নিহত মো. কায়েস এর স্বজনের আহাজারি -সংবাদ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের তিন দিন পর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মো. কায়েস (১৫) নামে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদী এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে কাওসার (২৫) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত কায়েস উপজেলার নবীগঞ্জ নোয়ার্দ্দা এলাকার বাসচালক কাশেম মিয়ার ছেলে। ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব আহমেদ বলেন, একটি ফসলি জমিতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা মরদেহটি পাওয়া যায়। অর্ধগলিত থাকায় শরীরে অন্য কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল কায়েস। বৃহস্পতিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ওইদিনই স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মদনপুর এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ মেলেনি কায়েসের। শনিবার সকালে নরপদী এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে অজ্ঞাত কিশোরের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি কায়েসের বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক শারমিন বেগম। তিনি বলেন, তিন সন্তানের মধ্যে মেজো ছিল কায়েস। পাঁচ বছর আগে স্বামী বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছেন। নিজে ও বড় ছেলে পোশাক কারখানায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। উপার্জন বাড়াতে কয়েক মাস ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো শুরু করে কায়েস।
ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন মা শারমিন বেগম। শনিবার বিকেলে তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। এই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জ থেকে কাওসার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে মামলার দুই নম্বর আসামি। মূলত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে মো. ফেরদৌস (২২) নামে এক তরুণ অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বন্দরে একটি অপরাধী চক্র চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ে তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান।
নিহত মো. কায়েস এর স্বজনের আহাজারি -সংবাদ
শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের তিন দিন পর হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মো. কায়েস (১৫) নামে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদী এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে কাওসার (২৫) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত কায়েস উপজেলার নবীগঞ্জ নোয়ার্দ্দা এলাকার বাসচালক কাশেম মিয়ার ছেলে। ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব আহমেদ বলেন, একটি ফসলি জমিতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা মরদেহটি পাওয়া যায়। অর্ধগলিত থাকায় শরীরে অন্য কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল কায়েস। বৃহস্পতিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ওইদিনই স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মদনপুর এলাকা থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ মেলেনি কায়েসের। শনিবার সকালে নরপদী এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে অজ্ঞাত কিশোরের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি কায়েসের বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক শারমিন বেগম। তিনি বলেন, তিন সন্তানের মধ্যে মেজো ছিল কায়েস। পাঁচ বছর আগে স্বামী বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছেন। নিজে ও বড় ছেলে পোশাক কারখানায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। উপার্জন বাড়াতে কয়েক মাস ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো শুরু করে কায়েস।
ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন মা শারমিন বেগম। শনিবার বিকেলে তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। এই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ঘটনার পরপরই তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জ থেকে কাওসার নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে মামলার দুই নম্বর আসামি। মূলত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে মো. ফেরদৌস (২২) নামে এক তরুণ অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বন্দরে একটি অপরাধী চক্র চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ে তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান।