪ জন। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে আরও ৬৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫১৮ জন ও ঢাকার বাইরে ১১৭ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ২ হাজার ১৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। শুধু রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১,৬৫৮ জন চিকিৎসাধীন আছে। অন্য বিভাগে এখনও ৫শ’ আক্রান্ত ভর্তি আছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার ১ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে মোট ভর্তি হয়েছে ১৬,৭২৭ জন। আর চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ১৪,৫১৩ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট মারা গেছে ৫৬ জন।
হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, নতুন করে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৮৯ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন ভর্তি হয়েছে।
ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৭ জন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন, কক্সবাজারে ৭ জন, ফরিদপুরে ২ জন, চট্টগ্রামে ১৪ জনসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হয়েছে।
মাসিক হিসেবে গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ দিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯ হাজার ৯১১ জন। এভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আক্রান্তদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি আছে তাদের অনেকেই দিনের বেলায় হাসপাতালে মশারি ছাড়াই ঘুমান বলে অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত যেসব আক্রান্ত ব্যক্তি মশারি টানিয়ে ঘুমায় না তাদের অনেককেই এডিশ মশা কামড়ায়। সেসব মশা আবার নতুন করে কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দিলে সেও আবার আক্রান্ত হয়। এভাবে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে রোগ ছড়ায়।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ও বর্তমান আবহাওয়া এডিশ মশা বিস্তারের উপযোগী। নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে ও বাড়ির ভিতরে বালতিতে জমে রাখা পানিতে এডিশ মশার প্রজনন ঘটে।