বাড়িভর্তি মানুষের হৈ চৈ আর আনন্দ। তখন দুপুর প্রায় ১ টা। অতিথি আপ্যায়নে রান্নাবান্নাসহ বিয়ের সকল আয়োজন প্রায়ই সম্পন্ন। কনের বাড়ির সকলেই বর আর মেহমানদের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ের আনন্দে হাজির বরসহ বরযাত্রীরা। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী বধু বেশে যাবে স্বামীর বাড়ি। কিন্তু এরই মধ্যে সেখানে পুলিশ নিয়ে হাজির হলেন কালীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব। বিয়ে বাড়িতে নেমে আসলো নীরবতা। তিনি নিজে দেখলেন কনের সব কাগজপত্র। কিন্তু কনের বয়স মাত্র ১৪ বছর। নিশ্চিত হয়ে যান এটি বাল্যবিয়ে হতে যাচ্ছে। বন্ধ করেন এ বিয়ে। শুধু তাই নয়,এ অপরাধে কনের বাড়িতেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বর পক্ষকে ১৫ হাজার কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে বর কনে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের বাল্যবিয়ে না দেয়ার অঙ্গিকার করিয়ে নেন। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ধোপাদী গ্রামে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, দুপুরের আগে ট্রিপল নাইনের কলের এক অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ধোপাদি গ্রামে বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতেই তিনি দুপুর ১টার দিকে ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে পুলিশ প্রশাসনসহ হাজির হন। সেখানে দেখতে পান তিনি তার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের অয়োজন করেছেন। সমস্ত প্রস্ততিও প্রায় সম্পন্নের পথে। কিছুক্ষণের মধ্যে যশোরের চৌগাছা উপজেলার মোমিনুর রহমানও বরযাত্রীসহ চলে আসেন বর সেজে। কিন্তু আসলে কী হবে। মেয়ের সার্টিফিকেটসহ জন্মনিবন্ধন অনুসারে বিয়ের বয়স হয়নি। এটা জেনেও উভয় পক্ষ বেআইনিভাবে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে সব আয়োজন সমপন্ন করেছেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেশের প্রচলিত বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আইনে আওতায় বরকে ১৫ হাজার ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই সঙ্গে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেবার মুচলেকা গ্রহণ করা হয়। অভিযানকালে কালীগঞ্জ থানার এসআই তানভীর হোসেন অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
বাড়িভর্তি মানুষের হৈ চৈ আর আনন্দ। তখন দুপুর প্রায় ১ টা। অতিথি আপ্যায়নে রান্নাবান্নাসহ বিয়ের সকল আয়োজন প্রায়ই সম্পন্ন। কনের বাড়ির সকলেই বর আর মেহমানদের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ের আনন্দে হাজির বরসহ বরযাত্রীরা। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী বধু বেশে যাবে স্বামীর বাড়ি। কিন্তু এরই মধ্যে সেখানে পুলিশ নিয়ে হাজির হলেন কালীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব। বিয়ে বাড়িতে নেমে আসলো নীরবতা। তিনি নিজে দেখলেন কনের সব কাগজপত্র। কিন্তু কনের বয়স মাত্র ১৪ বছর। নিশ্চিত হয়ে যান এটি বাল্যবিয়ে হতে যাচ্ছে। বন্ধ করেন এ বিয়ে। শুধু তাই নয়,এ অপরাধে কনের বাড়িতেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বর পক্ষকে ১৫ হাজার কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে বর কনে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের বাল্যবিয়ে না দেয়ার অঙ্গিকার করিয়ে নেন। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ধোপাদী গ্রামে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুল্লাহ হাবিব জানান, দুপুরের আগে ট্রিপল নাইনের কলের এক অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ধোপাদি গ্রামে বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতেই তিনি দুপুর ১টার দিকে ওই গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে পুলিশ প্রশাসনসহ হাজির হন। সেখানে দেখতে পান তিনি তার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের অয়োজন করেছেন। সমস্ত প্রস্ততিও প্রায় সম্পন্নের পথে। কিছুক্ষণের মধ্যে যশোরের চৌগাছা উপজেলার মোমিনুর রহমানও বরযাত্রীসহ চলে আসেন বর সেজে। কিন্তু আসলে কী হবে। মেয়ের সার্টিফিকেটসহ জন্মনিবন্ধন অনুসারে বিয়ের বয়স হয়নি। এটা জেনেও উভয় পক্ষ বেআইনিভাবে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে সব আয়োজন সমপন্ন করেছেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেশের প্রচলিত বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ আইনে আওতায় বরকে ১৫ হাজার ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই সঙ্গে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেবার মুচলেকা গ্রহণ করা হয়। অভিযানকালে কালীগঞ্জ থানার এসআই তানভীর হোসেন অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।