বিষধর সাপের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা ও সাপকে না মেরে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে দেয়ার মত দুরুহ কাজ করে যায়েছন ভালুকার রানার অটোর অফিসার রাজু আহম্মেদ নামে এক যুবক ও তার কতিপয় সহকর্মী। পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভলান্টারি সার্ভিস হিসাবে যে কোন বাসাবাড়ি কিংবা লোকালয়ে সাপের উপস্থিতি জানতে পারলে ছুটে যান তিনি ও তার দল। স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ নামে সংগঠনের একদল প্রশিক্ষিত কর্মী যাদের সাপ ধরতে বিন বাজাতে হয় না লাগে না কোন উঝা বৈদ্যের মন্ত্র যাদু ।
স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ সংগঠনের সভাপতি রাজু আহমেদ পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করে ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও রানার মটরস লিমিটেড এ অফিসার পদে নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি জানান ২০২০ সালে সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি এ টিমটি প্রতিষ্ঠার পর অল্প সময়ের মধ্যেই সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এই টিমে ২৫ জন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত রেস্কিউয়ার রয়েছে। যারা বিপদগ্রস্ত অথবা মানুষের বাসস্থানে ঢুকে পড়া কোন সাপ এবং অন্য যে কোন বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করে আবার সেগুলোকে বন বিভাগের সহযোগিতায় প্রকৃতিতে তাদের অবস্থানে ফিরিয়ে দেন ।এছাড়াও অসুস্থ সাপ এবং অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর চিকিৎসার মাধ্যম্যে সেগুলো সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়। তারা এপর্যন্ত প্রায় ২২০০ টি বিষধর এবং নির্বিষ সাপ উদ্ধার করেছেন তারা। কিং কোবরা, পদ্ম গোখরা, খৈয়া গোখরা,শঙ্খিনী, ব্ল্যাক ক্রেইট, গ্রিন পিট-ভাইপারের মত বিষধর সাপ এবং নির্বিষ অজগর, কুকরি, বেত আঁচরা, দুধরাজ,ফণিমনসাসহ আরো বেশকিছু প্রজাতির সাপ তাদের টিম উদ্ধার করেছে । গত মে মাসে তারা ৫ টি অজগর সাপসহ ২০২২ সালে ১২ টি অজগর সাপ উদ্ধার করার পর সেগুলোকে প্রকৃতির নির্জন স্থানে ছেড়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশের প্রথম লিউসিস্টিক জলঢোঁড়া সাপটিও তাদের টিম উদ্ধার করেছে । সাপ ছাড়াও প্রায় এক হাজারের উপরে অন্যান্য বণ্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। ১৮ জন সাংগঠনিক সদস্যা দ্বারা পরিচালনা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরীর জন্য তারা সাপ সম্পর্কিত একটি অনলাইন ভিত্তিক কোর্সও চালু করছেন। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্রহী ব্যাক্তিরা এই কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মাঝে সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান ও সাপ বিষয়ে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। বর্তমানে এ টিমে মোট ৫০ জন সদস্য ও ২০০ জন তথ্য দাতা তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সারাদেশেই সদস্য তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছন। ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ টি জেলায় তাদের প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী তৈরি করা হবে। নিজস্ব খরচে পরিচালিত এটি একটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবীমূলক সংগঠন।
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
বিষধর সাপের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা ও সাপকে না মেরে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে দেয়ার মত দুরুহ কাজ করে যায়েছন ভালুকার রানার অটোর অফিসার রাজু আহম্মেদ নামে এক যুবক ও তার কতিপয় সহকর্মী। পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভলান্টারি সার্ভিস হিসাবে যে কোন বাসাবাড়ি কিংবা লোকালয়ে সাপের উপস্থিতি জানতে পারলে ছুটে যান তিনি ও তার দল। স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ নামে সংগঠনের একদল প্রশিক্ষিত কর্মী যাদের সাপ ধরতে বিন বাজাতে হয় না লাগে না কোন উঝা বৈদ্যের মন্ত্র যাদু ।
স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ সংগঠনের সভাপতি রাজু আহমেদ পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করে ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও রানার মটরস লিমিটেড এ অফিসার পদে নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি জানান ২০২০ সালে সিদ্দিকুর রহমান রাব্বি এ টিমটি প্রতিষ্ঠার পর অল্প সময়ের মধ্যেই সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এই টিমে ২৫ জন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত রেস্কিউয়ার রয়েছে। যারা বিপদগ্রস্ত অথবা মানুষের বাসস্থানে ঢুকে পড়া কোন সাপ এবং অন্য যে কোন বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করে আবার সেগুলোকে বন বিভাগের সহযোগিতায় প্রকৃতিতে তাদের অবস্থানে ফিরিয়ে দেন ।এছাড়াও অসুস্থ সাপ এবং অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর চিকিৎসার মাধ্যম্যে সেগুলো সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়। তারা এপর্যন্ত প্রায় ২২০০ টি বিষধর এবং নির্বিষ সাপ উদ্ধার করেছেন তারা। কিং কোবরা, পদ্ম গোখরা, খৈয়া গোখরা,শঙ্খিনী, ব্ল্যাক ক্রেইট, গ্রিন পিট-ভাইপারের মত বিষধর সাপ এবং নির্বিষ অজগর, কুকরি, বেত আঁচরা, দুধরাজ,ফণিমনসাসহ আরো বেশকিছু প্রজাতির সাপ তাদের টিম উদ্ধার করেছে । গত মে মাসে তারা ৫ টি অজগর সাপসহ ২০২২ সালে ১২ টি অজগর সাপ উদ্ধার করার পর সেগুলোকে প্রকৃতির নির্জন স্থানে ছেড়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশের প্রথম লিউসিস্টিক জলঢোঁড়া সাপটিও তাদের টিম উদ্ধার করেছে । সাপ ছাড়াও প্রায় এক হাজারের উপরে অন্যান্য বণ্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। ১৮ জন সাংগঠনিক সদস্যা দ্বারা পরিচালনা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরীর জন্য তারা সাপ সম্পর্কিত একটি অনলাইন ভিত্তিক কোর্সও চালু করছেন। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্রহী ব্যাক্তিরা এই কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মাঝে সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান ও সাপ বিষয়ে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। বর্তমানে এ টিমে মোট ৫০ জন সদস্য ও ২০০ জন তথ্য দাতা তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সারাদেশেই সদস্য তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছন। ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ টি জেলায় তাদের প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী তৈরি করা হবে। নিজস্ব খরচে পরিচালিত এটি একটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবীমূলক সংগঠন।