যশোরের কেশবপুরে ৪৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইকালে ৪৪ জন ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ভাতার সরকারি অংশ বন্ধ করা হয়েছে। এরপরও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান গং কর্তৃক আরও ৫ জনকে অমুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া, যাচাই-বাছাইকালে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা ২০২০ অনুসারে গত ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে কেশবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। জামুকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংশোধিত তালিকা মোতাবেক কেশবপুর উপজেলার বেসামরিক গেজেট প্রাপ্ত ৪৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাইকালে লাল বার্তাসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের উপস্থিতিতে কমিটি কর্তৃক ৩ ধরনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ তালিকা গত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকা পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৪৪ জন অমুক্তিযোদ্ধা সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ভাতার সরকারি অংশ বন্ধ করা হয়। এসব অমুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন বলে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। কিন্ত যাচাই-বাছাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এরা প্রশিক্ষণের জন্যে অপেক্ষামান ছিলেন। আদৌ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের পক্ষে স্বাক্ষ্য দেননি, ফলে এরা মুক্তিযোদ্ধা নয়।
এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান গং, ছবেদ আলী বিশ্বাসসহ ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক বুড়িহাটি গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দীন, চিংড়া গ্রামের আব্দুল খালেক, মেহেরপুর গ্রামের আলা উদ্দীন আহমেদ, নতুন মূলগ্রামের কামাল উদ্দীন আহম্মেদ ও বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাবর আলী সরদারকে অমুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কর্তৃক এদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ধার্যদিনে বুড়িহাটি গ্রামের মোসলেম উদ্দীন হাজির হলেও তিনি স্বপক্ষে কোন যুক্তি দেখাতে ব্যর্থ হলে তার ভাড়া করা অন্য মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য না দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া, উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারডাঙ্গা গ্রামের পরিতোষ দত্ত, রেজাকাটি গ্রামের রশিদুল হক, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের অলিয়ার রহমান ও আড়–য়া গ্রামের শৈলেন্দ্র নাথ রায়কে সন্দেহের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এরা দেশের অভ্যন্তরে সরাসরি কোন সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
যশোরের কেশবপুরে ৪৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইকালে ৪৪ জন ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ভাতার সরকারি অংশ বন্ধ করা হয়েছে। এরপরও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান গং কর্তৃক আরও ৫ জনকে অমুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া, যাচাই-বাছাইকালে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেসামরিক গেজেট যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা ২০২০ অনুসারে গত ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে কেশবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। জামুকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংশোধিত তালিকা মোতাবেক কেশবপুর উপজেলার বেসামরিক গেজেট প্রাপ্ত ৪৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাইকালে লাল বার্তাসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের উপস্থিতিতে কমিটি কর্তৃক ৩ ধরনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ তালিকা গত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকা পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৪৪ জন অমুক্তিযোদ্ধা সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ভাতার সরকারি অংশ বন্ধ করা হয়। এসব অমুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন বলে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। কিন্ত যাচাই-বাছাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এরা প্রশিক্ষণের জন্যে অপেক্ষামান ছিলেন। আদৌ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ তাদের পক্ষে স্বাক্ষ্য দেননি, ফলে এরা মুক্তিযোদ্ধা নয়।
এদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান গং, ছবেদ আলী বিশ্বাসসহ ১১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক বুড়িহাটি গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দীন, চিংড়া গ্রামের আব্দুল খালেক, মেহেরপুর গ্রামের আলা উদ্দীন আহমেদ, নতুন মূলগ্রামের কামাল উদ্দীন আহম্মেদ ও বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাবর আলী সরদারকে অমুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কর্তৃক এদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ধার্যদিনে বুড়িহাটি গ্রামের মোসলেম উদ্দীন হাজির হলেও তিনি স্বপক্ষে কোন যুক্তি দেখাতে ব্যর্থ হলে তার ভাড়া করা অন্য মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য না দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া, উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারডাঙ্গা গ্রামের পরিতোষ দত্ত, রেজাকাটি গ্রামের রশিদুল হক, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের অলিয়ার রহমান ও আড়–য়া গ্রামের শৈলেন্দ্র নাথ রায়কে সন্দেহের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এরা দেশের অভ্যন্তরে সরাসরি কোন সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।